প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ বিস্তারিত জানুন
Rowson Ara Koly
১৬ ডিসে, ২০২৪
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ তা নিয়ে আজকের আর্টিকেল। আমাদের দেশে
প্রবাসীদের আর্থিক অবস্থার প্রসারনের জন্য ব্যাংক গুলোকে ঋণ দেয়ার আদেশ দিয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক। এবং প্রবাসীরা সর্বোচ্চ কত ঋণ নিতে পারবেন তা উল্লেখ করে দেয়া
হয়েছে। বিস্তারিত পড়লে তা জানা যাবে।
নতুন নীতিমালা সংযোজন অনুযায়ী ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সুদের
হার নির্ধারণের মাধ্যমে প্রবাসীদের ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগে বেশি আয়ের
প্রবাসীরা মানা নির্মাণের কাজে অল্প পরিমাণে ঋণ নিতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে তার
প্রসারিত হয়েছে।
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫? যেসব প্রবাসী বিদেশে আছেন তাদের আর্থিক
সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি
করেন। যেখানে সফল অথরাইজড ডিলারসকে ঋণের বিষয়ে নির্দেশনা বলি দেওয়া আছে। এই
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশী নাগরিক বিদেশে রয়েছেন তারাই কেবল এই
ঋণের সকল সুবিধা পাবেন।
অর্থাৎ যে সকল প্রবাসীরা বৈধ ভিত্তিতে রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন সেই রেমিটেন্স এর
উপর নির্ভর করে তাদের যাবতীয় ঋণ পাওয়ার বিষয় নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ তারা যে
রেমিটেন্স পাঠাবে সেখান থেকে ঋণের কিস্তি ব্যাংকিং নীতিমালার উপর নির্ভর করে
নিয়ম মেনে কেটে নেয়া হবে। অধিক পরিমাণে জনশক্তি পুনর্গঠনে প্রবাসী কল্যাণ ও
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিএমইটি অর্থাৎ জনশক্তির কর্মসংস্থান ব্যুরোর অধীনে থাকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
রয়েছে 104 টি এবং ছয়টি ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজি সহ মোট ১১০ টি প্রশিক্ষণ
প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫ টি কর্মসংস্থান
উপযোগী স্বল্প ও স্থায়ী মেয়াদী করছে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে
থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশী কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩
হাজার ৪৬০ জন।
প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ পাবার নিয়ম
প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ পাবার নিয়ম হলো যারা চাকরির জন্য বিদেশে গমন করতে চায়
এবং তাদের বিদেশ যাবার জন্য যাবতীয় আনুষাঙ্গিক খরচ যেমন বিমান ভাড়া শ্রম ও
জনশক্তি ইত্যাদি খরচের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োজিত প্রাপ্ত
সংস্থাকে সরকারের দেয়া নিয়ম মেনে অর্থাৎ প্রদেয় কমিশন, সার্ভিস চার্জ ও
অন্যান্য চার্জ সহ 100% খরচের লোন দেয়া হয়। এটি সর্বোচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে তিন
লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।এই ঋণের মেয়াদ হয় তিন মাস থেকে শুরু করে ২৪ ও ৩৬ মাস
পর্যন্ত ।
যে চাকরির জন্য প্রবাসে যাবেন সেই চাকরির কন্ট্রাক্ট ফর্মে বর্ণিত মেয়াদ
অনুযায়ী ঋণের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রবাসী কর্মসংস্থানের ঋণ যারা
পাবেন তাদের যেসব যোগ্যতা থাকা লাগে তা হলো, বিদেশে চাকরির জন্য কাজ করা ও ভিসার
অনুমতি পেয়েছেন এমন বাংলাদেশী নাগরিক এই ঋণ পাবেন। এবং অবশ্যই যে এজেন্সির
মাধ্যমে বিদেশে চাকরি নিবেন সেই জেনিকে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা
ও সুনামের অধিকারী হতে হবে।যিনি ঋণ নিবেন তাকে অবশ্যই ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে ও
লিখিত স্বাক্ষর যুক্ত আবেদন করা লাগবে। এবং অবশ্যই আবদার পত্রের সাথে নিম্নে
উল্লেখ করা কাগজপত্র জমা দিতে হবে ।
সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক জারিকৃত
আবেদনকারীর নাগরিক সনদপত্র।
ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি সত্যায়িত ছবি লাগবে।
এছাড়াও পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
বিদেশে যে চাকরি পেয়েছেন সেই চাকরির নিয়োগ পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। আপনি যে
বিদেশী চাকরি পেয়েছেন সেটা সঠিক কিনা সে সম্পর্কে এবং সরকার শ্রম ও জনশক্তি
এবং প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পত্রের ফটোকপি
লাগবে।
শ্রম জনশক্তি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক
আবেদনকারীর পক্ষে জারিকৃত বিদেশ গমনের সার্ভিস চার্জের বিবরণ সম্পর্কে
একটি প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।
মাসিক বেতন থেকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ও চাকরির মেয়াদকাল সম্পর্কে একটি তথ্য
বিবরণী কাগজ প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিকট জমা দিতে
হবে
প্রবাসী লোন পাবার মাধ্যম
প্রবাসী লোন পাবার মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবথেকে ভালো মাধ্যম হলো প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মূলত প্রবাসে থাকা
বা প্রবাস থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদেরকে এই ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। প্রবাসী
বাংলাদেশীদের আর্থিক সেবা দেয়ার জন্য এক বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে ব্যাংকে
প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার ৯৫ ভাগ টাকা এসেছে প্রবাসীদের শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে।
এবং বাকি টাকা এসেছে সরকার থেকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অনলাইন ব্যাংকিং
কার্যক্রম চালু রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি বিদেশগামী
কর্মীকে ঋণ প্রদান করেছে। মূলত এই ব্যাংকটি তিন দিনের মধ্যে ঋণ মঞ্জুর করে
থাকে। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা উল্লেখযোগ্য কিছু প্রবাসী কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ
প্রদান করে থাকে কর্মসংস্থানের জন্য। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৬৪ টি জেলায়
তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবং আগামীতে তাদের ব্যাংকের শাখা খোলার
পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে শুরু করে মোট ১০১
টি শাখা থেকে প্রায় প্রতিদিন দুই হাজার বিদেশ গমনে ইচ্ছুক এমন কর্মীর কাছ থেকে
রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্মার্ট কার্ড ফি সংগ্রহ করে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেবার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেবার নিয়ম সম্পর্কে প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা তা জানতে পারবো। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রত্যেক প্রবাসীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র এই ব্যাংক থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য বা দেশে ফিরে এসে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন আর্থিক চাহিদা পূরণে লোন দিয়ে থাকে। বেকারত্ব বাংলাদেশের একটি চরম পর্যায়ের সমস্যা। কল্যাণ ব্যাংক অনলাইন বা অফলাইন দুই মাধ্যমেই দেশের বাইরে গিয়ে ইনকাম করতে ইচ্ছুক এমন প্রবাসীদেরকে লোন দিয়ে থাকে।
আমরা সব সময় জানি যে বিদেশে যাবার জন্য একটি প্লেনের টিকিট অফিসার প্রয়োজন
হয়। এর জন্য একজন প্রবাসী ব্যক্তিকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা বা তারও বেশি খরচ করতে
হয়। যা একজন দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। আর যে সকল মানুষের পক্ষে এই
টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় তারা কিন্তু চাইলে খুব সহজেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট অর্থ লোন নিতে পারে। টাকার অভাবে যারা
বিদেশে যেতে পারে না দারিদ্র ঘুচানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের জন্যই
এই ঋণের ব্যবস্থা করেছে।
প্রবাসে কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আপনি সরাসরি তাদের শাখায় যোগাযোগ
করতে পারেন। এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি ফোন পূরণ করতে হবে। তাদের চাহিদা
অনুযায়ী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যুক্ত করে ফরম সহ জমা দিতে হবে। যদি
ব্যাংক কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেন যে আপনি লোন নেয়ার জন্য উপযুক্ত তাহলে তারা
আপনাকে লোন দিবে। অফলাইন ছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন।
আপনি চাইলে ইংরেজিতে ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করতে পারেন (Probashi Kallyan
Bank). এরপর ঋণের জন্য তাদের দেয়া ফরমটি নিজের পিডিএফ ডাউনলোড করার অপশনে
ক্লিক ডাউনলোড করতে হবে। তারপর ফর্মটি পূরণ করে সাথে কিছু প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র নিয়ে কাছের কোনো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গিয়ে সেটে জমা দিতে হবে।
এবং সবকিছু যাতে কথা এর পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে লোন দেয়া যাবে কি যাবে না।
এগুলো অন্য নেয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে এটা শুধুমাত্র তারাই ভালোভাবে বলতে
পারবে। কারণ এর সম্পূর্ণ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে।
এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র ডকুমেন্ট লাগবে তা
তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। আপনি প্রয়োজন মনে করলে সেখানে ক্লিক করে দেখতে
পারেন।https://pkb.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভিজিটের মাধ্যমে আপনি তাদের বিভিন্ন
ঋণ সেবা অপশন থেকে ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বা সরাসরি তাদের কাছ
থেকেই তথ্য জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
লোন কত প্রকার,সুবিধা, তাদের সুদের হার ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন।
এছাড়াও তাদের ঋণের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে
অভিবাসন ঋণ
পুনর্বাসন ঋণ
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
আত্ম-কর্মসংস্থানমূলক ঋণ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণ ঋণ
নারী পুনর্বাসন ঋণ
নারী অভিবাসন ঋণ
তাদের ওয়েবসাইটে ঋণ সম্পর্কে আরো ক্যাটাগরি জেনে নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম আপনি তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই পেয়ে যাবেন।
প্রবাসী লোন এর জন্য আপনি অভিবাসন ঋণের জন্য আবেদন ফরম অথবা পুনর্বাসন লেনের
জন্য আবেদন ফরম ২ টির মধ্যে আপনার চাহিদা অনুযায়ী যে কোন একটিতে ক্লিক করতে
হবে। আপনি যেই ঋণের জন্য আবেদন করতে চান সেই ফর্মটি ডাউনলোড করুন।
ডাউনলোড করা হয় পিডিএফ প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর ফরমের যে সকল তথ্য প্রয়োজন
সেগুলো আপনাকে দিয়ে পূরণ করতে হবে। এরপর ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী যে সকল
কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের
শারায় প্রবাসী লোনের জন্য সেগুলো জমা দিতে হবে। আপনি আপনার প্রবাসী লোনটি
সম্পূর্ণ করতে পারেন।
এই ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এই ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে
প্রবাসী লোন পাবার জন্য। প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ এ আবেদনকারীর
বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এবং অবশ্যই যিনি লোন নিবেন তার নির্দিষ্ট
একটি আয়ের উৎস থাকতে হবে। সেই ব্যাংকে আগে থেকে কোন আপনার ঋণ খেলাপির অভিযোগ
থাকা যাবে না। এবং এলে অন্য মেয়ের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে জমা
দিতে হবে। সেগুলো হলো
বাধ্যতামূলকভাবে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য এই ব্যাংকে ফেললাম নেয়ার জন্য আরেকটি অন্যতম কাগজ হলো
ভিসা। আবেদনকারীর সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
নাগরিকত্বের সনদপত্র লাগবে।
ম্যান পাওয়ার স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
লোন পরিষধের অঙ্গিকার নামা
এই ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা ও অসুবিধা
এই ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সুবিধা গুলো হলো বিদেশ গিয়ে
ইনকাম করার পর লোনের টাকা পরিশোধ করা যাবে। বিনা জামানতে তিন থেকে ধরন অনুযায়ী 5
লাখ পর্যন্ত ঋণ নেয়া যেতে পারে। সুদের হার থাকবে সাত থেকে নয় শতাংশ পর্যন্ত।
দেশে এসে ব্যবসা করার জন্য এই লোন নেয়া যাবে। আমাকে প্রবাসে গিয়ে যদি কেউ
আর্থিক অসুবিধা সম্মুখীন সে ক্ষেত্রেও দীর্ঘমেয়াদী অথবা সহজ শর্তাবলী ভাবে ঋণ
গ্রহণ করতে পারবে।
প্রবাসী লোন এর জন্য এই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে। এই ব্যাংকের
ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এই ব্যাংকের মেয়াদ দুই বছর
হয়ে থাকে। এতদিনের উপরে বিভিন্ন ফী দিতে হবে। যা অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। সময়
মত কিস্তি পরিশোধ না করলে জরিমানা দিতে হয়। এছাড়া আর কোনো অসুবিধা নেই। প্রবাসী
লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ এ সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই এরপরে ঋণ
প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিনা জামানতে ১০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ
বিনা জামানতে ১০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পাবেন। ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের উপর
ভিত্তি করে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। একটি
প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো হয়েছে এই তথ্য। মূলত
প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে বলা
হয়েছে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ঠিক করা হয়েছে যে ব্যাংকগুলো সঠিক উদ্দেশ্যে
প্রবাসীদের ঋণ প্রদান করবে।
যারা ঋণ নেবেন সেসব প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিটেন্স থেকেই ঋণের কিস্তি কেটে নেয়া
হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংকগুলো ঋণের যেসব নিয়মকানুন আছে সেগুলো মেনে কাজ
করবে। বিনা জামানতের ঋণ দেয়ার ফলে এখন যারা একদমই গরিব অসহায় রয়েছেন তারা
সহজেই প্রবাসে যাবার জন্য ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন অথবা প্রবাসে গিয়েও ঋণ গ্রহণ
করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫
এই আর্টিকেলে প্রবাসীরা কিভাবে এবং কত পরিমানে লোন গ্রহণ করতে পারে সেই ব্যাপারে
বলা হয়েছে। এবং আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিয়ম-কানুন বুঝে খুব সহজেই আপনার
নিকটস্থ কোন ব্যাংক থেকে বিস্তারিত আরও জানার পরে লোন গ্রহণ করতে পারেন। এই লোন
একজন প্রবাসের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স এর উপর ভিত্তি
করেই তাদের ঋণের কিস্তি কেটে নেয়া হয়ে থাকে।
প্রবাসী লোন এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার কাছের কোনো ব্যাংকে গিয়ে ভালোভাবে
জানতে হবে। কারণ অবশ্যই তারা আপনাকে সঠিক তথ্য প্রদান করবে। তবে কিছু কিছু তাদের
নিয়ম কানুন আগাম বলে দেয়া হয় যা আমরা আর্টিকেলে লিখে প্রকাশ করে থাকি। এবং
আপডেট পেলে পরবর্তীতে আরো সংশোধন ও সংযোজন করা হবে। এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা ও
কর্মচারীরা ঠিক কি নিয়ম পালন করে প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন তা এই আর্টিকেল পড়লেই
আপনি জানতে পারবেন।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url