ABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর
সূচিপত্রঃABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর
- ABC জুস এ বিদ্যমান ভিটামিন
- ABC জুসের উপকারিতা
- ABC জুসের কাজ
- এই রস কী সংরক্ষণ করা যায়
- এই শরবত কী সত্যিই রং ফর্সা করে
- ABC জুস পানের সঠিক সময়
- ABC জুসের স্বাদ
- ABC জুসের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- এটি বানানোর সঠিক উপায়
- গর্ভাবস্থায় এই শরবত পান করা যাবে কিনা
- স্তন্যপায়ী মায়েদের এই জুস পানের নিয়ম
- লেখক এর মন্তব্যঃ ABC জুস(আপেল,বিটরুট,গাজর)
ABC জুস এ বিদ্যমান ভিটামিন
তাই বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণের জন্য একটি সহজ মাধ্যম বা উপায়ে হিসেবে এই
রস আপনি প্রতিদিন পান করতে পারেন। এই রসে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং
এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। এই রস কিছু
সময় খাদ্যের তালিকায় ফেলা হয়ে থাকে। তাই সুষম চাহিদা পূরণের জন্য অবশ্যই
আপনি পান করুন এই রস।
ABC জুসের উপকারিতা
- এই জুস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: এরাও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করে। মূলত এতে থাকা এনটিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ভিটামিন এ এবং সি আপনার ত্বক কে টান টান এবং সুন্দর রাখে। যার ফলে তাকে একটি গোলাপী আভা আসে।
- এই জুস পানে বয়সের ছাপ দেরীতে আসেঃ এই জুস পানের ফলে এতে থাকা গাজরের ভিটামিন ত্বককে শক্ত ও টান টান রাখে ।ফলে আমাদের চেহারায় তারুন্য থাকে।
- ওজন কমায়ঃ সঠিক সময়ে এটি পান আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ এতে থাকা গাজর বীটরূটে রয়েছে ক্যারোটিন।যা আমাদের চোখে দেখার ক্ষমতেকে বৃদ্ধি করে। গাজরের রয়েছে ভিটামিন ই জাজকের জন্য অনেক উপকারী।
- শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এই জুসে আপেল এবং বীটরূটে থাকা শর্করা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।বীটরুটে থাকা নাইট্রোজেন পেশিতে রক্তের প্রবাহ ও অক্সিজেন পরিবহনকে উন্নত করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আপেল এবং গাজরের উচ্চ এল-এসকরিক এসিড পদার্থ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।ফলে আমরা সুস্থ ও সতেজ থাকি।
ABC জুসের কাজ
ABC জুসের কাজ হলো এটি সমস্ত শরীরকে ডিটক্স করে।ক্ষতিকর দিকগুলাকে শরীর থেকে পরীষ্কার করে।ABC জুসকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। এই রস বিভিন্ন পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। শীতে বেশি গাজর পাওয়া যায় ফলে এটি পানে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অনেকটা গোলাপি।
সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এর নিয়ম কানুন মেনে বানাতে হবে এবং পান করতে হবে সঠিক
সময়ে। হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরে রক্তের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
হিমোগ্লোবিনের অভাবে আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং ক্লান্তি আসে।
এরাও আপনাকে সমস্যা থেকে অনেক ভালো একটি সমাধান দিবে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের
পরিমান বাড়ার ফলে তক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল সুন্দর।
এই রস কী সংরক্ষণ করা যায়
এই শরবত কী সত্যিই রং ফর্সা করে
ABC জুস পানের সঠিক সময়
ABC জুস পানের সঠিক সময় হলো প্রতিদিন আমাদের উচিত সকালের খাবারের প্রায় ১ ঘণ্টা আগে পান করা।আমাদের প্রত্যেকের উচিত দিনে একবার অবশ্যই এই জুস পান করা। তবে সারা দিনে দুইবার খেতে পারলে অনেক বেশি ভালো। যে কোন জিনিসের খাবার বা পানের একটি সঠিক সময় আছে। আপনি যদি অনেক বেশি গ্যাসের সমস্যায় ভোগে না থাকে তাহলে এটি সকালে খালি পেটে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। খাবার থেকে শুরু করে জীবনের যেকোনো কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়।
এটি সকালের খাবার এবং লাশ খাবার মাঝখানে খেতে পারেন। তাহলে এর উপকারিতা আপনি
একদম দ্রুত গতিতে পাবেন। এটি আপনার ত্বক এবং চুলকে করে তুলবে অবিশ্বাস্যভাবে
অনেক বেশি সুন্দর। চুল পড়া কমাতে এবং নতুন ছবি বাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে এই পানীয়। এটি রূপে,স্বাদে ও গুনে অনন্য। তাই শুধু এই জোশ নয় যে
কোন খাবার মানে অনুসন্ধান করুন সঠিক একটি সময়।
ABC জুসের স্বাদ
ABC জুসের স্বাদ অনেক সুস্বাদু। তবে যারা বিটরুটের গন্ধে পছন্দ করে না তাদের একটু খারাপ লাগতে পারে। যেহেতু এই জুসে পুষ্টিগুনে সেরা ।তাই আমাদের উচিত স্বাদের দিকে তেমন নজর না দেয়া। আমাদের যে কোন ধরনের খাবারকে ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। তবে আপনি এর থেকে ১০০ ভাগ পুষ্টি গুনাগুন পাবেন। আমরা যে কোন খাবার কে বেশি স্বাদ বাড়াতে গিয়ে এর পুষ্টি গুণ কে কমিয়ে ফেলি। যা একদমই অনুচিত।
স্বাদের দিক থেকে যেমন উন্নত তেমনি এটি পুষ্টিগুনে ভরা একটি পানীয় খাবার।
এতে রয়েছে অক্সিডেন্ট যে আপনাকে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এটির রং যেমন
সুন্দর ঠিক তেমন করেই আপনার ত্বকের রং কেউ সুন্দর করে তুলবে। তাই করে আজকে
থেকে শুরু করে দিন এই জুস পান করা। এটির মতোই লাল টকটকে হয়ে উঠবেন আপনি। এটি
আপনার শরীরকে ফ্রি মেডিক্যালস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।
ABC জুসের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ABC জুসের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত এই জুস পানে আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের এটি পানের ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এলার্জি জড়িত সমস্যা থাকলে গা চুলকায় অথবা চোখের সমস্যা হয়। এটি শুধুমাত্র তাদেরই হবে যাদের এই ধরনের এলার্জিজনিত কোনো সমস্যা আছে। তাই এসব সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিটরুট হলো এই রসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে অক্সালেট। যা কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেন চিকিৎসকরা। তাই এটি নিয়মিত পানের ফলে অনেকের কিডনিতে পাথর হতে পারে। তবে এটি হবার সম্ভাবনা খুব কম। এছাড়াও আপেল এবং গাজরে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করতে পারে যাদের ডায়াবেটিস আছে।তাই আমাদের উচিত এটি যেন আমরা প্রয়োজনের অনেক বেশি পান করে না ফেলি সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
এটি বানানোর সঠিক উপায়
এটি বানানোর সঠিক উপায় অনেক সহজ।এই জুস বানাতে আমাদের লাগবে তাজা ও টাটকা একটি আপেল,বীটরূট ও একটি গাজর।সবগুলো ধুয়ে একসাথে ছোট ছোট টুকরো করার পর ব্লেন্ডারে ভালভাবে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেকে পান করা।এই পরিমানে আমরা একগ্লাস শরবত পেতে পারি। তবে সব থেকে ভালো হয় এটি ছেকে নিয়ে পান না করা।
কারণ ফলের আঁশ এবং বিচিতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি ও ফাইবার। ছেকে
নেয়ার ফলে সেগুলো আলাদা হয়ে যায়। আমরা পূর্ণাঙ্গ পুষ্টি প্রেম পাই না। আপনি
চাইলে সাত বাড়ানোর জন্য সাদা লবণ অথবা বিট লবণ ও চাট মশলাও যোগ করতে পারেন।
তবে কাঁটা লবণ যোগ করার জন্য এটিতে পুষ্টিগুণ কমে যায়। লবণ সাধারণত আমাদের ওজন
বাড়ায় এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকরে। তাই এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য
লবণ ছাড়া খাওয়াই উত্তম।
গর্ভাবস্থায় এই শরবত পান করা যাবে কিনা
স্তন্যপায়ী মায়েদের এই জুস পানের নিয়ম
লেখক এর মন্তব্যঃ ABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর
আপেল,বিটরুট ও গাজর ফল ও সবজি হিসেবে আলাদা আলাদা স্বাদ থাকলেও এর পুষ্টিগুণ একে অন্যের থেকে অনন্য। এই তিনটি জিনিসের থাকা পুষ্টিগুণের জন্যই তিনটির মিশ্রণে তৈরি এই রস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ইংরেজি শব্দ আপেলের এ, বিটরুটের বি এবং ক্যারোটের সি দিয়ে এর নামকরণ করা হয়েছে এবিসি জুস। সুন্দর ত্বকের জন্য চিকিৎসকের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দিয়ে থাকেন।
তাই পুষ্টিবিদ দের কথা মাথায় রেখে অবশ্যই আপনার এই জুস পান করা উচিত। এটা শুধু ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে তা নয়। আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকেও দূরে রাখবে।আশা করছি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।আমি আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।যদি এই ব্যাপারে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচের দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url