ত্রিফলা কী ও এর উপকারীতা

ত্রিফলা কী?ত্রিফলা একটি অসাধারণ ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ এটিকে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে দিয়ে থাকেন। ত্রিফলা সেবন আমাদেরকে নানা রোগ নিরাময়ের সমাধান দেয়।

ত্রিফলা অতি একটি উপাদান। আদিকাল থেকেই নানা সমস্যার সমাধান হিসেবে ত্রিফলাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্রিফলা শুধু আমাদের দেশেই নয় ভারতেও বেশ প্রসিদ্ধ।

সূচিপত্রঃ ত্রিফলা কী ও এর উপকারীতা

ত্রিফলা কী

ত্রিফলা কী?ত্রিফলা তিনটি ফল দিয়ে তৈরী একটি ভেষজ উপাদান। এতে রয়েছে আমলকি,বহেরা ও হরিতকি। এটি বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ঐতিহ্যের সাথে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ত্রিফলা প্রথম আবিষ্কৃত হয় ভারতে। পরে ত্রিফলার গুণাবলীর কারণে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করে। মূলত ত্রিফলার গুণের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতি পেয়েছে।

ত্রিফলা শুকনো ফল দিয়েও তৈরি হয়। আবার তিনটি ফলকে শুকিয়ে গুড়ো করেও ব্যবহার করা হয়। ত্রিফলাই থাকা হরিতকী, আমলকি ও বহেরাই রয়েছে অনেক গুণাবলী। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিফলাকে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এসব ঔষধ অনেক কার্যকরও।

ত্রিফলা কীভাবে খাওয়া যায়

ত্রিফলা কীভাবে খাওয়া যায়?ত্রিফলা কী তা আমরা আগেই জেনেছি।ত্রিফলা ফলকে একসাথে শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানি বা অন্য  তরল পদার্থের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা গুড়ো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এটি খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন আছে। চাইলেই হুটহাটভাবে এটি খাওয়া যায় না। তা না হলে আমরা বিভিন্ন সমস্যাই পড়তে পারি।এটি কোনো পেশাদার ডাক্তার দ্বারা সার্টিফাইড ঔষধ নয়।

আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।এবং আপনি যদি কোনো বিশেষ কারণে ত্রিফলাকে ভেষজ প্রতিকার হিসেবে  এটি সেবনের কথা চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে আলোচনা করে খাওয়া উচিত।কারণ আপনি যদি অন্য সমস্যার জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন এবং সেই ঔষধের সাথে যদি আপনি ভেষজ এটি খেতে চান তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা নিশিচত করে খান।

ত্রিফলার উপকারিতা

ত্রিফলার উপকারিতা হিসেবে রয়েছে অনেক গুণ।ত্রিফলা কী এবং এর উপকারীতা সত্যিই অসাধারণ। এটির ঔষধি গুণকে আর্য়ুবেদিক চিকিৎসার মধ্যে ফেলা হয়েছে।এই গুণাগুণের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যখ্যা নেই।ত্রিফলার ঔষধি গুণের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যখ্যা নেই।এই বিষয়ে গবেষণা চলছে।এখনও ত্রিফলার ঔষধি গুণগুলো প্রমাণিত হয় নি।তাই খবার আগে অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে।

  1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ ত্রিফলাতে রয়েছে ঔষধি গুন। এটি রেচহিসেবে কাজ করে হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করে। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগে ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্রিফলা খাওয়া উচিত। এটি আপনার হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলবে। এবং আপনার পেটকে রাখবে সুস্থ।
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ত্রিফলাই রয়েছে এমন একটি শক্তি যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে। ফলে আপনি সহজে কোন অসুখে আক্রান্ত হবেন না। আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক বেশি বেড়ে যাবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ এটিকে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
  3. ত্রিফলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ ত্রিফলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আন্টি এক্সিডেন্ট। এটি আপনার শরীরের কোর্সকে ফ্রী রেডিক্যালের কারণে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারি।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যে কোন কিছুই আপনার তারুণ্যকে ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  4. শরীরকে ডিটক্সিফাইড করেঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মনে করেন যে,মানুষের শরীরে যে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে তা নিঃসরণে ত্রিফলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তারা কিছু মানুষকে অনেক সময় শরীর থেকে টক্সিন বের করার জন্য ত্রিফলা খেতে বলেন। যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
  5. শরীর থেকে পুষ্টি শোষণঃ আমরা যে খাবারগুলো খাই তা থেকে পুষ্টি গ্রহণের জন্য শরীরের কিছু নিয়ম কানুন আছে। শরীর থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণে ত্রিফলা অনেক অবদান রাখে। খাবার শুধু খেলেই হয় না। শরীর যেন সেই সকল খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারেও আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ ত্রিফলা গ্রহণে উৎসাহিত করেন।
  6. ত্রিফলাকে মাউথ ওয়াশ বলা হয়ঃ ত্রিফলাতে রয়েছে  অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন। এটি আপনার মুখের জীবাণুকে নষ্ট করে। মুখকে দুর্গন্ধ মুক্ত রাখে। ত্রিফলাকে মুখের ভেতরের অবস্থার উন্নতির জন্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটিকে কাঁচা চিবিয়ে খেতে বলা হয় অথবা পানের সাথে গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে বলা হয়।
  7. ক্ষতস্থান কে তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলেঃ ত্রিফলাই রয়েছে হরিতকি, বহেরা আমলকি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ক্ষতস্থানকে তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাইতো আয়ুর্বেদিক গ্রহণ ছোট বাচ্চাদেরকে এটি গ্রহণে বেশ উৎসাহিত করেন। ভিটামিন সি যেমন ক্ষতস্থানকে সারিয়ে তোলে ঠিক তেমনি মুখের রুচিও আনে।
  8. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ যদি আপনার রক্তচাপ উঠানামা করে তাহলে অবশ্যই আপনি ফলাফল সেবন করুন। কারণ ত্রিফলাই থাকা টক গুণাবলী আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্রিফলাই রয়েছে এসিড। এসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ ত্রিফলা সেবন আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরের চলে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখে।
  9. ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করেঃ নিয়মিত খালি পেটে সকালে ত্রিফলার চূর্ণ পান করলে শরীরে থাকা ক্যান্সার সেল কে ধ্বংস করে দেয়। এবং ক্যান্সারের জীবাণু শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। ফলে আপনি এই মরণব্যাধিক ক্যান্সার থেকে দূরে থাকবেন। এর কারণ হচ্ছে হরিতকি, আমলকি ও বহেরায় থাকা গুণাবলী।
  10. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ ১ থেকে ২ চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যাবে। এবং অবশ্যই ত্রিফলার গুঁড়ো সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং এটি  পরিষ্কার করে ছেকে পান করতে হবে। তাহলে আপনি এর পর্যাপ্ত ফলাফল পাবেন। এবং এটি চোখের বিভিন্ন লোক থেকেও দূরে রাখে।
  11. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করেঃ আপনি যদি নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন,তাহলে ত্রিফলাই থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরেও এগুলি বৃদ্ধি ঘটায়। যা আপনার মানসিক ক্লান্তি দূরীকরণের সাহায্য করবে। কারণ এগুলো আপনার ব্রেনের পাওয়ার কে বাড়িয়ে তোলে এবং স্ট্রেস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ এমনটাই মনে করেন।
  12. চুল ত্বক ও দাঁতের জন্য উপকারী: এতে থাকা ভিটামিন সি ও অন্যান্য গুণাবলী আপনার চুল,ত্বক ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চুলে দেয়া বিশেষ একটি তেলে এটি ব্যবহার করা হয়। আমরা সবাই জানি যে আমলকি চুল শক্ত ও কালো রাখে। ত্রিফলা দাঁতের হলদে ভাব দূর করে। ত্রিফলাই থাকা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্যকে ধরে রাখে।
  13. ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ভিটামিন সি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। তাই ওজন কমানোর জন্য ত্রিফলা সেবন অত্যন্ত উপকারী। এটি অবশ্যই খালি পেটে খেলে দ্রুত ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে। এবং ডায়েটের পাশাপাশি এটি আপনাকে সেবন করতে হবে। শুধুমাত্র ত্রিফলা গুঁড়ো খেলেই যে আপনার ওজন কমে যাবে তা নয়। ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে।

ত্রিফলা গ্রহণের নিয়ম

ত্রিফলা গ্রহণের নিয়ম রয়েছে। সাধারণত ত্রিফলা কে গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে বা ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট বানিয়ে গিলে খাওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগের সমাধান হিসেবে ঔষধের মতো এটি খেতে বলা হয়। এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য এর অনেক গুন রয়েছে।

ত্রিফলা সাধারণত খাবার খাওয়ার আগে খেতে হয় অবশ্যই ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী কতটুকু, কখন এবং কীভাবে খেতে হবে তা জেনে নিয়ে খাওয়া উচিত। যদি আপনার নির্দিষ্ট কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করা উচিত।

ত্রিফলা কী ও এর উপকারীতা জানার পর অবশ্যই ত্রিফলার ডোজ জেনে বুঝে খাওয়া উচিত। লেভেল দেখে নির্দেশনা বলি অনুসরণ করে একজন স্বাস্থ্যসেবা ডাক্তারের কথা অনুযায়ী খেতে হবে। যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। অবশ্যই যে কোন কিছু খাবার আগে আমাদের এর সম্পর্কে ভালোভাবে খাওয়া উচিত।

অবশ্যই খাবার আগে এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা যাচাই বাছাই করে খাওয়া উচিত। অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি কোন সনামধন্য উৎস থেকে বা উচ্চ মানের ত্রিফলার তিনটি পণ্য আছে কিনা।ভেজালযুক্ত ত্রিফলা আমাদের উপকারের জায়গায় অপকার করে থাকে।

ত্রিফলা সেবনের পর আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে এটি আপনার শরীরে কেমন পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসছে। অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে হবে আপনার শরীরে কোনো প্রতিকূল প্রভাব পড়ছে কিনা। যদি সমস্যা দেখা দেয় দেরী না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ডুমুর ফল এর গুরুত্ব ও কার্যকারিতা

ত্রিফলা কারা খেতে পারবে না

ত্রিফলা কারা খেতে পারবে না? ত্রিফলা শুধু বয়স্কদের জন্যই নয়,অসুস্থ ব্যক্তি এবং শিশু সকালের উপকারী। তবে অনেকের এই ঔষধি সম্পন্ন জিনিসটি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা অতিরিক্ত পরিমাণে পেতে সেবন করলে গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে। এটি বাজারে নানা অবস্থায় পাওয়া যায়। কেউ পাউডার হিসেবে, কেউ ক্যাপসুল হিসেবে এবং কেউ নির্যাস হিসেবে বিক্রি করে থাকে

ত্রিফলা কে ত্রিদোষ বলা হয়ে থাকে। কথাটি বলেছেন লাইফস্টাইল কোচ এবং লেখক লুক কৌনটিহো।ত্রিদোষ কথাটির অর্থ সকল দোষের জন্য উপযুক্ত। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, ত্রিফলা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি বলেছেন যাদের মৃগী রোগ আছে তারা ত্রিফলা খেতে পারবে না।

গ্যাস, ডায়রিয়া যাদের আছে তারা ত্রিফলা খেতে পারবে না। অতিরিক্ত সেবনে সমস্যা গুলো আরো বেশি দেখা দেয়। আপনার যদি মিউটেশনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কথা শুনে খাওয়া উচিত। আর উপরের কোন কিছুই যদি আপনার না থেকে থাকে তাহলে আপনি ত্রিফলা নির্ভয়ে খেতে পারেন।

ত্রিফলা গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা

ত্রিফলা গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা?যারা গর্ভবতী এবং যারা বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ পান করান তারা ত্রিফলা খেতে পারবেন না। ডাক্তাররা এটি খাবার পরামর্শ দেন না এই অবস্থায়। কারণ ত্রিফলা গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কোন বৈজ্ঞানিক বা ডাক্তারের গবেষণায় ত্রিফলা গর্ভবতী মহিলা এবং দুধ পান করায় এমন মায়েদেরকে ত্রিফলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে করা হয়েছে।

ত্রিফলা রক্ত পাতলা করার ঔষধের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ত্রিফলা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য মোটেও ঠিক নয়। এটি বাচ্চাদের জন্য সব সময় সঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় অনেক সময় ডাক্তাররা অনেক ধরনের ওষুধ খেতে দিয়ে থাকেন। তাই এই সময় ত্রিফলা না খাওয়াই উত্তম।

ত্রিফলা কিভাবে ব্যবহার করা উচিত

ত্রিফলা কিভাবে ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে এখন জানব।ত্রিফলা সেবন করার জন্য ত্রিফলাকে চূর্ণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক সময় ত্রিফলা তেল হিসেবেও পাওয়া যায়। অনেকেই ত্রিফলা নানা কাররে খেয়ে থাকেন। তাই মানুষের শরীর, সমস্যা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিমাপও আলাদা হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এর একটি গড় পরিমাপ রয়েছে।

ত্রিফলার পাউডার হাফ চা চামচ এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে খেতে বলা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা ত্রিফলাকে আলাদা আলাদা করে পাউডার হিসেবে খেতে বলেন। আমলা পাউডারকে খাওয়ার পরে, বহেরা পাউডারকে খাওয়ার আগে এবং অন্যটিকে খাবার দু তিন ঘন্টা পরে খেতে বলেন।

আরও পড়ুনঃ ডায়েটে প্রোটিনের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা এবং পরিমাপ সম্পর্কে

শেষকথাঃ ত্রিফলা কী ও এর উপকারীতা

এক কথায় বলতে গেলে ত্রিফলার গুরুত্ব ও উপকারীতা অনেক। ত্রিফলা চুল,দাঁত ও ত্বকের জন্য সত্যিই অনেক গুরুত্বপূরত। কারণ এতে থাকা আমলকি ও বিলম্ব অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এবং এর পুষ্টিগুণ গুলো ডাক্তারি ভাবেও প্রমাণিত। তাই অন্তত চুল ও ত্বকের জন্য নিঃসন্দেহে এটি অনেক কার্যকরী।

তবে বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে নিজে নিজে ধারণা নিয়ে না খেয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং কোন সময় ও কতখানি খেতে হবে তা ভালোভাবে জেনে বুঝে নিয়ে খেতে হবে। তবেই আমরা এর উপকার গুলো আমরা পাব। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url