ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

ইমেইল মার্কেটিং কী তা জানা অনেক জরুরী।বর্তমান সময়ে ইমেইল মার্কেটিং খুব জনপ্রিয়।যদিও বাংলাদেশের থেকে বাইরের দেশে এটি বেশ জনপ্রিয়।ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ ইমেইল মার্কেটিং।এর মাধ্যমে অনেক টাকা কামাই করা সম্ভব।
ইমেইল-মার্কেটিং-কী

ভেনচারবিট এর মতে ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল।এটি মূলত এক কথায় Return On Investment যা সংক্ষেপে ROI হিসেবে পরিচিত।বর্তমানে এর চাহিদাও অনেক বেশি।

সূচিপত্রঃইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

ইমেইল মার্কেটিং কী

ইমেইল মার্কেটিং কী? ইমেইল মার্কেটিং বলতে আমরা সাধারণভাবে যে মেইল করি তা কিন্তু নয়।এটি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা  প্রতিষ্ঠান বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বা সেবার চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে ।

এর মাধ্যমে কাস্টমারদের পণ্য বা সেবার প্রতি আকৃষ্ট করা হয়।এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রয় ও প্রচার বৃদ্ধির জন্য যে সকল পণ্য বিক্রয় করা হবে সেই সকল পণ্যের তথ্য ব্যবহার করে কাস্টমারদের কাছে মেইল পাঠানো হয়।

বাইরের দেশগুলোতে ইমেইল খুব প্রচলিত।এবং তারা ইমেইলের মাধ্যমে যেকোনো কাজ করতে অনেক পছন্দ করে।তাই বাইরের দেশগুলোতে এই ইমেইল মার্কেটিং খুব জনপ্রিয়।এবং ইমেইলের এই জনপ্রিয়তা তাদের কাজ কে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহজ করে দিয়েছে।

ইমেইল মার্কেটিং করে সত্যিই কী টাকা আয় করা যায়

ইমেইল মার্কেটিং করে সত্যিই কী টাকা আয় করা যায়? ইমেইল মার্কেটিং কী তা জেনে থাকলে এর মাধ্যমে টাকা আয় হয় কিনা তা আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার ব্যবসার প্রচার প্রচারণার কাজে অনেক সাহায্য করবে এবং অল্প সময়ে অধিক লাভ করবে।অপরদিকে যদি আপনি একজন দক্ষ ইমেইল ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই লক্ষাধিক টাকা কামাই করতে পারবেন।

টাকা আয়ের জন্য আপনাকে অবশ্যই জানা লাগবে যে এটি আসলে কী,কেমন করে করতে হয় এবং এর কৌশল সম্পর্কে।যারা এই মার্কেটিং এর মজা পেয়েছেন তারা খুব সফলতার সাথে এই কাজের সাথে যুক্ত হয়ে লক্ষাধিক টাকা কামাই করছেন।

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে,আপনার ইমেইলে বিভিন্ন প্রোডাক্টের ছবি ও বর্ণনা সহ নানা বাটন যুক্ত অনেক কিছুই আসে।সেই বাটনে ক্লিক করলেই আপনি তাদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে চলে গিয়ে দেখে,বুঝে, এমনকি আপনি চাইলে তাদের সাথে কথা বলে,পছন্দ হলে পণ্য ক্রয় করতে পারেন।

এই যে আপনি ঘরে বসেই এভাবে পণ্য কিনলেন এতে আপনি যেমন সহজেই পণ্যটি পেয়ে গেলেন।ঠিক তেমনি ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্যটি খুব সহজেই আপনার কাছে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে বিক্রয় করে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হলো।এটিই মূলত এই মার্কেটিং কৌশল।

আবার অন্যভাবে এই যে বিজ্ঞাপণ ও চোখ ধাঁধানো সুন্দর ডিজাইন করা বাটনযুক্ত ইমেইল আমরা পাচ্ছি।এটি ডিজাইন করেও খুব সহজেই আপনি লক্ষাধিক টাকা কামাই করতে পারেন।এজন্য আপনাকে ইমেইল ডিজাইন করা,সুন্দর করে কন্টেন লিখা জানা লাগবে।

ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়? আপনি যদি কাজটি ভালভাবে শিখেন এবং একজন সফল ইমেইল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।সুতরাং এটিকে যদি আপনি আপানার ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চান অবশ্যই আপনি সফল হবেন।

ফ্রীলান্সিং জগতে একজন ক্লায়েন্টই পারে আপনার ভাগ্যকে বদলে ফেলতে। তার ভাল রিভিউ বা বড় অর্ডার আপনার জীবনের মোড়কে একদম বদলে ফেলতে পারে।এতে কোনোও দ্বিমত নেই যে,আপনি খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি লাখ লাখ টাকা কামাই করতে পারেন।তার জন্য আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং কীভাবে করবেন

ইমেইল মার্কেটিং কীভাবে করবেন? বিভিন্ন ব্যবসার ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য আমরা যে সাধারণ মেইল ব্যবহার করে থাকি তাতে আমরা সহজেই তথ্য আদান প্রদান করে থাকি।কিন্তু হাজার হাজার মেইল অল্প সময়ের মধ্যে আমরা পাঠাতে পারি না।তার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইমেইল মার্কেটিং জানা লাগবে।

কীভাবে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা সংক্রান্ত তথ্য ও বিজ্ঞাপণ মূলক তথ্য বা অফার সাজিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে ইমেইল পাঠিয়ে বিক্রেতার বিক্রয় বাড়াতে হবে তা আপনাকে জানতে হবে।এমং অবশ্যই আপনাকে সেই জন্য সৃজনশীল হতে হবে। 

সব থেকে গুরুত্বপূর্ন আপনাকে এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা লাগবে।ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি অল্প একটু জেনে কিছুই করতে পারবেন না।এইখানে মোটামোটি না আপনাকে জানতে হবে ফাটাফাটি।তবেই আপনি টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতে যেতে পারবেন।এবং হয়ে যাবেন কোটিপোতি।

এই কাজগুলো করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং টুলস রয়েছে।যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।যোগাযোগের জন্য নূন্যতম ইংরেজি জানা লাগবে।মূলত আপনি ডলারের মাধ্যমেই সহযে অনলাইনে টাকা কামাই করবেন।সেই জন্য ইংরেজি আপনাকে জানতে হবে।স্কিল থাকা লাগবে।এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার যেই টুলসের দরকার তা হলো

  1. Mailchimp
  2. Drip
  3. Active Campaign
  4. Sendinblue
  5. AWeber

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে।এই টুলসগুলো আপনাকে আবশ্যই ভালভাবে জানতে হবে।তাহলে আপনি এগুলো ব্যবহার করে অনেক সহজেই স্কিল্ড হয়ে উঠবেন।এবং আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।এই টুলসগুলো আপনাকে একসাথে হাজার হাজার ইমেইল পাঠাতে সাহায্য করবে।

ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে যে গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো আপানাকে জানতে হবে

ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে যে গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো আপানাকে জানতে হবে তা হলো,ইমেইল মার্কেটিং কঠিন না হলেও সহজ না।আপানাকে অনেক কিছুই জেনে আসতে হবে।তাছাড়া আপনি এই মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন না।এই কাজের জন্য কিছু গুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় দিকগুলো হলো

  1. কাস্টমারদের ইমেইল লিস্ট তৈরী করুনঃঅবশ্যই আপনাকে ইমেইল পাঠানোর কাস্টমারদের ইমেইল লিস্ট তৈরী করতে হবে।এটি এখন আপনি কীভাবে করবেন?আপনি বিভিন্ন ভাবে ইমেইল কালেক্ট করতে পারেন বা কিনতে পারেন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য।কিন্তু আপনি যদি শুধুই একজন ডিজাইনার হন তাহলে আপনাকে ইমেইল লিস্ট দিয়ে দিবে আপনার বস।আপনাকে শুধু এই লিস্টের ইমেইলগুলো আপানার ইমেইল লিস্টে যুক্ত করতে হবে।
  2. সুন্দর একটি টেমপ্লেট নির্বাচনঃইমেইল টেমপ্লেট হচ্ছে আগে থেকে বানিয়ে রাখা কিছু আলাদা ডিজাইন,যা বেশ রিসার্চ করার পর ইমেইল বিশেষজ্ঞরা ও ডিজাইনাররা তৈরী করে রেখেছেন।আপনি এখান থেকে পণ্যের সাথে যায় এমন একটি টেমপ্লেট নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরী করতে পারেন।মানুষ এখন ছোট্ট কিন্তু আকর্ষনীয় জিনিস পছন্দ করে।আপনি ইমেইল টেমপ্লেট যত সুন্দর করে কাস্টমারদের বিক্রয় ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন ,ততো আপনি লাভবান হবেন।
  3. লোভনীয় ও আর্কষনীয় মেসেজ লিখুনঃশুধু ডিজাইন নয় আপনাকে অনেক সুন্দর কনটেন্ট লিখাও জানতে হবে।কাস্টমাররা যদি আপানার মেসেজ পড়ে লোভ বা আগ্রহ অনুভব না করে তবে আপনি শুধু ডিজাইন দিয়ে টিকে থাকতে পারবেন না।আপনার মেসেজ পড়ে যেন কাস্টমাররা পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।ঘুরে যেন চলে না যায়।সেই জন্য আপনাকে ইমেইলের মধ্যে ছোট্ট মেসেজ লিখার পাশাপাশি যোগাযোগ বাটন সহ তারা আকৃষ্ট হয় এমন টেক্সট যোগ করতে হবে।
  4. একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইমেইল পাঠানোঃএই ক্ষেত্রে আপনি মন চাইল আর যখন তখন মেইল করে দিলেন তা কিন্তু না।আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক সময়ে মেইল করতে হবে,এটি যেহেতু দেশের বাইরের জন্য বানানো তাই তারা জেগে থাকে এমন সময় নির্ধারণ করতে হবে।এখন পাঠানোর সময় টা যদি তাদের ঘুমের সময় হয় তাহলে সেটি সিন হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।ফলে সময়ের সাথে সাথে সেটি নিচে চলে যায়।সাধারণত ক্লাইন্টের অফিস টাইম বা তাদের সন্ধ্যার সময় পাঠাতে হবে।কারণ সেই সময় তারা ফ্রী থাকে।এতে আপানার মেইল সিন হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সুবিধা কেমন পেতে পারেন

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সুবিধা কেমন পেতে পারেন? ইমেইল মার্কেটিং কী তা জানার পর এটি করে আপনি নানা ভাবে অনেক লাভবান হতে পারেন।নিজের কোম্পানি থাকলে আপনি আপনার পণ্যের বিক্তয় বাড়াতে পারেন।রেসটুরেন্ট থাকলে সেখানে খাবারের বিজ্ঞাপণ করতে পারেন।অন্যেরটা ডিজাইন করে টাকা কামাই করতে পারেন।

  1. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অনেক ক্লাইন্ট পেতে পারেন।
  2. আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানে অনেক ভিসিটর নিয়ে আসতে পারেন।এতে আপনার পণ্যও বিক্রয় হলো আবার আবার ভিসিটর বাড়লো।এতে আপনি ওয়েবসাইট থেকেও লক্ষাধিক টাকা কামাই করতে পারেন।
  3. এর মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারেন।

ইমেইল-মার্কেটিং-কী

এটি শুরু করার উপায়

এটি শুরু করার উপায় আছে। আপনি চাইলেই শিখে এসে হুট করে শুরু করতে পারেন না।সেই জন্য আপনাকে ক্লায়েন্টের সাথে সংস্পর্শে থাকা লাগবে।বিভিন্ন পণ্যের নতুন আপডেট ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে।এছাড়াও আরও যা লাগবে

  1. টেকনিক্যাল স্কিলঃটেকনিকাল স্কিল বলতে টেকনোলজিক্যালি অনেক বেশি দক্ষ হতে হবে।যেমন আপনাকে জানতে হবে কীভাবে একসাথে অনেক মেইল করা যায়,প্রোগ্রামিং,কোডিং অটোমেশন ইত্যাদি জানা লাগবে।অটোমেশনের সাহায্যে আপনি একসাথে ১০০০০ মানুষকে মেইল পাঠাতে পারবেন।বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে জেনে সুন্দর ডিজাইন করা জানতে হবে।
  2. যোগাযোগ করার ক্ষমতাঃআপানাকে অবশ্যই ক্লায়েন্টের সাথে সুন্দরভাবে যোগাযোগ করতে জানতে হবে।তানা হলে আপনি নিজে কাজ বুঝবেন না এবং আপনি কী পারেন তা অন্যকেউ বুঝাতে পারবেন না।আপনি যদি সুন্দরভাবে পণ্য সম্পর্কে ক্লায়েন্ট কে বোঝাতে না পারেন বা ডিজাইনের অর্ডার নেয়ার জন্য যদি আপনার কাজের ক্ষমতা সম্পর্কে গুছিয়ে ব্যখ্যা করতে না পারেন তাহলে আপনি টিকতে পারবেন না।
  3. সঠিক কনটেন্ট নির্বাচনঃডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে ডিজিটাল কনটেন্টও অনেক ধরনের হয়ে থাকে।আপনাকে বুঝে নিয়ে ঠিক করতে হবে যে,কোন পণ্যের জন্য কোন কনটেন্ট টি সঠিক।যেমনঃভিডিও,অডিও,গ্রাফিক,টেক্সট কনটেন্ট।আপনাকে বিজ্ঞাপণের জন্য যেটি ভাল হবে সেটি বুঝে বা পরীক্ষামূলক ভাবে একবার দেখে নিতে কোন পণ্যের জন্য কোন কনটেন্ট টি ক্লায়েন্ট পছন্দ করছে।সেই অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে।
  4. বিভিন্ন টুলসের প্রয়োগঃএই কাজের জন্য বিভিন্ন টুলসের দরকার হয়।এবং সেগুলো ব্যবহারের নিয়মও আপানাকে জানতে হবে।তবে সেই টুলস সম্পর্কে যদি আপনি ভালভাবে না জেনে থাকেন তবে সেগুলো ব্যবহার না করাই উচিত।এগুলো সবই পেইড।

আপনি কীভাবে ইমেইল সংগ্রহ করবেন

আপনি কীভাবে ইমেইল সংগ্রহ করবেন?ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে ইমেইল সংগ্রহ করা লাগবে।ইমেইল মার্কেটিং কী এটি আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন।কিন্তু এটি তো আর এমনি এমনি হয় না।এর জন্য লাগবে ইমেইল অ্যাকাউন্ট।নেচে দেয়া হলো আপনি কীভাবে ইমেইল সংগ্রহ করবেন।

  1. ওয়েবসাইটের মাধ্যমেঃআমরা একটু খেয়াল করলে দেখতে পাই যে,অনেক ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশান বাটন দেখতে পাওয়া যায়।সেখানে গিয়ে সাবস্ক্রিপশান করলেই আপনার ই,এইল তাদের কাছে চলে যায়।আপনি যদি নিজেই ইমেইল সংগ্রহ করে থাকেন থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট থাকা লাগবে এবং সেখানে আপনাকে সাবসক্রিপশান অপশানটি চালু রাখতে হবে।আর যদি আপনি অন্যের কোম্পানির জন্য ইমেইল ডিজাইন করে থাকেন তাহলে আপনাকে তারাই ইমেইল সংগ্রহ করে দিবে।
  2. বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেঃবিভিন্ন সোশাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক,টুইটার,লিংডিন সহ নানা জায়গায় ইমেইল এমনিতেই পাওয়া যায়।আপনি চাইলে সেখান থেকে খুব সহজেই ইমেইল সংগ্রহ করতে পারেন।এবং এইভাবে আমাদের কোনো টাকাও লাগছে না বা কারো কাছে চাওয়াও লাগছে না।
  3. ইমেইল ক্রয়ের মাধ্যমেঃইমেইল ক্রয়ের মাধ্যমে আপনি ইমেইল কালেক্ট করতে পারেন।বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপনি ইমেইল ক্রয়  করতে পারবেন।কিন্তু তা বেশ খরচের হয়ে যায়।তাই প্রথমেই আপনার উচিৎ ফ্রীতে ইমেইল মার্কেটিং করা।

ক্লায়েন্টের কাছে সঠিকভাবে ইমেইল পৌঁছে দেয়া

ক্লায়েন্টের কাছে সঠিকভাবে ইমেইল পৌঁছে দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।পাঠকের কাছে সঠিক ও সুন্দরভাবে অবশ্যই আপনাকে ইমেইল পাঠাতে হবে।কারণ ইমেইলে যদি কোনো ভুল তথ্য থাকে বা ফেইক কিছু থাকে তাহলে আপনার ব্যবসা লাটে উঠে যাবে।গ্রাহকরা আর কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না এবং আপানার জিনিস ক্রয় করবে না।

অবশ্যই আপনাকে আপনার ইমেইলটি সঠিক তথ্য দিয়ে ও সুন্দর,আর্কষনীয় ভাবে গ্রাহকের কাছে পাঠাতে হবে।বিভিন্ন অফার দিতে হবে।সাথে অবশ্যই আপনার প্রোডাক্টটিও ভাল মানের হতে হবে।আর আপনি যদি অন্যের ইমেইল ডিজাইন করেন তাহলে তার দেয়া সকল তথ্যগুলি অবশ্যই আপানাকে সঠিকভাবে আর্কষনীয় ডিজাইন ও সুন্দর মেসেজের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যাওয়া

ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যাওয়া অনেক দরকার।শুধু এই সেক্টরেই না আপনাকে সকল ক্ষেত্রেই অনেক ধৈর্য্যের সাথে কাজ করতে।বার বার ভুল হবে আপনাকে তা ঠিক করতে হবে।লস হবে আপনাকে উঠে দাঁড়াতে হবে।আপনি যদি ধৈর্য্যশীল না হয়ে থাকেন তাহলে ইমেইল মার্কেটিং আপনার জন্য নয়।ধৈর্য্যের সাথেই আপনাকে এখানে পাঠকের ইমেইল সংগ্রহ করা লাগবে এবং তাদের কে সেই ইমেইল ডিজাইন করে পাঠানো লাগবে।

অপরদিকে আপনি যদি অন্যের ইমেইল ডিজাইন করে থাকেন তাহলে সেটা আপনার বানানোর পর একবারে তাদের নাও পছন্দ হতে পারে।বার বার আপনাকে ঠিক করতে হতে পারে।হোক সেটা লিখা বা ডিজাইন।সেখানে আপনি যদি ধৈর্য্য ধরতে না পেরে বিরক্ত হয়ে ক্লায়েন্টের সাথে খারাপ আচরণ করেন তাহলে কিন্তু হবে না।

ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে যেই জিনিস গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ

ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে যেই জিনিস গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ তা হলো ইমেইল মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ন জিনিস খেয়াল রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে।তানা হলে এখানে আপনি সফলতা বেশি দিন ধরে রাখতে পারবেন না।সুতরাং অবশ্যই আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে।

  1. অবশ্যই আপনাকে এই কাজের জন্য অনেক পরিশ্রমী হতে হবে।
  2. আপনাকে অবশ্যই সুন্দর করে বর্ণনা করা জানা লাগবে তানা হলে তথ্যের সুন্দর বিবরণ আপনি দিতে পারবেন না।
  3. অবশ্যই আপনাকে গ্রাহকের সাথে সুন্দর আচরণ করা লাগবে।আপনি যদি তাদের সাথে বিরক্ত আচরণ করেন তাহলে আপনি তাদের বেশিদিন ধরে রাখতে পারবেন না।
  4. ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই আপনাকে গুগল থেকে টুলস ব্যবহার করতে হবে।ফেইক বা ভুল ইনফরমেশন কোনোভাবেই আপনার দেয়া যাবে না।
  5. আপনার সততা ও কাজের মাধ্যমে অবশ্যই আপনাকে আপনার গ্রহকদের ধরে রাখতে হবে।তাদের সম্মান ও গুরুত্ব  দিতে হবে।তাদের মতামত জানতে হবে ও শুনতে হবে।তবেই আপনি একজন সফল ইমেইল মার্কেটার হতে হবে।

ইতিকথাঃইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

আপনাকে অবশ্যই উপরের সবগুলো ভালভাবে মেনে চলতে হবে।তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।এবং লাখ লাখ টাকা কামাই করতে পারবেনা।তবে এখানে একটা সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি ইংরেজীতে একটু ভালভাবে তাদের সাথে কমিউনিকেট কতে পারেন তাহলে আপনি নিজের কোম্পানি না থাকলে অন্যের মেইল ডিজাইন করে খুব সহজেই টাকা কামাই করতে পারবেন।

এই কাজের জন্য আপনার নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার নাই।আপনাকে ধরাবাধা নিয়মের মধ্যেও চলা লাগবে না।কিন্তু অবশ্যই পরিশ্রমী ও দক্ষ হতে হবে।আর যেহেতু আপনি এখানে ডলারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করবেন তাই আপনার বেশি টাকা ইনকামের সুযোগটা অনেক বেশি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url