কীভাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে

কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে তা নিয়ে আজকের আর্টিকেল। একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই পড়ালেখার পাশাপাশি টাকা আয় করা উচিত। এতে সেই শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, টাকা আয় করার ধারণা, এমনকি মেধা থাকলে সে ব্যবসা করাও শিখতে পারে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে।
কীভাবে-শিক্ষার্থীরা-টাকা-আয়-করতে-পারে
বাংলাদেশের বাইরে ১৮ বছরের পরেই নিজেদের খরচ নিজেদের চালানোর নিয়ম আছে। আমি মনে করি এটি খুব ভালো। এর ফলে অল্প বয়সেই আত্মনির্ভরশীল হওয়া যায়। এবং পরবর্তীতে ভালো কিছু করার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আমরা জানি যে আমাদের দেশে যে কোন জায়গায় অভিজ্ঞতার কতটা দাম আছে।

সূচিপত্রঃ কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে

কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে

কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে? বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা চাইলেই অনেকগুলো মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। শুধু বুদ্ধি,পরিশ্রম এবং মেধা দিয়ে দিয়ে সেই মাধ্যম গুলো খুঁজে বের করে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা টাকা ইনকাম করতে পারে। একজন শিক্ষার্থী চাইলেই মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে অল্প বয়স থেকেই টাকা কামিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। সেজন্য প্রথমে দরকার একজন শিক্ষার্থীর প্রবল পরিমাণে ইচ্ছা শক্তি। কোন কিছু পাওয়ার জন্য প্রবল ভাবে সেটিকে চাওয়া লাগে।

টিউশনি করানোঃ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের টাকা আয়ের মাধ্যম হচ্ছে টিউশনি করানো। বিশেষ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশনি করানোর জন্য চাহিদা অনেক বেশি থাকে। যে শিক্ষার্থী যেই বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করে সেই শিক্ষার্থী উক্ত বিষয়ের উপর টিউশনি করিয়ে থাকে। যেমন কেউ যদি ইংরেজি সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে তবে সে ইংরেজি টিউশনি করিয়া থাকে।

এর ফলে সে উক্ত বিষয়ে প্রফেশনালি সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।বাংলাদেশে কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে? টিউশনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে থাকে যে তারা পড়ানোর জন্য কাউকে পায় না। কিন্তু সে যদি এই সমস্যার সমাধান হিসেবে প্রফেশনালি কোন পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে যে সে পড়াতে চায়। তাহলে সে খুব সহজেই টিউশনি পেয়ে যাবে। টিউশনি করানোটা মূলত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ এবং সময় বের করা যায়।

ফ্রীল্যান্সিংঃ ফ্রীল্যান্সিং হলো জনপ্রিয় টাকা ইনকাম গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে ফ্রীল্যান্সিং করে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এবং চাহিদা অনেক বেশি। কারণ বাংলাদেশের মানুষ অনেক কম মজুরিতে কাজ করে থাকে। তাই বাংলাদেশে কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে এমন মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফ্রীলান্সিং কে অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারে। একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই জানা উচিত কীভাবে ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে টাকা আয় করা যায়। এই সেক্টরে অনেকগুলো স্কীলের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থী চাইলে যে কোন একটি স্কীল বেছে নিয়ে সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে।

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং ইত্যাদি হলো ফ্রীল্যান্সিং এর কিছু স্কীল। কোন শিক্ষার্থী যদি মনে করে যে সে ফ্রীল্যান্সিং করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে এ স্কীল গুলো শিখে নিতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ফ্রীল্যান্সিং করার জন্য এই ধরনের কোর্সের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীদের কে এই স্কীল গুলো বিভিন্ন একাডেমি অথবা ইন্টারনেট থেকে শিখে নিতে হবে। ইউটিউবে অনেকগুলো চ্যানেল রয়েছে যেখানে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ফ্রী নানা ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।

একজন শিক্ষার্থী চাইলে সেখান থেকে ফ্রী এই জিনিসগুলো শিখে নিতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে কাজগুলো শেখা যায় না। ধারণা নেয়া যায় মাত্র। একজন শিক্ষার্থী যদি আরো ভালোভাবে শিখতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই একটি সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। এটাকে ভালো প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা খুব একটা সহজ নয়। ইন্টারনেট বা you tube এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী যদি শিখে থাকে তাহলে সে সেখান থেকে কোনো সার্টিফিকেট পাবে না।

একজন শিক্ষার্থী যে কিনা একটি সার্টিফিকেট চায় অথবা অনেক উন্নত স্কীল শিখতে চাই তাকে অবশ্যই একটি পেইড কোর্স করা লাগবে। আপনি যদি রাজশাহীর মানুষ হয়ে থাকেন এবং অফলাইনে শিখতে চান তাহলে আপনি অর্ডিনারি আইটিতে আসতে পারেন। অথবা যদি অনলাইনে করতে চান তাহলে এসইও বা গ্রাফিক ডিজাইন শেখায় এমন কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিয়ে শিখতে পারেন। শেখার পরে একজন শিক্ষার্থী চাইলে দেশী কোম্পানি অথবা বিদেশী কোম্পানিতে কাজ করতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ভালো হয় দেশী কোম্পানিগুলোর সাথে কাজ করা। একজন শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা বাড়ায় এবং ভুল ত্রুটি সংশোধন করে শিখতে পারে।

একজন শিক্ষার্থী চাইলে ফ্রিল্যান্সিং খোঁজার জন্য বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করতে পারে। চাকরি পাওয়ার জন্য ফেসবুক গ্রুপ খুব ভালো মাধ্যম একজন। একজন শিক্ষার্থী যদি মনে করে যে সে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করতে চায়, তাহলে অবশ্যই ফেসবুক গ্রুপ সম্পর্কিত গ্রাফিক্স ডিজাইন খুঁজতে হবে। অনেক লোকজই ফ্রিল্যান্সারের জন্য চাকরির ভেকেন্সি দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী চাইলে সেখান থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে। একজন শিক্ষার্থীতে চাইলে বিদেশী কোম্পানিতে কাজ খুঁজে নিতে পারে। এক্ষেত্রে তার ইংরেজি জানাটা জরুরী। তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এনআইডি কার্ড, অথবা পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

একজন শিক্ষার্থীর জন্য এনআইডি কার্ড অথবা ব্যাংক একাউন্ট খোলা কঠিন হয়ে যায়। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তারা চাইলে তাদের পিতামাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারে। একজন শিক্ষার্থী চাইলে ফাইবার ও up work থেকে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং জব পেতে পারে। একজন শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং চাকরি খুঁজে দেখতে পারে। একজন শিক্ষার্থী বাংলাদেশে বসে এসব ওয়েবসাইট থেকে টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে। সেজন্য একজন শিক্ষার্থীকে  অবশ্যই কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সময়মতো প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। এবং আরো নানাভাবে  এই সেক্টরে সফল হতে পারে।

গৃহ পালিত পশু বিক্রী ও লালন পালন করেঃ যেসব শিক্ষার্থী গ্রামে বসবাস করে তারা চাইলে খুব সহজেই গৃহপালিত পশু গুলো বিক্রী করে অথবা লালন পালন করে অনায়াসে টাকা ইনকাম করতে পারে। গৃহপালিত পশু বিক্রী ও লালন পালন খুব অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়। একজন শিক্ষার্থী কিছু গৃহপালিত পশু যেমন ছাগল, ভেড়া, গরু, হাঁস-মুরগি কিনতে পারে। সেগুলো লালন পালন করার পরে বিক্রি করে একজন শিক্ষার্থী টাকা আয় করতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছু শিক্ষার্থী চাইলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রী করে টাকা আয় করতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলো তারা এ ধরনের কাজকে খুব অপমানজনক বলে মনে করে।

তারা একদমই পশু বিক্রী করতে চায় না। কিন্তু আর পাশাপাশি পশু পালনও বিক্রী করা মোটেও লজ্জাজনক নয়। শিক্ষার্থীদের উচিত সকল পেশাকে গর্বের সাথে গ্রহণ করা। গৃহপালিত পশু বিক্রীর আগে একজন শিক্ষার্থীকে গৃহপালিত পশু সম্পর্কে  অবশ্যই কিছু ধারণা নিতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর পশুদের খাবার,বিভিন্ন অসুখ,তাদের বাজার দাম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটি গ্রামে বসবাসরত শিক্ষার্থীর জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি খুবই লাভজনক একটি পেশা হতে পারে।

অনলাইন ই-কমার্স বিজনেসঃ অনলাইন ই-কমার্স বিজনেস খোলা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই সহজ। একজন শিক্ষার্থী চাইলেই ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট গুলি বিক্রী করতে পারে। করোনা কালীন সময়ে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবসা কে অনলাইনে রূপান্তর করেছিল। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে ল্যাপটপ,মোবাইল ফোন অথবা খাবার বিক্রী করেছিল। একটি অনলাইন দোকান প্রতিষ্ঠা করা খুব কঠিন কিছু নয়। শিক্ষার্থীরা চাইলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ব্যবসার বিজ্ঞাপন করতে পারে। অনলাইনে বিজনেসের জন্য কোন লাইসেন্স এরও দরকার হয় না।

অনলাইন ই-কমার্স বিজনেস খুব বড় ধাক্কা এনেছিল যখন থেকে বিকাশ নগদ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পেমেন্ট প্রসেস টা এর মাধ্যমে খুব বেশি সহজ এবং তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। এখনতো অনলাইনের মাধ্যমেও খুব সহজেই জিনিসপত্র এখান থেকে ওখানে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। একজন শিক্ষার্থী চাইলে কুরিয়ার সার্ভিসের বিজনেসও করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা ব্যবসা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা নিতে পারবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।

রিমোট জবঃ রিমোট জব বলতে বোঝায় ঘরে বসে কাজ করাকে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য ঘরে বসে কাজ করার থেকে সহজ কোনো কিছুই আর নেই। এর মাধ্যমে সে পড়ালেখার পাশাপাশি মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এটি আরো বেশি উপযোগী। বাংলাদেশে লিংকডিনের মতো নানা ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে তারা রিমোট জবের অফার করে থাকে। পৃথিবীব্যাপী অনেক কোম্পানি তাদের ঐতিহ্যবাহী নিয়মগুলোকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এই গ্লোবালাইজেশন এর যুগে খুব সহজেই লোকজন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যেতে পারছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইমপ্লয়ীদের মধ্যকার সম্পর্ক খুব ভালোভাবে গড়ে উঠছে। এই রিমোট জবের ভালো একটি দিক হচ্ছে ইমপ্লয়ীদের সময় খুব বেঁচে যায়। তাদেরকে অফিসে আসা লাগে না এবং তারা তাদের সময়কে প্রচুর পরিমাণে বাঁচিয়ে নিতে পারছে। এর ফলে তারা এর পাশাপাশি অন্য মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবে চাইলে। এর ফলে কোম্পানিগুলো তাদের টাকা বাঁচিয়ে নিতে পারছে। অফিসে আসার জন্য অতিরিক্ত টাকা তাদের দেয়া লাগছে না। শিক্ষার্থীদের জন্য এই রিমোট জব হচ্ছে গোল্ডেন সুযোগ। বাংলাদেশে বসে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোন জায়গার কোম্পানিতে এই রিমোট জব করতে পারে।

এই ধরনের কাজের সবগুলোই হয়ে থাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে। তাই অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারের অভিজ্ঞ হতে হবে। এবং যোগাযোগের জন্য নূন্যতম ইংরেজি জানা লাগবে। কাজ করতে করতেই যোগাযোগের জন্য মোটামুটি ইংরেজি বলা শিক্ষার্থীরা চাইলেই শিখে নিতে পারবে। তাই স্কুলে পড়া অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উচিত কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা করা এবং সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠা। এভাবেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা কামাই করতে পারে।

পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমেঃ পার্ট টাইম জব শিক্ষার্থীদের জন্য খুব ভালো একটি সুযোগ পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকামের জন্য। একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পড়ালেখায় বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পড়ালেখার চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থী চাইলে পার্টটাইম জবের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। এই জবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে কিছু সময় কাজ করা লাগে। সেটা হতে পারে অফিসে, হোটেলে অথবা আরো অন্য জায়গায়। পার্ট টাইম জব নিয়ন্ত্রণ করা একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়।

বিশেষ করে একজন শিক্ষার্থী যখন পরীক্ষার সময় আসে তখন তার জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। একজন শিক্ষার্থীর যেহেতু পড়াশোনা করাটাই প্রধান লক্ষ্য। তাই পার্ট টাইম জব যদি তার কাছে মনে হয় যে পড়ালেখার ক্ষতি করে দিচ্ছে সেক্ষেত্রে তার সেই চাকরি ছেড়ে দেয়াটা উত্তম। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীর যদি মনে হয় যে সে সময় ম্যানেজ করতে পারছে অথবা যে প্রতিষ্ঠানে সে কাজ করে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি পরীক্ষার সময় তাকে ছুটি দিয়ে থাকে তাহলে সে চাইলেই খুব সহজে পার্ট টাইম জবের মধ্য দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারে।

ইন্টার্নশীপ এর মাধ্যমেঃ বাংলাদেশে কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে এমন মাধ্যম গুলোর মধ্যে ইন্টার্নশীপ হচ্ছে অন্যতম। ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে খুব অল্প পরিমাণে অথবা অনেক সময় কিছু না দিয়েই কাজ করানো হয়ে থাকে। কিন্তু এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে সরাসরি অনেক টাকা ইনকাম করার সুযোগ নেই। এর মাধ্যমে অনেক টাকা কামানো যেতে না পারলেও শিক্ষার্থীরা এটিকে টাকা কামানোর প্রথম ধাপ হিসেবে নিতে পারে। বাংলাদেশে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন।

কিন্তু ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে সিভির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে শিক্ষার্থীর জন্য। এক কথায় এই অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদেরকে ফিউচারে অনেক সুযোগ এনে দিবে। ফুল টাইম জবের থেকে তিন থেকে ছয় মাসের জন্য  সামান্য টাকায় ইন্টার্নশীপের এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে। এক কথায় সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে এই অল্প সময়ের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বড় কোনো চাকরির জন্য সুবর্ণ সুযোগ বয়ে আনতে পারে।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা টাকা করতে পারে এরকম আরও মাধ্যমঃ একজন শিক্ষার্থী চাইলে কোন কিছুর দোকান দিতে পারে। হতে পারে সেটি খাতা কলম। বা কোন ছোট্ট খাবার হোটেল। এর মাধ্যমে সে অবসর সময়ে কাজ করে ব্যবসা সম্পর্কে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের টাকা আয় কে শুধুমাত্র টাকা ইনকামের মাধ্যমে হিসেবে নয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে হিসেবেও নিতে পারে। 

এতে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে যেমন ভালো ধারণা হবে তেমনি বাস্তব অভিজ্ঞতাও বাড়বে। যদি কোনো কারনে একজন শিক্ষার্থী তার টাকা ইনকামের কাজে ব্যর্থ হয়ে থাকে তাহলে সেই তার ব্যর্থতা কে জীবনের শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষা জীবনে একজন শিক্ষার্থী অল্প কিছু ইনভেস্ট করে সেখান থেকে কিভাবে ব্যবসায় লাভ করা যায়, বা লস হলে সেই লস কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হয় এই হিসাবগুলা তারা খুব সহজেই সময়ের মধ্যে শিখে যেতে পারে। যা ভবিষ্যতে তাদেরকে খুব বড় ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করবে।

কেন শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন

কেন শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন?বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই হয়ে গেছে বইয়ের মধ্যে থাকা সীমাবদ্ধ জ্ঞানের উপর। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক্টিকাল কাজের সুযোগটা খুব কম রয়েছে। যেটা দেশের বাইরে শিক্ষা ব্যবস্থায় খুব ভালোভাবে রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক গুলো সদ্য পাশ করা ক্যান্ডিডেটের থেকে অভিজ্ঞ ক্যান্ডিডেট কে নির্বাচন করে থাকে চাকরির জন্য। কিন্তু এ পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন থেকে টুকটাক ইনকামের পথে হেটে থাকে তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা হবে এবং তারা খুব সহজেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চাকরি পেতে পারবে। এখনকার সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্লাব কালচারটা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে এখানে অংশগ্রহণ করে অনেক জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারে এটি তাদের ক্যারিয়ারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

কীভাবে-শিক্ষার্থীরা-টাকা-আয়-করতে-পারে

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠশালাসফট এর ভূমিকা 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠশালাসফট এর ভূমিকা কতটুকু? পাঠশালা সফট হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। পরিশ্রমী এবং মেধাবী সফটওয়্যার ডেভেলপাররা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য পাঠশালা সফট প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সফটওয়্যার ডেভেলপড পাঠশালা সফট এর মাধ্যমে বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এ সফটওয়্যারটি ডিজিটাল ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি গ্রহণ,গ্রহণযোগ্যতার কাজ, পরিষদের কাজ,অনলাইন এডমিশন এর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কাজগুলোর পাশাপাশি এটি, রেজাল্ট পাবলিশ করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে রাখে। এই সফটওয়্যার এর তথ্য সংগ্রহ সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ এবং নিশ্চিত থাকে। এই পাঠশালা সফট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক মূল্যবান সময় বেঁচে যায়। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর ওপরে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারে।

শিক্ষার্থীদের টাকা আয় কীভাবে শুরু করা উচিত

শিক্ষার্থীদের টাকা আয় কীভাবে শুরু করা উচিত? একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার পর এর পাশাপাশি চাইলে নানাভাবে টাকা আয় করতে পারে। কিন্তু এটা এমনি এমনি হয়ে যাবে না। কেউ এসে একজন শিক্ষার্থীকে টাকা কামাই করে দিয়ে যাবে না। একদিনে বা অল্প সময়ে টাকা অনেক বেশি উতলিয়ে পড়বে না। এইটা ভাবলে চলবে না যে আমি একজন শিক্ষার্থী হয়ে এই কাজ কেন করব। কাজটা কে মূলত কাজ হিসেবে নয় শিক্ষার্থীদের এটিকে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা। যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনের কাজের এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় কিছু হওয়া যায়।

মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া লাগবে। অনেকে এগিয়ে আসবে আবার অনেকেই আসবে না। একটি কাজ শেখার পরে সেই কাজের সফলতার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে। এই কৌশল গুলো কেউ ধরে ধরে শিখিয়ে দেবে না। অভিজ্ঞতা, ব্যর্থতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে এই কৌশল গুলোকে আয়ত্ত করে নিতে হবে। সবথেকে বড় কথা একজন শিক্ষার্থী কোন কাজটি ভালো পারে বা কোন কাজে তার আগ্রহ বেশি এটি বোঝার পরে কাজ শুরু করা। কেউ একজন একটি কাজে ভালো করছে মানে এই নয় যে আরেকজন সেই একই কাজে একই রকম ভাবে ভালো করবে। অনেক চিন্তা এবং কৌশল করে শিক্ষার্থীদের টাকা আয় শুরু করা উচিত।

কেন একজন শিক্ষার্থীর টাকা আয় করা উচিত

কেন একজন শিক্ষার্থীর টাকা আয় করা উচিত? অনেকেই মনে করে থাকেন যে শিক্ষাজীবন শুধুমাত্র পড়ালেখার জন্য। এর বাইরে কোনো কাজ নেই। এ ধারণাটি ভুল।এর আগে আমরা জেনে আসলাম যে কীভাবে শিক্ষার্থীরা আয় করতে পারে। কোন শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের যদি অনেক টাকাও থাকে তবুও তার সময় পেলে কাজ করা উচিত। হতে পারে সেটি তার বাবার ব্যবসা বা অন্য কিছু। এতে করে একজন শিক্ষার্থীর বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বেড়ে যায়। যা মানুষের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। বাবা-মায়ের পরে এই ধরনের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা একজন শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে অনেক উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মানুষের জীবনে খারাপ সময় যে কোন পর্যায়ে আসতে পারে। খারাপ সময়ে নিজেকে শক্তভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। একজন শিক্ষার্থীর টাকা আয় যেমন সচ্ছলতা নিয়ে আসে। ঠিক তেমনি খারাপ সময়ে শক্ত খুঁটটি হিসেবেও কাজ করে। তাই শিক্ষা জীবনে কাজ করাটাকে ছোট মনে না করে এটি কি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিন্তা করে টাকা আয় করা উচিত। একজন করলে আর একজন তাকে দেখে উৎসাহী হবে এবং আর্থিক প্রয়োজন না থাকলেও শিক্ষাজীবন থেকে টাকা আয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন ভবিষ্যতের সফলতার চাবিকাঠি

ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন ভবিষ্যতের সফলতার চাবিকাঠি। ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করা আপনাকে পরিশ্রমী হতে শেখায়। আপনার মেধার সঠিক ব্যবহার হয়। এবং আপনার মেধার পরিধি আরো বাড়তে থাকে। ভবিষ্যতের জন্য নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। ছাত্র জীবনের আয়ের পথে যে ব্যর্থতা আসে সেগুলো ঠিক করে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ও বুদ্ধি আসে। ছাত্র জীবনের টাকা উপার্জনের মধ্যে দিয়ে শক্ত ও সাবলীল মানুষ হতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে সারা জীবন বসে আয় করবেন

ছাত্র জীবনের টাকা ইনকাম একজন শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি বিচক্ষণ করে তোলে। এর ফলে সে নানা ধরনের মানুষের সাথে ওঠা বসা করে। যা তাকে মানুষ চিনতে সাহায্য করে। আর জীবনের প্রতি পর্যায়ে মানুষকে চিনে,জেনে বুঝে চলতে পারাটা অনেক বেশি জরুরী। এর ফলে একজন মানুষ সহজে ঠকে যায় না। জীবনের প্রত্যেকটা ধাপ যে সহজ নয় এবং টাকা আয় করাটাও যে সহজ নয় তা শিক্ষা জীবনে একজন শিক্ষার্থী টাকা আয় এর মধ্য দিয়ে বুঝে নিতে পারে।

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করা কঠিন নাকি সহজ

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করা কঠিন নাকি সহজ? শুধু ছাত্র জীবন কেন কর্মজীবনেও টাকা আয় করা খুব সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন সততা, নিষ্ঠা, মেধা, যোগ্যতা, সময় ও পরিশ্রম। এর পরে আসে টাকা। আবার অনেক সময় টাকা আয়ের জন্য টাকা ও দরকার হয়। কর্মজীবনে সকল ফোকাস থাকে শুধুমাত্র টাকা আয়ের উপর। কিন্তু ছাত্র জীবনে পড়ালেখাটাই হয়ে থাকে প্রধান লক্ষ্য।

যার ফলে ভালোভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাবার পর টাকা ইনকামটা একটু কঠিন হয়ে যায়। সারাদিন ক্লাস করার পরে আবার কাজ করা খুব একটা সহজ নয়। আবার নিজের পড়ালেখা তো আছে। তাহলে কি শিক্ষার্থীদের আয় করা উচিত নয়? অবশ্যই উচিত। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে জানলে এবং পরিশ্রমী হতে পারলেই সকল কাজ আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত জীবনটা আসলে সহজ নয়। সহজ করে নিতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন টাকা আয় করা।

কীভাবে-শিক্ষার্থীরা-টাকা-আয়-করতে-পারে

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শিক্ষার্থীর টাকা আয় এর ভূমিকা কতটুকু

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শিক্ষার্থীর টাকা আয় এর ভূমিকা কতটুকু? একজন শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস করাতে টাকা আয় করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই আত্মবিশ্বাস একজনকে তাড়াতাড়ি আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে। আর আত্মনির্ভরশীল হতে পারে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অংশ। আত্মনির্ভরশীল মানুষ কারো কাছেই বোঝা হয় না। শিক্ষা জীবনের টাকা আয় করা মানুষগুলো সকলের কাছে প্রিয় হয়।

তাদের দৃষ্টান্ত অন্য বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের দিয়ে থাকে। অবশ্যই তখন যখন সে পড়ালেখাতে অনেক বেশি ভালো হয়। কারণ পড়ালেখা বাদ দিয়ে শুধু টাকা আয় করলে ভবিষ্যতের জন্য তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের জন্য শিক্ষা জীবনে আয় করাটা অধিক জরুরী। এতে তাদের যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে তেমনি বাবা মাকে সাহায্য করতে পারে আর্থিকভাবে। এবং বাবা মায়ের দোয়া তাদের জীবনে আরো বেশি বরকত নিয়ে আসে।

আর আরামে পার করা শিক্ষার্থীগুলা জীবনের আসল মানেটা বুঝতে পারে না। ফলে পড়ালেখা শেষ করে অভিজ্ঞতার অভাবে তারা যখন করতে পারে না তখন তারা হতাশায় ভোগে। নিজে ইনকাম করলে টাকার গুরুত্ব টা ভালোভাবে বোঝা যায়। ফলে টাকা জমানোর  অভ্যাস  টাকার গুরুত্ব বোঝার পর থেকেই আসে। ছাত্র জীবনে টাকা আয় আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সাথে টাকা সঞ্চয় করবে এবং অহেতুক খরচ করা কমে যাবে। যা ভবিষ্যতে তার জন্য এটি সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে।

জীবনের মান উন্নয়ন বৃদ্ধি

জীবনের মান উন্নয়ন বৃদ্ধি পায়। শিক্ষা জীবনে একজন শিক্ষার্থীর টাকা আয় করা উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে কাজ করে। এখান থেকেই একজন শিক্ষার্থী বুঝতে পারে টাকা আয়ের গুরুত্ব কতটুকু। এবং টাকা আয় করার মধ্য দিয়ে যে একটা মজা আছে সেটা শিক্ষা জীবনে আয় করার মাধ্যমেই বোঝা যায়। নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করা যায়। চাইলে প্রিয়জনদের উপহার দেয়া যায়। নিজের শখ পূরণ করা যায়। এর ফলে জীবনের উন্নয়ন ঘটে। 

যদিও এই সাধারণ কথা গুলি আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই আর্টিকেল যখন একজন শিক্ষার্থী পড়তে আসবে তখন তার কাছে এই সাধারণ কথা গুলি অসাধারণ লাগবে। কারণ অল্প বয়সে এই কথাগুলি সাধারণত শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না। কেউ কেউ পেরে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগই পারেনা। জীবনের মান উন্নয়নের জন্য টাকা এর উপর দিয়ে আর কিছুই হয় না। পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি কথাটি এমনি এমনি তৈরী হয়নি। আর অল্প বয়স থেকে পরিশ্রম মানুষকে অনেক বেশি উপরে নিয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্যঃ কীভাবে শিক্ষার্থীরা টাকা আয় করতে পারে

উপরে উল্লেখিত মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী চাইলেই অনায়াসে টাকা আয় করতে পারে। আমি নিজেও টিউশনি করিয়ে ভালো টাকা আয় করেছি। এবং এই টাকা আমি অনেক ভালো কাজেও ব্যবহার করেছি। এবং নিজের উপার্যিত টাকা অল্প হলেও অনেক বেশি আনন্দ দেয়। চাইলেই নিজের শখ পূরণ করেছি। জমা করে কাজে লাগিয়েছি। আমি আমার শিক্ষা জীবনের ইন্টার পড়া কালীন সময় থেকেই টিউশনি করায়।

আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কাজের মধ্য দিয়ে আমার থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারেন। এবং অনেকে করে থাকেন। যে কোন সফল এবং ধনী ব্যক্তির গল্প পড়লে আপনি জানতে পারবেন যে সে সফল একদিনে হয়নি। বরং তার এই যোগ্যতা, মেধা এবং পরিশ্রমকে সে ছোটবেলা থেকেই কাজে লাগিয়েছে। তারাই উৎকৃষ্ট উদাহরণ যে পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলেই ভালো কিছু করে টাকা আয় করা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url