শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে সেটা নিয়ে বাবা মা ওনেক চিন্তিত থাকে। বাবা মায়ের কাছে তার সন্তান বা শিশু অনেক মূল্যবান।সন্তানের থেকে প্রিয় বাবা মায়ের কাছে আর কিছু না।সেই প্রিয় সন্তানের যত্নে প্রত্যেক বাবা মা সবসময় অনেক চিন্তিত থাকে।তাদের শারীরিক যত্ন থেকে শুরু করে খাওয়া,ঘুম সব কিছুর প্রতিই থাকে সজাগ দৃষ্টি।
সেই প্রিয় সন্তানকে শুরুতেই অর্থাৎ ৬ মাস বয়সের পর থকেই কী খাওয়ানো উচিত সেই ব্যাপারে ভীষণ চিন্তাই থাকে বাবা মা।বিশেষ করে নতুন বাবা মায়েরা চিন্তায় থাকেন যে,শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে।।আপনি চাইলেই কিন্তু আপনার আদরের সন্তানকে সব কিছু খাওয়াতে পারেন না।সেই ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
সূচিপত্রঃশিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
- শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
- শিশুদের প্রথম খাবার কী দিবেন
- কখন শিশু খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়
- শিশুদের প্রথম খাবার তৈরি করার নিয়ম
- শিশুদের প্রথম খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর নিয়ম
- শিশুকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়
- শিশুদের প্রথম খাবার নিজ হাতে খেতে দিন
- শিশুর খাবার কখন কীভাবে বাড়াবেন
- শিশুদের প্রথম খাবার হিসেবে কী খাওয়ানো উচিত নয়
- শিশুদের প্রথমে কেমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা উচিত
- লেখকের মতামতঃশিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে সেটি জানা অনেক জরুরী। আপনাকে অবশ্যই অনেক কিছু
খেয়াল রেখে খাওয়াতে হবে। ছয় মাস বয়স থেকে খাওয়ানো শুরু করার সময়
হুড়মুড়িয়ে অনেক কিছুই দেয়া যায় না। কারণ ছয় মাসের শিশু অনেক বেশি ছোট
থাকে। এবং তাদের পেটটা অনেক ছোট থাকে। ছয় মাস বয়সে একটি শিশু শক্ত
খাবারের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধও পান করে থাকে।
তাই এই সময় অনেক বেশি কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। শুরুতে তাদেরকে বিভিন্ন রঙিন সবজি ও ফলমূল খাওয়ানো যেতে পারে। ধীরে ধীরে তাদেরকে নানা খাবারের সাথে পরিচয় করাতে হবে। এবং অবশ্যই যে কোন খাবার লবণ এবং চিনি ছাড়া দিতে হবে। কারণ শিশুদের প্রাথমিক অবস্থায় লবন ও চিনি অত্যন্ত ক্ষতিকর। যদি আমাদের দেশের ডাক্তাররা লবণ ও চিনি খেতে বারণ করে না। কিন্তু বাইরের দেশে এ ব্যাপারে অনেক কড়া নিয়ম কানুন আছে।
শিশুদের প্রথম খাবার কী দিবেন
শিশুদের প্রথম খাবার কী দিবেন? অবশ্যই ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে রঙিন ফল ও
সবজি দিতে হবে। এবং অবশ্যই সেটি পিউরি বা নরম করে দিতে হবে। মিষ্টি আলু,গাজর,
মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক এই ধরনের খাবারগুলো সেদ্ধ করে পানি বা বাচ্চার
খাওয়ানোর দুধ দিয়ে হালুয়ার মতো ঘন করে কোনো লবণ চিনি ছাড়াই খাওয়াতে হবে।
এতে শিশু পুরোপুরি পুষ্টিগুণ পাবে।
ফল হিসেবে আপনি আপেল সেদ্ধ করে নরম করে দিতে পারেন। বা মাঝে মাঝে মালটার রস
খাওয়াতে পারেন। তবে এক বছর বয়সের আগে শিশুদের প্রতিদিন ফলের রস না খাওয়ানোই
উত্তম। এবং এসব খাবার দেয়ার সময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে বাচ্চা এসব
খাবারে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এবং প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে, এমনকি প্রতিবেলায়ও আপনাকে অবশ্যই খাবার
পরিবর্তন করে দিতে হবে। এতে শিশু খাবার গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠবে। আপনি চাইলে
শিশুকে মটরশুটি সেদ্ধ খাওয়াতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার বাচ্চাকে
প্রতিবেলায় লাল-সবুজ খাবার গ্রহণে উৎসাহী করে তুলুন।
কখন শিশু খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়
কখন শিশু খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়?শিশুর ছয় মাস বয়স হল খাবার জন্য একটি উত্তম
বয়স। এই বয়স থেকেই শিশুকে একটু একটু করে তার উপযুক্ত খাবার গুলোর সাথে পরিচয়
করিয়ে দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় অনেক কিছুই খেতে চাইবে না বা অনাগ্রহ
দেখাতে পারে। কারণ সে খাবারগুলোর সাথে পরিচিত নয়। আমার অনেক শিশু নতুন খাবার
খাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখায়।
৬ মাস বয়সের একটি শিশু শারীরিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার খাবারের চাহিদার
বিকাশও ঘটতে থাকে। এবং ছয় মাস বয়স থেকেই শিশুর খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে
থাকে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ। তাই শিশুর সব ধরনের বিকাশ যেন বাধাগ্রস্থ না
হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রেখে তার পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করা উচিত। তার উপযুক্ত
খাবারই পারে শিশুর পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে।
শিশুদের প্রথম খাবার তৈরী করার নিয়ম
শিশুদের প্রথম খাবার তৈরী করার নিয়ম। আপনার ছয় মাস বয়সী শিশুকে বড়দের খাবার
দিতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি যে শক্ত খাবার খান সেটি শিশুর জন্য উপযুক্ত নয়।
কারণ শক্ত খাবার গলায় আটকে যেতে পারে, হজমে সমস্যা দেখা দেয়, শিশু সেই খাবার
চিবিয়ে খেতে পারে না।তাই শিশুরা যেন সহজে গেলে ফেলতে পারে তাদের জন্য এমন
খাবার তৈরি করতে হবে
এবং বয়সের সাথে সাথে তাদেরকে একটু একটু করে শক্ত খাবার খাওয়ানোর অভ্যাসও
করাতে হবে। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্যই আপনাকে তাদের সকল খাবার নরম করে
বানিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নরম খাবার এজন্যই দেয়া হয় যেন তারা সেটি সহজে গিলে
ফেলতে পারে এবং হজমে যেন কোনো সমস্যা না হয়। শিশুর এক বছর বয়স পর্যন্ত
তাদেরকে নরম খাবার দেয়াই উত্তম।
শিশুদের প্রথম খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর নিয়ম
শিশুদের প্রথম খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর নিয়ম রয়েছে।শিশুদের শুরুতে
খাওয়ানোটা শুধুমাত্র একটি খাওয়ানোর প্রক্রিয়ায় নয়। শিশু তার প্রথম
খাবারের সাথে সাথে তার সংস্কৃতি সম্পর্কেও পরিচিত হয়। কারণ খাদ্যও সংস্কৃতির
একটি অংশ। সকল দেশের খাদ্যাভ্যাস একই রকম নয়।একেক দেশের খাবার এক এক রকম হয়ে
থাকে। শিশু তার প্রথম খাবারের সাথে সাথে তার পরিবার এবং দেশের খাদ্য সংস্কৃতি
সম্পর্কেও শিখে।
অর্থাৎ প্রথম খাবারের সাথে সাথে সে নতুন কিছু শিখতেও পারছে। অবশ্যই শিশুদেরকে
সাথে নিয়ে একসাথে খাওয়া উচিত। এবং দিনের যেকোনো একটি সময় তাদেরকে নিজ হাতে
খেতে দেয়া উচিত। আমাদের দেশের বাবা মায়েরা বাচ্চাদেরকে নিজ হাতে খাবার সুযোগ
দেয় না। কিন্তু ছয় মাস বয়স থেকেই তাকে দিনের কোন একটি সময় নিজ হাতে খেতে
দেয়ার সুযোগ দিতে হবে।
এভাবে একটি শিশু খুব দ্রুত নিজ হাতে খেতে শিখে যায়। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাসও
বাড়ে। সে তার পছন্দ অপছন্দ বুঝতে শেখে। এমনকি নিজের পছন্দমত তুলে খাওয়ার মধ্য
দিয়ে শিশুদের সিদ্ধান্ত নেয়ার একটি ক্ষমতা ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে। এভাবেই
আপনি আপনার শিশুকে পুষ্টিগুণ নিশ্চিতের পাশাপাশি তাকে আত্মবিশ্বাসী ও
আত্মনির্ভরশীল হতে শেখাবেন। শিশুদের প্রথম খাবার শুধুই খাবার মধ্যে সীমাবদ্ধ না
রেখে এভাবে আপনি তাকে নতুন কিছু শেখাতে পারেন।
শিশুকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়
শিশুকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। অনেক বাবা মায়ের আছেন যারা শিশু খেতে না
চাইলে জোর করে খাওয়ান। এমনকি অনেকেই ধরে বেঁধে খাওয়ান। যা শিশুদের জন্য
অত্যন্ত অনুচিত কাজ। আপনি মনে করছেন শিশু খাচ্ছে না মানে সে পুষ্টি পাচ্ছে না।
কিন্তু তাকে আসলে জোর না করে সে যেন আগ্রহ নিয়ে খায় এই সময়টুকু তাকে দিতে
হবে। কারণ একজন শিশু বা মানুষ কখনোই দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে পারে না।
খিদা লাগলে সে এমনিতেই খাবে। এবং অবশ্যই একটু পর পর আবোল তাবোল অনেক কিছুই খেতে
দেয়া যাবে না। অনেক বাবা-মায়ের শিশুকে একটু পরপর খাওয়াতেই থাকেন। খেতে না
চাইলে জোরজবরদস্তি করেন। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে শিশুদের পেটটা ছোট এবং
তাদের খাবার চাহিদাও কম। তাকে যদি আপনি একটু পরপর এটা ওটা খাওয়াতে থাকেন তবে
সেটা ছোট্ট পেটে খাবেই কত।
শিশুদের প্রথম খাবার নিজ হাতে খেতে দিন
শিশুদের প্রথম খাবার নিজ হাতে খেতে দিন। ছয় মাস বয়সে একজন শিশু মোটামুটি ধরতে
শিখে যায়। নয় থেকে এক বছরের মধ্যে এটি তারা ভালভাবে শিখে যায়। তাই তাদেরকে
চামচ দিয়ে হোক বা নিজের হাতে হোক শিশুদের খেতে দেয়া উচিত। এবং তাদের খাবার
সময় অবশ্যই তাদের পাশে বসে থাকতে হবে। তাদেরকে নিজেরা খেয়ে দেখিয়ে দিতে হবে
কিভাবে খেতে হয়।
বা কতটা মজা করে খেতে হয়, বা তাদের খাবার যে আসলেই অনেক মজার সেটা তাদের
বুঝিয়ে দিতে হবে। এবং তারা কি চায় বা কোনটা অপছন্দ করছে সেই বিষয়টি খেয়াল
রাখতে হবে। এবং খাবারের পছন্দ অপছন্দের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য শিশুদের
স্বাধীনতা দেয়া উচিত। এবং প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে পরিবর্তন করে দিন। এতে
তারা নতুন খাবারের সাথে যেমন পরিচিত হয় তেমনই স্বাদেরও পরিবর্তন হয়।
খাবার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা কাজে যখন আপনি আপনার শিশুকে বাধা দেবেন তখন সেই
শিশুটি বড় হয়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগবে। এই জিনিসটি বাঙালি বাবা মায়েরা
একদমই বুঝতে চায় না। এবং অনেক বাবা মা খাবারের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা করে থাকে।
বাচ্চা খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়ায়, নিজের হাতে খেতে চাইলে ধরতে দেয় না।
ফলে শিশুরা বড় হয়ে নিজের হাতে আর খেতে চায় না।
শিশুর খাবার কখন কীভাবে বাড়াবেন
শিশুর খাবার কখন কীভাবে বাড়াবেন? শিশুকে আপনি যখন ছয় মাস বয়সে খাবার দেয়া
শুরু করবেন তখন শুরুতে যে পরিমাণ খাবার দিবেন, শিশুর ৯ মাস বা বারো
মাস বয়সে আপনি একই পরিমাণ খাবার দিতে পারবেন না। কারণ তখন শিশুর খাবারের
চাহিদা বেড়ে যাবে। অবশ্যই আপনাকে ছয় মাস বয়সের তুলনায় ৯ থেকে ১২ মাস বয়সের
খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। এবং অবশ্যই তার প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী।
চাহিদার বাইরে আপনি আপনার শিশুকে কখনোই জোর করে খাওয়াবেন না।
এতে শিশুর স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এরপর বড় হওয়ার সাথে সাথে
শিশুর খাবারের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। এবং এক বছরের আগে আপনি যে খাবারগুলো শিশুকে
দিতে পারবেন না সেগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে। এবং সেগুলোও না দিয়ে
কিভাবে আপনি আপনার শিশুর পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করবেন সেটিও আপনাকে ভালোভাবে জানতে
হবে।
শিশুদের প্রথম খাবার হিসেবে কী খাওয়ানো উচিত নয়
শিশুদের প্রথম খাবার হিসেবে কী খাওয়ানো উচিত নয়? শুরুতে খাওয়ানো শুরু করার
অবশ্যই আপনাকে কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে। যদিও এই জিনিসগুলো বাংলাদেশের সব বাবা
মায়েরা মানে না। বা ডাক্তাররা ওভাবে মেনে চলতে বলে না। কিন্তু বাইরের
দেশগুলোতে এই জিনিসগুলো খুব ভালোভাবে মেনে চলা হয়। শিশুকে এক বছরের আগে অবশ্যই
লবণ ও চিনি ছাড়া খাওয়ানো উচিত।
কারণ এক বছর পর্যন্ত শিশুর ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো বেড়ে উঠতে থাকে। এবং
এক বছরের আগে শিশুর হার্ট বা অন্য জিনিস গুলো লবণ চিনি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত
থাকেনা। এবং অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ পুরোপুরি না পেলে ভালো মানের কৌটার দুধ
খাওয়ানো উচিত। কখনোই গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত নয়। কারণ গরুর দুধে রয়েছে উচ্চ
প্রোটিন।
যা শিশুর হার্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর এবং হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। এমনটা নয় যে এই
সমস্যা সকল শিশুর ক্ষেত্রেই ঘটবে। কিন্তু এক বছরের আগেই যদি শিশু গরুর দুধ পান
করে থাকে বড় হলে তার নানা অসুখ হতে পারে। যেটা আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেই না বা
বুঝতে চাই না। আর খাবারে যদি লবণ দিতেও হয় তাহলে খুবই সামান্য পরিমাণে দিতে
হবে।
শিশুদের প্রথমে কেমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা উচিত
শিশুদের প্রথমে কেমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা উচিত?আমাদের দেশের বাবা মায়েরা
শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর ভালো খাবারের থেকে বাচ্চাদের মিষ্টি , চিপস, চকলেট
ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে থাকে। বা বড়রা বাড়িতে আসলে এসব খাবার
সাথে করে নিয়ে আসে। যা একদমই উচিত নয়। এতে শুরুতেই শিশুদের অস্বাস্থ্যকর
খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে। ফলে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার আর খেতে চায় না। বা
লবণ যিনি ছাড়া খাবার মুখে স্বাদও লাগে না।তাই আপনার উচিত হবে শিশুকে এসব
খাবার থেকে একদমই দূরে রাখা।
এমন ভালোবাসা দেখানোর উচিত নয় যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য হীতে বিপরীত করে।
এসব খাবার খেলে তারা স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি রুচি হারিয়ে ফেলে। তাই আপনি
চেষ্টা করবেন বিভিন্ন রঙিন ফল ও সবজি শুরু থেকেই নিয়মিত পরিবর্তন করে
খাওয়ানোর অভ্যাস করা। আপনি যদি শুরু থেকে এসব নিয়ম কঠিন ভাবে মেনে চলতে
পারেন তবে আপনার শিশু স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
লেখকের মতামতঃশিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে এ ব্যাপারে আমি মনে করি উপরে উল্লেখিত
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রত্যেকের অবশ্যই মেনে চলা উচিত। এবং জিনিসগুলো অবশ্যই
গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে। এবং আপনি আপনার শিশুকে নরম খাবারের পাশাপাশি
একটু একটু করে শক্ত খাবারের অভ্যস্ত করুন। এবং এক< বছরের আগে বাচ্চাকে ডাল
বা ডিম না খাওয়ানোই উত্তম।
আমার মতে আমি আমার নিজের শিশুর জন্যও এসব গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি নিষ্ঠার সাথে
পালন করে যাব। আমাদের দেশের বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর জন্য বাবা-মা অনেক সময়
ব্যয় করে। প্রথম থেকেই যদি উপরের নিয়ম গুলো আমরা ঠিক ভাবে পালন করি তবে
বাচ্চাদের খাওয়ানোর পিছনে এক দুই ঘন্টা সময় অপচয় করার দরকার হবে না।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url