বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কেমন

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কেমন সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে। বাহরাইন একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এখানে কিছুদিন লোক নেয়া বন্ধ থাকলেও আবারো চালু হয়েছে। বাহরাইন কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে কত টাকা লাগে।
বাহরাইন-যেতে-কত-টাকা-লাগে
বাহরাইন যেতে হলে সেই দেশসম্পর্কে আপনাকে কিছু ধারণা রাখতে হবে। তারা কোন কাজের জন্য লোক নিয়োগ করে, সেখানে বেতন কেমন, যেতে কত টাকা লাগবে এবং কেমন কাগজপত্র প্রয়োজন। এসব ধরার পরে আপনি সিদ্ধান্ত নিন বাহারাইন যাবার।

সূচিপত্রঃ বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে তা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে পারস্য উপসাগর পশ্চিম অংশে অবস্থিত বাহরাইন। এখানে প্রাকৃতিক সম্পদ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যার ফলে এই দেশের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত। তাই আপনি বাহারাইন গিয়ে সেখানে টাকা ইনকামের কথা চিন্তা করতে পারেন। কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

বিস্তারিত আরো জানার জন্য নিচের লেখাগুলো পড়ুন। । ৩৬ টি দ্বীপের মধ্যে বাহারাইন সবথেকে বড়। বারাইনের রাজধানীর নাম মানামা। এটি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম একটি রাষ্ট্র। এর পশ্চিমের দিকে রয়েছে সৌদি আরব এবং পূর্বে অবস্থিত কাতার। ২০১৮ সালে এই দেশ ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর করোনা ভাইরাসের পরে আবারো ভিসা দেয়ার ঘোষণা দেয়।

বাহরাইন যেতে কাজের ভিসা সম্পর্কে জানুন

বাহরাইন যেতে কাজের ভিসা সম্পর্কে জানুন। দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পরে আবারো বাহরাইন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছেন যে তারা কাজের ভিসা দিতে চান। এবং এই ঘোষণা দিন ২০২৩ সালে। সেই সময়ে করোনার সময় যারা দেশে এসে আটকা পড়েছিলেন তাদেরকেও নেয়া হয়েছিল। এবং সেই সময় ৯০০ ৭০ জন বাংলাদেশি নিবন্ধন করে সেই রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য।এবং সেই সময়ে রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম জানান যে তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ঘোষণা আসলে ফিতা দেওয়া হবে। এবং তারা মোট ১৭০ জন বাংলাদেশীদের কে নেয়। তাই আপনি যদি বাহরাইন যেতে চান কাজের ভিসার জন্য তাহলে এপ্লাই করুন।

আরও পড়ুনঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫ বিস্তারিত জানুন

সাম্প্রতিক সময়ে কিছুদিন বাহারাইন ভিসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এদেশের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বাংলাদেশে দূতাবাস থেকে ভিসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেখানে কিছুদিনের জন্য কর্ম সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে অনেকেই ভিসা ছাড়াই সেখানে ঢুকে গিয়ে অবৈধ ঘোষণা পায়। তারা বিভিন্ন দালালের প্রতারণার ফলে ফ্রি ভিসায় গিয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে ভালো খবর হলো কিছুদিনের জন্য এটি বন্ধ হলেও আবারও খুলে দেয়া হয়েছে। এবং নতুন ভিসার আবেদন গ্রহণ করছে। বর্তমানে ভিজিট ভিসার চালু রয়েছে এবং পরবর্তীতে এটি পরিবর্তন করা হবে। বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও এর ভিসা নীতি অবশ্যই জানা দরকার।

বাহরাইন-যেতে-কত-টাকা-লাগে

বাহরাইন যাবার জন্য মোট খরচ কেমন

বাহরাইন যাবার জন্য মোট খরচ কেমন? আসলে অনেকে অনেক ভাবে যাবার চেষ্টা করে থাকেন। তাই অনেকের কাছে খরচটা অনেক হবে। তাই সঠিকভাবে বলা যাবে না যে আপনার সেখানে যাবার জন্য মোট কত খরচ হতে পারে। আমি আপনাকে একটি মোটামুটি ধারণা দিতে পারব। আপনার মোট খরচ নির্ভর করবে আপনি কোন মাধ্যমে যাচ্ছেন। আপনি যদি কোনো পরিচিত মাধ্যমে দিতে পারেন তাহলে খরচ কম হবে।

আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে বাহারাইন যেতে চান তবে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ হবে। আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবার কথা চিন্তা করেন তাহলে তাদের নিয়ম কানুনের উপর নির্ভর করবে আপনার যাবার জন্য কেমন খরচ হবে। বিভিন্ন এজেন্সিতে টাকা কমবেশি হয়ে থাকে। এবং এজেন্সির মাধ্যমে আপনার যাবার খরচ সর্বোচ্চ৮ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। আপনার কোন আত্মীয় যদি সেই রাষ্ট্রে থাকে তাহলে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে।

বাহরাইন রাষ্ট্রে কাজের বেতন কেমন

বাহরাইন রাষ্ট্রে কাজের বেতন কেমন? যারা কাজের ভিসা নিয়ে বাহরাইন যেতে চান তাদের জানা জরুরীদের সেখানে বেতন কেমন। কারণ টাকা ইনকামের জন্য সেখানে যাওয়া দেশ ছেড়ে। তাই সেখানকার বেতন সম্পর্কে জানতে চাওয়া বা আগ্রহ থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। আমার কাছে বাহরাইনের বেতন অনেক কম মনে হয়েছে অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায়। বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে জানার সাথে সাথে বেতন কেমন তা জানতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ কত জেনে নিন

সেখানে মাসিক বেতন আপনি ১০০ থেকে ১৫০ দিনার পর্যন্ত পাবেন। সেখানকার এক দিনার সমান বাংলাদেশি টাকা ২৯১ টাকা। টাকার মান সেখানে অনেক বেশি হলেও বাংলাদেশী টাকার তুলনায় মাসিক বেতন আমার কাছে অনেক বেশি কম মনে হয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি মাসে ১০০ দিনার পান তাহলে আপনার মাসিক আয় হবে মাত্র ২৬ হাজার টাকা।

বাহরাইন যাবার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে

বাহরাইন যাবার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? যে কোন রাষ্ট্রে যাবার জন্য সবার আগে জানতে হবে সেখানে কি কি কাগজপত্র লাগবে। এবং সেই অনুযায়ী সঠিক কাগজপত্র আপনাকে জোগাড় করে সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। এবং আপনি কোন মাধ্যমে যাবেন সেটি ঠিক করার পরে তারাই আপনাকে বলে দিবে কোন কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে।

  • অবশ্যই সবার প্রথমে আপনার একটি ৬ মাস মেয়াদের বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • আপনার হেলথ ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজন হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আপনাকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড অথবা নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।

বাহরাইন রাষ্ট্রের কোন কাজের বেতন বেশি

বাহরাইন রাষ্ট্রের কোন কাজের বেতন বেশি? বাহরাইন যাবার আগে অবশ্যই আপনার জানা উচিত সেখানে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং সেই কাজের বেতন কেমন। এবং অবশ্যই সেসব কাছে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি শুরু থেকে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে সেখানকার টাকার মান কেমন সেটা আপনি জানতে পেরেছেন। সেখানে উচ্চমানের কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, ড্রাইভিং, কনস্ট্রাকশন এর কাজ, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ। বাহরাইন কত টাকা লাগে ও সেখানে কোন কাজের বেতন বেশি তা অবশ্যই জানতে হবে।


এ ধরনের কাজগুলোর জন্য আপনি প্রতি মাসে বাহরাইন ১৮০০ দিনার থেকে শুরু করে 2400 দিনের পর্যন্ত পাবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ এর উপরে। অর্থাৎ অনেক পরিমাণে বেতন। এর হিসাব দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে এই সকল কাজের চাহিদা এবং গুরুত্ব কেমন সেই দেশে। এছাড়াও সেখানে হোটেলের কাজ, বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কাজ, বিভিন্ন শপিং মলের কাজ, নির্মাণ কাজ ইত্যাদি কাজের জন্য সর্বনিম্ন বেতন হয়ে থাকে ২৫০ ডিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৪ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
বাহরাইন-যেতে-কত-টাকা-লাগে

বাহরাইন রাষ্ট্র সর্বনিম্ন বেতন কত হয়ে থাকে

বাহরাইন রাষ্ট্র সর্বনিম্ন বেতন কত হয়ে থাকে? যে সকল মানুষদের কাছে দক্ষতা কম এবং খরচ করার ক্ষমতা কম অর্থাৎ যারা অল্প টাকায় যেতে চান তারা সেখানে সর্বনিম্ন বেতন জানতে চান। সাধারণত বিভিন্ন শ্রমিক ভিসাই গেলে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের দক্ষতা কম থাকলে বেতন কম হয়ে থাকে। এবং সে ক্ষেত্রে যাবার খরচ কম হয়ে থাকে। আসলে নির্ভর করে আপনি কোন কাজে এবং কোন মাধ্যম দিয়ে যাচ্ছেন।

আপনি যদি হোটেলের কাজ, নির্মাণ কাজ, কৃষি কাজ, বিভিন্ন শপিং মলে কাজ করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ৫১ হাজার থেকে ৭৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। যে আমাদের দেশের মানুষদের জন্য খুব কম নয়। মানুষের থেকেও কমবেধনের কাজের জন্য দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার কাজের দক্ষতা কম তাহলে কোন চিন্তার তার কারণ নেই। আপনি অল্প কাদের দক্ষতায় এবং অল্প খরচে এই বেতনের কাজ করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে

একটি দেশ থেকে আপনি কেমন টাকা উপার্জন করবেন তা নির্ভর করবে সেখানকার ভিসার নীতি ও ধারণা অনুযায়ী। এবং অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তো লাগবেই। তাই সবার আগে আপনি যে দেশে যেতে চান সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি তা জানুন। এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলুন। সম্ভব হলে নিজের অভিজ্ঞতাকে বাড়ান। এতে আপনার বাইরের রাষ্ট্রগুলোতে চাহিদা ও গুরুত্ব বেড়ে যাবে। এর সুবিধাস্বরূপ আপনি বেতন বেশি পাবেন

বাহরাইন যেতে মোট কেমন খরচ হবে আপনি জানতে পেরেছেন যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। এবং সেখানে কনস্ট্রাকশনের জন্য ৮০০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ২ লাখ টাকা বেতন দিয়ে থাকে। ইলেক্ট্রিশিয়ানের জন্য ২ লক্ষ টাকা, ড্রাইভিং এর জন্য ২ লক্ষ টাকা বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের জন্য ৭০০০ টাকা বেতন দিয়ে থাকে। তাই সেখানে যেতে পারলে আপনার লাভ আছে। তার আগে জানুন সেখানে যাওয়ার খরচ কেমন এবং সেখানে গিয়ে আপনি খরচ তুলতে পারবেন কিনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url