ABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর

ABC জুস আপেল- বিটরুট-গাজর দিয়ে তৈরী একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত রস বা শরবত।এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ও উপকারী।এই জুস আমাদের প্রত্যেকের পান করা উচিত।তবে এটি পান করার এবং তৈরীর কিছু নিয়ম রয়েছে।বাইরের দেশগুলোতে এটি বেশ প্রসিদ্ধ।
ABC-জুস
এবং বাইরের দেশগুলোতে ABC জুসের রস পানের জন্য অনেক উৎসাহ দেয়া হয়ে থাকে।এমনিতেও আলাদা আলাদা ভাবে আপেল,গাজর এবং বিটরুটের রয়েছে অনেক গুনাগুন।এগুলোর গুনাগুন সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।সুতরাং এই জুসের পুষ্টিগুণও যে অনেক বেশি তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

সূচিপত্রঃABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর

ABC জুস এ বিদ্যমান ভিটামিন

ABC জুস এ বিদ্যমান ভিটামিন গুলো হলো ফাইবার,ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, ই, সি ও কে। এছাড়াও ABC জুসে রয়েছে নিয়াসিন, ফোলেট, কপার, ম্যাগ্নেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ। এছাড়াও রয়েছে গাজরে থাকা ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এ সকল উপাদান আমাদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

তাই বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণের জন্য একটি সহজ মাধ্যম বা উপায়ে হিসেবে এই রস আপনি প্রতিদিন পান করতে পারেন। এই রসে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। এই রস কিছু সময় খাদ্যের তালিকায় ফেলা হয়ে থাকে। তাই সুষম চাহিদা পূরণের জন্য অবশ্যই আপনি পান করুন এই রস।

ABC জুসের উপকারিতা

ABC জুসের উপকারিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। ABC জুসে থাকা বীটরুট কোষ কে শক্ত এবং প্রশমিত করে।ফলে ত্বক কে  সুস্থ রাখে । ত্বকের ফাটল কমায় এবং রং কে ফর্সা করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং এতে থাকা এ,বি,সি,কে,পটাশিয়াম,ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টিগণগুণ আপনার শরীরে পৌঁছে দিবে। যার ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর।
  • এই জুস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: এরাও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করে। মূলত এতে থাকা এনটিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ভিটামিন এ এবং সি আপনার ত্বক কে টান টান এবং সুন্দর রাখে। যার ফলে তাকে একটি গোলাপী আভা আসে।
  • এই জুস পানে বয়সের ছাপ দেরীতে আসেঃ এই জুস পানের ফলে এতে থাকা গাজরের ভিটামিন ত্বককে শক্ত ও টান টান রাখে ।ফলে আমাদের চেহারায় তারুন্য থাকে।
  • ওজন কমায়ঃ সঠিক সময়ে এটি পান আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ এতে থাকা গাজর বীটরূটে রয়েছে ক্যারোটিন।যা আমাদের চোখে দেখার ক্ষমতেকে বৃদ্ধি করে। গাজরের রয়েছে ভিটামিন ই জাজকের জন্য অনেক উপকারী।
  • শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এই জুসে আপেল এবং বীটরূটে থাকা শর্করা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।বীটরুটে থাকা নাইট্রোজেন পেশিতে রক্তের প্রবাহ ও অক্সিজেন পরিবহনকে উন্নত করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আপেল এবং গাজরের উচ্চ এল-এসকরিক এসিড পদার্থ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।ফলে আমরা সুস্থ ও সতেজ থাকি।

ABC জুসের কাজ

ABC জুসের কাজ হলো এটি সমস্ত শরীরকে ডিটক্স করে।ক্ষতিকর দিকগুলাকে শরীর থেকে পরীষ্কার করে।ABC জুসকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। এই রস বিভিন্ন পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। শীতে বেশি গাজর পাওয়া যায় ফলে এটি পানে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অনেকটা গোলাপি।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এর নিয়ম কানুন মেনে বানাতে হবে এবং পান করতে হবে সঠিক সময়ে। হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরে রক্তের জন্য অনেক বেশি উপকারী। হিমোগ্লোবিনের অভাবে আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং ক্লান্তি আসে। এরাও আপনাকে সমস্যা থেকে অনেক ভালো একটি সমাধান দিবে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ার ফলে তক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল সুন্দর।

এই রস কী সংরক্ষণ করা যায়

এই রস কী সংরক্ষণ করা যায়? আপনি চাইলে এই শরবত সংরক্ষণ করতে পারেন।তবে তাজা জুসে এর পুষ্টি গুন অধিক পরিমানে থাকে।আপনি এটিকে ফ্রিজে একটি বায়ুরোধী পাত্রে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বা সাত দিন পর্যন্ত রেখে খেতে পারেন।তবে খাবার পূর্বে কিছুক্ষণ বাইরে রেখে নরমাল অবস্থায় খাওয়া উচিত। বাড়ি থেকে কিনে আনা চিনি যুক্ত শরবত আপনাকে অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে।


গাজরে রয়েছে পটাশিয়াম। আর পটাশিয়াম অতিরিক্ত লবণের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে। তাই এটিকে টাটকা বানিয়ে খাওয়া সব থেকে বেশি উত্তম উপায়। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা বলেছেন এই রসে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। যা শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ নির্গমনে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন বানানোর ঝামেলায় এড়াতে চাইলে আপনি সাত দিনের জন্য বানিয়ে ফ্রিজে রেখে পান করতে পারেন।
ABC-জুস

এই শরবত কী সত্যিই রং ফর্সা করে

এই শরবত কী সত্যিই রং ফর্সা করে? অবশ্যই এই জুস রং ফর্সা করে।কারণ বীটরুট ও গাজর ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বাড়াতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।ত্বক কে টান টান রাখে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আন্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ , ই এবং সি। সুন্দর ত্বকের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। যা আপনি এই পানীয় থেকেও পেতে পারেন। এ রস আপনাকে অকারণ ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিবে।

যা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটিকে জুস ছাড়াও আপনি কাঁচা অথবা সবজি হিসেবে প্রতিদিন খেতে পারেন। বিভিন্ন রোগের সমাধান যেমন ক্যান্সার,থাইরয়েড, শুক্রানু বৃদ্ধি হিসেবে প্রতিদিন ডাক্তাররা একটি করে আপেল খেতে বলেন। এটি রং এর উজ্জ্বলতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে আপনার ত্বকের গ্ল্যামার বৃদ্ধি পায় ।

ABC জুস পানের সঠিক সময়

ABC জুস পানের সঠিক সময় হলো প্রতিদিন আমাদের উচিত সকালের খাবারের প্রায় ১ ঘণ্টা আগে পান করা।আমাদের প্রত্যেকের উচিত দিনে একবার অবশ্যই এই জুস পান করা। তবে সারা দিনে দুইবার খেতে পারলে অনেক বেশি ভালো। যে কোন জিনিসের খাবার বা পানের একটি সঠিক সময় আছে। আপনি যদি অনেক বেশি গ্যাসের সমস্যায় ভোগে না থাকে তাহলে এটি সকালে খালি পেটে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। খাবার থেকে শুরু করে জীবনের যেকোনো কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়।

এটি সকালের খাবার এবং লাশ খাবার মাঝখানে খেতে পারেন। তাহলে এর উপকারিতা আপনি একদম দ্রুত গতিতে পাবেন। এটি আপনার ত্বক এবং চুলকে করে তুলবে অবিশ্বাস্যভাবে অনেক বেশি সুন্দর। চুল পড়া কমাতে এবং নতুন ছবি বাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই পানীয়। এটি রূপে,স্বাদে ও গুনে অনন্য। তাই শুধু এই জোশ নয় যে কোন খাবার মানে অনুসন্ধান করুন সঠিক একটি সময়।

ABC জুসের স্বাদ

ABC জুসের স্বাদ অনেক সুস্বাদু। তবে যারা বিটরুটের গন্ধে পছন্দ করে না তাদের একটু খারাপ লাগতে পারে। যেহেতু এই জুসে পুষ্টিগুনে সেরা ।তাই আমাদের উচিত স্বাদের দিকে তেমন নজর না দেয়া। আমাদের যে কোন ধরনের খাবারকে ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। তবে আপনি এর থেকে ১০০ ভাগ পুষ্টি গুনাগুন পাবেন। আমরা যে কোন খাবার কে বেশি স্বাদ বাড়াতে গিয়ে এর পুষ্টি গুণ কে কমিয়ে ফেলি। যা একদমই অনুচিত।

স্বাদের দিক থেকে যেমন উন্নত তেমনি এটি পুষ্টিগুনে ভরা একটি পানীয় খাবার। এতে রয়েছে অক্সিডেন্ট যে আপনাকে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এটির রং যেমন সুন্দর ঠিক তেমন করেই আপনার ত্বকের রং কেউ সুন্দর করে তুলবে। তাই করে আজকে থেকে শুরু করে দিন এই জুস পান করা। এটির মতোই লাল টকটকে হয়ে উঠবেন আপনি। এটি আপনার শরীরকে ফ্রি মেডিক্যালস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।

ABC জুসের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ABC জুসের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত এই জুস পানে আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের এটি পানের ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এলার্জি জড়িত সমস্যা থাকলে গা চুলকায় অথবা চোখের সমস্যা হয়। এটি শুধুমাত্র তাদেরই হবে যাদের এই ধরনের এলার্জিজনিত কোনো সমস্যা আছে। তাই এসব সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বিটরুট হলো এই রসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে অক্সালেট। যা কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেন চিকিৎসকরা। তাই এটি নিয়মিত পানের ফলে অনেকের কিডনিতে পাথর হতে পারে। তবে এটি হবার সম্ভাবনা খুব কম। এছাড়াও আপেল এবং গাজরে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করতে পারে যাদের ডায়াবেটিস আছে।তাই আমাদের উচিত এটি যেন আমরা প্রয়োজনের অনেক বেশি পান করে না ফেলি সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

এটি বানানোর সঠিক উপায়

এটি বানানোর সঠিক উপায় অনেক সহজ।এই জুস বানাতে আমাদের লাগবে তাজা ও টাটকা একটি আপেল,বীটরূট ও একটি গাজর।সবগুলো ধুয়ে একসাথে ছোট ছোট টুকরো করার পর ব্লেন্ডারে ভালভাবে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেকে পান করা।এই পরিমানে আমরা একগ্লাস শরবত পেতে পারি। তবে সব থেকে ভালো হয় এটি ছেকে নিয়ে পান না করা।

কারণ ফলের আঁশ এবং বিচিতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি ও ফাইবার। ছেকে নেয়ার ফলে সেগুলো আলাদা হয়ে যায়। আমরা পূর্ণাঙ্গ পুষ্টি প্রেম পাই না। আপনি চাইলে সাত বাড়ানোর জন্য সাদা লবণ অথবা বিট লবণ ও চাট মশলাও যোগ করতে পারেন। তবে কাঁটা লবণ যোগ করার জন্য এটিতে পুষ্টিগুণ কমে যায়। লবণ সাধারণত আমাদের ওজন বাড়ায় এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকরে। তাই এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য লবণ ছাড়া খাওয়াই উত্তম।

ABC-জুস

গর্ভাবস্থায় এই শরবত পান করা যাবে কিনা 

গর্ভাবস্থায় এই শরবত পান করা যাবে কিনা ? গর্ভাবস্থায় এই জুস পান করা যাবে এবং এটি খুবই উপকারী বীটরূট রক্ত পরীষ্কার করে সমস্ত টক্সিন দূর করে।অন্যদিকে আপেলের রস হবু মায়েদের নিদ্রাহীনতা দূর  করে।অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে,আপেক গর্ভের ভ্রুণের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়।আপেলে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম ভ্রুণের হাড় গঠনে সহায়তা করে।অন্যদিকে গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,বিটা ক্যারোটিন,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন এ,বি,ই এবং আরও অনেক কিছু।

যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব উপকারী।গাজরের পুষ্টি উপাদান গর্ভে থাকা শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। ABC এর রস তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেকটা সুপার ফুডের মত।এক কথায় এটি মা ও শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।মায়ের ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে।মায়ের অতিরিক্ত চুল পড়া কমায়।তবে বেশি পরিমাণে পান  করা যাবে না।এবং অবশ্যই আধা গ্লাস জুসের সাথে পানি মিশিয়ে পান করা উচিত।

স্তন্যপায়ী মায়েদের এই জুস পানের নিয়ম

স্তন্যপায়ী মায়েদের এই জুস পানের নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই শিশুরা বুকের দুধ পান করে এমন মায়েরা এই জুস পান করতে পারবে পরিমাণমত।যেহেতু এটি অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি রস। এই জুস পান করার নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট গবেষণা নেই।তবে নতুন মায়েদের খেয়াল রাখা উচিত যে ,তাদের এই জুসে থাকা ফলে কোনও এলার্জি আছে কিনা।এলার্জি থাকলে তা না পান করায় উত্তম।তাছাড়া মা ও শিশুর স্বাথ্যের কথা খেয়াল রেখে সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত ও প্রচুর পরিমাণে তরল পান কর উচিত।এইদিক দিয়ে বিবেচনা করলে এই জুস অত্যন্ত উপকারী। যদি আপনার এবং আপনার শিশুর কাছে সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বরং আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে এটি যদি আপনি আপনার ডায়েটে সংযুক্ত করেন তাহলে আপনি এবং আপনার বাচ্চা স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক বেশি উপকার পাবেন। আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি যা আপনি এবং আপনার বাঁচার ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বেডরুটে রয়েছে আইরন এবং ফোলেট যশোরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধ করে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের শিশুর স্বাস্থ্যকে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। গাজরে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। তাই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে আপনার জন্য এই জুস অনেক বেশি উপকারী।

লেখক এর মন্তব্যঃ ABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর

আপেল,বিটরুট ও গাজর ফল ও সবজি হিসেবে আলাদা আলাদা স্বাদ থাকলেও এর পুষ্টিগুণ একে অন্যের থেকে অনন্য। এই তিনটি জিনিসের থাকা পুষ্টিগুণের জন্যই তিনটির মিশ্রণে তৈরি এই রস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ইংরেজি শব্দ আপেলের এ, বিটরুটের বি এবং ক্যারোটের সি দিয়ে এর নামকরণ করা হয়েছে এবিসি জুস। সুন্দর ত্বকের জন্য চিকিৎসকের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দিয়ে থাকেন।

তাই পুষ্টিবিদ দের কথা মাথায় রেখে অবশ্যই আপনার এই জুস পান করা উচিত। এটা শুধু ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে তা নয়। আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকেও দূরে রাখবে।আশা করছি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।আমি আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।যদি এই ব্যাপারে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচের দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url