বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা কিভাবে করবেন

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা আমরা অনেকেই করতে চাই। কিন্তু ভালো আইডিয়া আমরা সকলেই খুঁজে পাই না। আসলে আইডিয়ার থেকে বড় জিনিস হলো আপনি কোন জিনিসে দক্ষ? এবং আপনি যেই জিনিসে দক্ষ সেটি চাহিদা বাজারে কেমন? দক্ষতা ও চাহিদা আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারেন কত সহজে তা এই আর্টিকেল পড়লে আপনি কয়েকটি পরিকল্পনা পাবেন। আপনি যে কাজে বেশি দক্ষ এবং যে কাজ করতে আপনার ভালো লাগে সেটিতে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি ভালো করতে পারবেন। তাই নিজের আইডিয়াগুলো পড়ে দেখে যাচাই করুন আপনি কোনটিতে দক্ষ।

সূচিপত্রঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা অনেকের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মত। কারণ অনেকের ব্যবসার সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। কিন্তু দক্ষতা এবং গুণ থাকলে ও নিজেকে পরিশ্রমী হিসেবে প্রমাণ করতে পারলে, অল্প পুঁজি দিয়েও আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। ব্যবসা হয়ে থাকে লাভজনক অথবা অলাভজনক। আপনি যদি একটু বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অল্প পুঁজিতে কেমন করে লাভজনক ব্যবসা করা যায় তা জানতে পারবেন। অনেকের কাছ থেকে অনেক আইডিয়া শুনে দ্বিধায় ভোগার দরকার নেই।

বাংলাদেশে যে জিনিসের চাহিদা বেশি এবং যেই কাজে আপনার দক্ষতা বেশি সেই ব্যবসাটি আপনি আজকেই শুরু করে দেন অল্প টাকা দিয়ে। বিস্তারিত করলে আপনি বুঝতে পারবেন অল্প টাকায় কোন কোন কাজগুলো আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে অনায়াসেই শুরু করতে পারেন। দক্ষতা না থাকলেও আপনি যদি মোটামুটি ভালো হয়ে থাকেন তবুও শুরু করতে পারেন। কাজ করতে করতে দিনে দিনে আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন।

 অল্প পুঁজিতে ব্যবসার ধারণা আপনি কিভাবে নিবেন

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার ধারণা আপনি কিভাবে নিবেন? আপনাকে বুঝতে হবে বাংলাদেশে কোন কাজের সমস্যা বেশি এবং কোনটির সমাধান বাংলাদেশের মানুষ চায়? ইন্টারনেটে অসংখ্য ব্যবসা ধারণা থাকলেও আপনাকে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা এবং সমস্যা কোথায়? এটি বুঝতে পারলে আপনি অর্ধেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন। এবং আইডিয়া নেয়ার পরে অবশ্যই আপনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এবং আপনাকে এটিও জানতে হবে যে কোন ব্যবসায় লাভের পরিমাণটা সব থেকে বেশি। এবং এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবে না অল্প পুঁজিতে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা আপনি করতে পারবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে চাকরি নেই বললেই চলে। চাকরির আশায় বেকার বসে না থেকে বা শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়েও আপনি এই ব্যবসা গুলো পড়ালেখার পাশাপাশি খুব সহজেই অনায়াসে করতে পারবেন। তাই আপনার সময়,প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ব্যবসার ধারণা নিতে পারেন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা 

রেস্তোরাঁ ব্যবসা বর্তমান সময়ে খুব প্রচলিত। বাঙালি জাতি ভোজন রসিক। এবং বাঙালিরা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও খুব একটা সচেতন নয়। তাই যেখানেই যাই, যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন এরা ভালো মতো খেতে অনেক ভালবাসে। সুতরাং গ্রাম হোক কিংবা শহর সব জায়গাতেই ভালো-মন্দ খাবারের চাহিদা অনেক বেশি। শুধু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যেখানে এই ব্যবসা শুরু করবেন সেখানকার মানুষের আর্থিক ক্ষমতা কতটুকু এবং তাদের খাবার রুচি কেমন? অর্থাৎ তারা কোন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে। তাই অল্প পুজিতে ব্যবসা ধারণা আপনাকে নিতে হবে।

এখন আপনি যদি গ্রামে এ ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তারা নদীর মাছ টাটকা শাকসবজি ডাল ভর্তা এসব খেতেই পছন্দ করবে। এবং সাধারণ খেটে খাওয়া বা তার থেকে আর একটু উন্নত জীবনযাত্রার মানুষদের সামর্থ্য এতোটুকুই। আবার আপনি যদি কোনো ভ্রমণের জায়গায় এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে দেশি এবং বিদেশি সব ধরনের মানুষের স্বাদের চাহিদা অনুযায়ী খেয়াল রেখে খাবারের মেনু তৈরি করতে হবে। বিদেশীরা নিশ্চয়ই বাঙালি সব ধরনের ঝাল ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করবে না। তাই দর্শনের জায়গাগুলোতে আপনাকে ইটালিয়ান থেকে শুরু করে চাইনিজ পর্যন্ত সব ধরনের খাবারের মেনু আপনাকে রাখতে হবে।

এতে করে আপনার এই ব্যবসা জাঁকজমক ভাবে চলবে। এখন আপনার মনে হতে পারে যে ব্যবসা করতে গেলে তো অনেক টাকার দরকার। কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজেই খোলা জায়গাতেও একটু সাজিয়ে নিয়ে অল্প টাকায় দুই তিনটা মাথার একটু বেশি করেও মেনু তৈরি করে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আবার আপনি যদি এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা অফিস আদালতের সামনে শুরু করেন সেখানেও আপনি অল্প টাকায় লাভ করতে পারবেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা অথবা কর্মজীবী মানুষরা অবসর সময়ে কোন ধরনের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি লাভ করতে পারবেন।

এসব জায়গায় এ ব্যবসা শুরু করলে আপনার লাভ হচ্ছে খুব সহজে আপনি আপনার হোটেলের জন্য কাস্টমার পেয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেরাই আপনার হোটেল কে বেছে নিবে। এবং অবশ্যই আপনাকে আপনার হোটেলের খাবারের মান সুন্দর রাখতে হবে। বসার জায়গা এবং আশেপাশের পরিবেশ খুব বেশি সুন্দর না হলেও একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যেন হয়। তাহলে মানুষ আকৃষ্ট হবে। এবং ক্রেতাদের বিশ্বাস আপনাকে সবসময় ধরে রাখতে হবে আপনার সততা এবং খাবারের মানের মধ্য দিয়ে। এবং এই ব্যবসার আরো প্রসারের জন্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা

কফি শপের ব্যবসা

কফি শপের ব্যবসা অল্প টাকায় খুব সহজেই আপনি শুরু করবেন। বাংলাদেশের মানুষের কফির চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীর মানুষরা পড়াশোনা ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে এসে কফি খেতে অনেক পছন্দ করে। তাই সেই সব জায়গাগুলোতে আপনি যদি একটি কফি সব খুলে বসেন তাহলে আপনার ভুল ধারণা অনেক কম লাগবে। আবার ক্রেতারও অভাব হবে না। এবং অবশ্যই আপনাকে কফির মান ভালো করতে হবে। যেন একবার খেয়ে তারা আবারও আসতে চায়। এবং শিক্ষার্থীরা যেন অনায়াসে খেতে পারে সেইদিক বিবেচনা করেও আপনাকে দাম নির্ধারণ করতে হবে।এবং এই ব্যবসার জন্য আপনার অনেক জায়গাযর প্রয়োজন হবে না। আমার অনেক দামি দামি চেয়ার টেবিলেরও প্রয়োজন নেই। 

কারণ শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষেরা এত কিছু দেখেনা। তারা অল্প সময়ে হাতের নাগালে ভালো মানের কপি পেলেই খুশি। শুধু পরিবেশটা ভালো এবং সুন্দর চাকচিক্য হতে হবে। এবং পরিষ্কার কোনরকম পরিবেশে কপি পরিবেশন করতে হবে। ক্রেতাদের সাথে আপনার আচরণ হতে হবে সুন্দর। যেন তারা আপনার আচরণে বিরক্ত  হয়ে ফিরে না যায়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আপনি কফির পাশাপাশি দু-একটা মেনু বাড়াতে পারেন। এতে আপনি অল্প টাকাতেই অনেক বেশি লাভবান হবেন। শুধু বিচক্ষণতার সাথে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে। এবং অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। কোনো কিছুর জন্য অনেক বেশি তাড়াহুড়া করা যাবে না। তাহলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

বিউটি প্রোডাক্ট এর ব্যবসা

বিউটি প্রোডাক্ট এর ব্যবসা বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়। বর্তমান যুগে এসে শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরাও নিজেদের রূপচর্চায় বেশ যত্নশীল হয়ে উঠেছে। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসে খুব অল্প পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন অর্গানিক বিউটি প্রোডাক্ট অথবা মানুষের ত্বকের ক্ষতি করবে না এমন কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন। এবং ধীরে ধীরে উন্নতি হলে আপনি ব্যবসা আরো বড় করতে পারবেন বিদেশি প্রোডাক্ট বিক্রির মধ্যে দিয়ে।

শুরুতেও আপনি বিদেশী প্রোডাক্ট শুরু করতে পারেন। শুধু অল্প কয়েকটি প্রোডাক্ট আপনাকে তুলতে হবে। এবং অবশ্যই আপনার ব্যবসার প্রচার এবং প্রচার করতে হবে। এবং সব ধরনের মানুষ যেন কিনতে পারে এমন কয়েকটি দামের প্রোডাক্ট আপনার হাতে রাখতে হবে। বিশেষ করে তারা শিক্ষার্থী তারা বেশি এসব বিষয়ে আগ্রহী। তাই তাদের সামর্থের মধ্যেই আপনাকে পেটে প্রোডাক্ট সেল করতে হবে। তাই মাথায় রাখতে হবে কোন প্রোডাক্টটি বিক্রি করলে আপনি অল্প দামেই বেশি লাভবান হতে পারবেন।

ডিজিটাল পণ্য এবং সেবার ব্যবসা

ডিজিটাল পণ্য এবং সেবার ব্যবসা বর্তমান সময়ে অধিক লাভজনক। যদিও মানুষ এই ব্যবসা সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। এতে খরচ একদমই শূন্য। এখানে শুধু আপনার মেধা ও যোগ্যতা থাকলেই হবে। এটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি হতে পারেন অধিক পরিমাণে লাভজনক। যেমন ফটোগ্রাফি, বিভিন্ন গান ও ছবি ডাউনলোড করে সেগুলো বিক্রি করা। শিক্ষার্থীরা এসব জিনিস কিনতে খুব বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। মূলত আপনার যে কোন ব্যবসার মেন্ট টার্গেট হবে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষদের প্রয়োজনের দিকগুলো।

বিভিন্ন অনলাইন গেমস, অ্যানিমেশন ডিজাইন করে, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সেলিং করে। এছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষকে সেবা দিতে পারবেন। সেটি নির্ভর করবে আপনি মূলত কোনটির উপরে বিশেষজ্ঞ। কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার যদি মনে করে যে  তিনি অনলাইনের মাধ্যমে তার সেবা পৌঁছে দেবেন সকলের কাছে। তাহলে খুব সহজে তার চেম্বারের পাশাপাশি অনলাইনে সেবা দানের মধ্য দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবে। এটি হলো অনলাইন ব্যবসা।

স্টেশনারি শপ

স্টেশনারি শপ এর চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক। কারণ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। তার বিভিন্ন স্কুল কলেজের পাশে স্টেশনারি শপের দোকান খুললে সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন। কারণ শিক্ষার্থীদের বই,খাতা,কলম,পেন্সিল ইত্যাদির অনেক কিছু চাহিদা থাকে। তাই তাদের চাহিদা পূরণে আপনি এসব জিনিসের ব্যবসা শুরু করলে অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। বাচ্চারা বিভিন্ন রঙিন এবং ডিজাইন করার জিনিস পছন্দ করে। আপনার শপে বিভিন্ন ধরনের ইরেজার বা মুছুনি, বিভিন্ন ডিজাইন করা পেন্সিল রাখতে পারেন। এগুলো বাচ্চারা দেখে আকৃষ্ট হয় এবং কিনে নিতে চাই।

আপনার ব্যবসার আরেকটি কৌশল হবে মানুষকে আকৃষ্ট করা। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন অফিস আদালতের বাইরে এই শপ দিতে পারেন। কারণ সেখানেও খাতা কলমের প্রয়োজন হয়। এখন আপনি  এমন একটি জায়গায় শপ খুললেন যেখানে অলরেডি আগে থেকেি আরও কয়েকটি দোকান আছে। তাহলে হবে না। যেখানে একটি বা দুটি দোকান আছে সেখানেই আপনি এই দোকান দিলে লাভবান হতে পারবেন। তাই শুধু দোকান দিলেই নয় আপনাকে জায়গায এবং পরিস্থিতিও বুঝতে হবে। যেখানে সেখানে দোকান দিয়ে দিলে হবে না। এবং কোন ধরনের জিনিস মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করবে সে ব্যাপারে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা

হেলথ সেক্টর ব্যবসা

হেলথ সেক্টর ব্যবসা বর্তমান সময়ে অধিক থেকে অধিক জনপ্রিয়। জনপ্রিয় থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ এখন মানুষের ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, প্রেশার বেড়েই চলেছে। যেসব রোগের আগে আমরা নামও শুনিনি সেগুলো এখন মানুষের ঘরে ঘরে চলে এসেছে। তাই এই সময়ে হেলথ সেক্টর ব্যবসা অনেক বেশি লাভবান। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা, স্কয়ার হসপিটাল ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো সবই হেলথ সেক্টরের শাখা। এবং এগুলো ধীরে ধীরে দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে।

আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে এই ব্যবসা গুলো এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। কারণ এর প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। তাই আপনি চাইলে আপনার সাধ্যমত এসব সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারেন। এবং বছর শেষে গিয়ে লাভবান হতে পারেন। এবং এই সেক্টরের ব্যবসা শুধুমাত্র শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দেশের আবাসিক আনাচে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আপনার উচিত এক লাখ দুই লাখ পাঁচ লাখ যেটাই আপনার সাথে হোক না কেন এই টাকাটা আপনি এই সেক্টরে বিনিয়োগ করে ফেলুন। এতে আপনি লাভবান হয়ে যাবেন।

নিউজ লেটারের ব্যবসা

নিউ লেটারের জব্যবসা করে আপনি ০ টাকায় অধিক লাভবান হতে পারেন। এটি মূলত ফ্রিতে আপনি মানুষকে প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষনীয় বিভিন্ন নিউজ লিডার ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে এ্যাট দেখানোর মধ্য দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর ফলে আপনি মাসে ৬০০ থেকে ৬৫০ ডলার ইনকাম করতে  পারবেন। হতে পারে বিভিন্ন জব অ্যাপ্লিকেশন কিভাবে তৈরি করতে হয় তার নিয়ম কানুন, কিভাবে টাকা জমাতে পারবেন তারা কৌশল ইত্যাদি। 

এসব নিউজ লেটার আপনি ফ্রিতে তৈরি করে ইমেইল পাঠানোর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে কোনরকম  টাকা-পয়সা বিনিয়োগও করা লাগছে না। আপনি যদি এখান থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করেন এরপরে আপনি চাইলে প্রিমিয়াম নিউজ লেটার বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে টাকা খরচ করা লাগবে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের জন্য ফ্রি নিউজ লেজারের ব্যবসায আপনার জন্য অধিক লাভজনক হবে।

লেখকের মন্তব্যঃ অল্প পুঁজিতে  লাভজনক ব্যবসা

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দশটি রিজিকেরউপায়ের নয়টি রয়েছে ব্যবসার মধ্য দিয়ে। তিনি আরো বলেন একজন সৎ ব্যবসায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবে। ধর্মীয়ভাবেও ব্যবসার গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। তাই অন্যের অধীনে চাকরি না করে অথবা চাকরির জন্য বছরের পর বছর বেকার বসে না থেকে, অথবা শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি আপনি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে পারেন।
এবং অবশ্যই আপনাকে কোন ব্যবসাকে ছোট করে দেখলে হবে না। সব কর্ম সম্মানের অধিকারী। আত্মনির্ভরশীলতার উপর দিয়ে কিছুই নেই। এবং ছোট থেকে সবকিছু বড় হয়। তার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য ও দক্ষতা। এবং অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। এর উপর দিয়ে কিছুই নেই। এবং আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী লাভজনক ব্যবসা কে খুঁজে নিন। এবং আপনার রিজিককে বেছে নিন। সততার সাথে ব্যবসা করুন,রিকে বরকত আনুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url