বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জানা আবশ্যক। কারণ দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে চলেছে। ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটি আসলেই একটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর রয়েছে অনেক সেক্টর। একেক জন একেক সেক্টরে কাজ করে থাকেন।
বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি
তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডবল সেক্টর এর চাহিদা এই জগতে একই রকম নয়। অবশ্যই একেক সেক্টরের চাহিদা একেক রকম। তাই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের চাহিদা অনুযায়ী কাজ বাছাই করা উচিত। যেই সেক্টরে চাহিদা বেশি সেই সেক্টরে যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে অনেক দ্রুত উন্নতি করার সম্ভাবনা থাকে। 

সূচিপত্রঃবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ডাটা এনালাইসিস, এ আই ডেভেলপমেন্ট সেক্টর গুলির চাহিদা অনেক বেশি। এখানে প্রতিযোগীতা অনেক বেশি। নানা দেশের নানা ধরনের ফ্রিল্যান্সাররা এসব সেক্টরে কাজ করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। তাই দেরি না করে এই কাজ করলে আপনি শিখে ফেলতে পারেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সংখ্যা সপ্তম স্থানে রয়েছে। যেখানে প্রায় সাত থেকে আট লাখ বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার আন্তর্জাতিক ভাবে কাজ করছে। আপনিও চাইলে এদের মধ্যে একজন হতে পারেন। তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন সেক্টরে কাজ করলে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে অনেক বেশি উপরে নিয়ে যেতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ডিমান্ডেবল সেক্টরের নাম

ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ডিমান্ডেবল সেক্টরের নাম হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডেটা এনালাইসিস, এস ই ও, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ এ আই, ভিডিও এডিটিং করা, আর্টিকেল লেখা বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। এই সেক্টরগুলোতে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

আপনি আপনার পছন্দ এবং চাহিদা মত উপরের যে কোন একটিতে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবেন। এবং এই কাজগুলো আপনাকে মোটামুটি জানলে হবে না। অবশ্যই অনেক ভালোভাবে জানতে এবং চর্চা করতে হবে। তবে আপনি সেক্টরগুলোতে অনেক বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবথেকে জনপ্রিয় একটি সেক্টর। এর কাজ জানলে আপনি বিভিন্ন লোগো ডিজাইন করা, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন করা, পোস্টার ব্যানার বানানো ইত্যাদি ডিজাইন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ছোট-বড় সকল কোম্পানিগুলো দেশে হোক কিংবা বিদেশে, শুরু থেকে এবং তাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে উপস্থাপন করতে গ্রাফিক ডিজাইনারদের উপর নির্ভর করে। তাই আপনাকে এই সেক্টরে কাজ শুরু করতে চাইলে অবশ্যই এডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর মতো সফটওয়্যার এর কাজগুলো শিখতে হবে। এর ফলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টগুলি রিপ্রেজেন্ট করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। ডিজাইন করতে গেলে ক্রিয়েটিভিটি অবশ্যই লাগবে।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর এর মধ্যে web development অন্যতম। এর ফলে আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। যা বর্তমানে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট এই কাজগুলো আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে যদি আপনি এই সেক্টরে অনেক বেশি টাকা কামাই করতে চান। মূলত বিভিন্ন কোম্পানির জন্যই আপনাকে ওয়েবসাইট গুলো ডিজাইন করতে হবে বা ডেভেলপ করে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা জনিত কাজের জন্য নিজেদের প্রোডাক্টের সেল মারানোর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। এর ফলে তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন হয় এবং ওয়েবসাইট থেকে ইনকামও আসে। ই-কমার্স সাইট, ব্লগার সাইট, পোর্টফোলিও সাইড ইত্যাদির চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে এই সেক্টরে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে আপনাকে ক্যারিয়ারকে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে যে কোন কিছুর অনলাইন জগতে প্রচার ও প্রচারণার কাজ করা। সেটি হতে পারে কোন কোম্পানি অথবা কোন প্রোডাক্ট, কোন হোটেল, হতে পারে কোন ভ্রমণের স্থান, হতে পারে আপনার দেয়া যে কোন সেবা, অথবা ব্যবসার সাথে জড়িত বা আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত যে কোন কিছুর কাজেই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ব্যবসা এবং কোম্পানির পরিচিতি বাড়ে এবং অধিক মুনাফা অর্জন করে। এজন্য দরকার হবে অবশ্যই কিছু কৌশলের। এইসব প্রচারণার কাজের জন্য আপনি আপনার ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন, instagram একাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন শ্রোতা বা দর্শকদের সাথে এনগেজমেন্টের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। অথবা আপনি এড ক্যাম্পেইন গড়ে তুলতে পারেন। অথবা বিভিন্ন লেখালিখির মাধ্যমে প্রচারণার কাজ করতে পারেন।
  • ডেটা এনালাইসিসঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলির মধ্যে ডেটা এনালাইসিস অন্যতম। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসা এবং কোম্পানির সংখ্যা দিনে বেড়ে চলেছে। তাই ব্যবসায় অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া লাগে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিভিন্ন এনালিস্টদের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন ডেটা এনালাইসিস হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন টুলস ব্যাপারে ডেটা বিশ্লেষনের মাধ্যমে তাদের সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। বিভিন্ন টুলস যেমন এক্সেল,এস কিউ এল,পাইথন। এছাড়াও আপনি পাওয়ার বি আই যদি পারেন তাহলে আপনাকে কাজ খোঁজা লাগবে না কাজ আপনার পেছনে দৌড়াবে। এটি মূলত ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন টোল হিসেবে পরিচিত। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং মতামত প্রদান করে সাহায্য করতে পারবেন। অর্থাৎ তারা কিভাবে ডেটা থেকে উপকার পাবে এটা আপনি তাদের এনালাইসিস করে বলে দেবেন।
  • ভিডিও এডিটিং এর কাজঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে ভিডিও এডিটিং হচ্ছে অন্যতম। বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্টের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন ব্লগাররা ভিডিও বানানোর পরে ভিডিও এডিটিং এর জন্য একজন এডিটর খুঁজে থাকেন। বিভিন্ন ইউটিউবাররা চ্যানেল খুলে বসে আছে ভিডিও আপলোড করার জন্য। এবং এখান থেকে অনেক টাকা আয় করছে। ফলে ভিডিও এডিটিং এর জন্য তারা অনেক বেশি লোক খুঁজে। আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে এখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা কামাতে পারেন।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই অন্যতম। এটি সারা বিশ্বের অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটি মূলত বিভিন্ন মেশিন লার্নিং, ডেটা প্রসেসিং এবং automation এর কাজ করে থাকে। এখানে আপনি ছবি, ভিডিও,এনিমেশন সহ অনেক কিছুই বানাতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির অথবা প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ডগুলি তাদের প্রোডাক্টের প্রমোশন এবং প্রচারণের জন্য বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে চাই। সেই ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং জগতের ভিডিও এডিটরদের খোঁজ করে থাকে। আপনি এআই দিয়ে অনেক ভালো ভিডিও তৈরি এবং এডিটিং করতে পারবেন। তাই এখানে আপনার অনেক টাকা ইনকাম করার একটি ভালো সুযোগ রয়েছে। এটি তাহলে আপনি বিভিন্ন কম্পিউটারের ভিশন নিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন অ্যাপ বানাতে পারবেন। এখানে কাজ শিখতে পারলে অনেক বেশি লাভবান কারণ সামনে চাহিদা আরো অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর এর মধ্যে এটি অন্যতম। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে একটি সেক্টরকে বোঝায় না। এখানে অনেক কিছুই বিদ্যমান। যেমন ইমেইল মার্কেটিং , এসইও পিপিসি, বিভিন্ন এডসেন্স এর কাজ ইত্যাদি বিদ্যমান রয়েছে। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের যেকোনো একটিতে কাজ বেছে নিয়ে দক্ষ হতে পারেন। এর ফলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে কাজ করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে ইমেইল মার্কেটিং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো মনে হয়। এখানে উন্নতি করার অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। এবং কাজের অভাব নেই।
  • আর্টিকেল লেখাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল একটি সেক্টর হচ্ছে আর্টিকেল লেখা। আপনি যদি একজন ভালো রাইটার হয়ে থাকেন বা সেই প্রতিভা যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক লাভবান হতে পারবেন। আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও গেস্ট ব্লগিং করতে পারবেন। ইংরেজিতে আপনি যদি একটি তিন হাজার শব্দের আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন তাহলে আপনি ৩০০ ডলার পাবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় অনেক। এবং সেটি অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হতে হবে। এবং আপনাকে সেই জন্য এসইও করা, কপিরাইটিং ইত্যাদি বিষয় শিখতে হবে। তাহলে আপনি একজন ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজঃ মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজের বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কারণ বর্তমানে নতুন নতুন অ্যাপ তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে এই অ্যাপ দিয়ে মানুষ এখন অনেক টাকা ইনকাম করছে। ফলে বিভিন্ন টুলস দিয়ে আপনি মোবাইল আপডেটের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। যা আপনাকে শিখে নিতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য টুলস হল react native, sowift, android ইত্যাদি। চাহিদা বাড়ার কারণে এই সেক্টরে কাজের অভাব হবে না। এমন একটি সেক্টর খুঁজে নিতে হবে যেটি এক দুই বছরের জন্য নয় আগামী ১০-১৫ বছরের জন্য আপনি এখান থেকে টাকা কামাই করতে পারেন।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম প্রয়োজনীয় দিক হচ্ছে এসইও। যেকোনো ওয়েবসাইটের ranking বাড়ানোর জন্য এটি অন্যতম। সেজন্য আপনাকে অন পেজ,অফ  পেজ , টেকনিশিয়াল এসইও অবশ্যই জানা লাগবে। এর ফলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক অনেক বেশি পরিমাণে বাড়াবেন। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক বেশি আসবে। এবং বেশি ইনকাম করতে চাইলে বেশি ক্লিক আপনার জন্য অতি আবশ্যক।

সবচেয়ে বেশি ইনকাম কোন সেক্টরে

সবচেয়ে বেশি ইনকাম কোন সেক্টরে? ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে কোন সেক্টরের ইনকাম বেশি তা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনি মূলত টাকার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন । সেক্ষেত্রে টাকার পরিমাণটা কোথায় বেশি তা জানা অনেক দরকার। এ আই এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ইনকাম সব থেকে বেশি। বিভিন্ন মেশিন লার্নিং এবং ডেটা এনালাইসিস এর কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে এ আই জানতে হবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে বিভিন্ন এন এল পি এবং চ্যাট বোট ডেভেলপমেন্টের কাজ করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ লাখ টাকা ইনকামের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ২০২৫

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা আপনি জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে অনেক বেশি ইনকাম করা যায়। আপনি যদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি আরো বেশি সহজ হয়ে যাবে। এটি ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক বেশি ইনকাম দিবে আপনাকে। এখানে আপনি বিভিন্ন ফ্রন্ট এন্ড, ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথবা ফুল স্ট্যাগ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে পারেন। যার বর্তমানে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যার ফলে এখানে ক্যারিয়ার অনেকটা সুনিশ্চিত।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলস কোনটি ব্যবহার করবেন

গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলস কোনটি ব্যবহার করবেন? ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডডেবল সেক্টরের মধ্যে কাজ করতে হলে আপনাকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলস সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ কাজ করতে গেলে আপনাকে এগুলো ব্যবহার করা লাগবে। তাই এই টুলগুলোর নাম এবং এদের ব্যবহারবিধি আপনাকে শিখে নিতে হবে। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি এবং ঝামেলা ছাড়া কাজ করতে চান তাহলে সহজ হিসেবে আপনি ক্যানভা ব্যবহার করতে পারেন। এটি হচ্ছে তাদের দক্ষতা কম তাদের জন্য। 

কিন্তু এই সেক্টরে ভালো হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর গ্রাফিক ডিজাইন টুল ব্যবহার করতে হবে। এটি ফেলে আনসারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুল। এর ফলে আপনি বিভিন্ন লোগো,প্রেজেন্টেশনের কাজ এবং ইমেজ কনটেন্ট বানাতে পারবেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডিং ডিজাইনের জন্য এই চুলগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ছবি এডিটিং এবং ডিজাইন সৃষ্টি করার জন্য আপনাকে ফটোশপ ব্যবহার করতে হবে। এবং এগুলো অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে জিতে যাবেন।

এসইও আপনি কিভাবে শিখবেন

এসইও আপনি কিভাবে শিখবেন? এসইও হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর। আপনি বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স থেকে এটি শিখতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে আপনি গুগলের এসইও জানার জন্য স্টার্টার গাইড পড়তে পারেন। এর ফলে আপনি এখান থেকে এর মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন। কারণ এখানে এগুলো অনেক সহজ ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি Moj,Ahrefs ব্লগের বিভিন্ন গাইডলাইন ফলো করতে পারেন। 

আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স কেমন তা জানার জন্য আপনাকে গুগল অ্যানালিটিক্স এবং গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করা শিখতে হবে। এর ফলে আপনি আপনার ট্রাফিক খুব সহজেই জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করে অনেক ভালোভাবে এগুলো শিখে নিতে পারেন। এটাই হবে সব থেকে বেশি ভালো উপায়। এখানে ভালো হবার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে এবংকীওয়ার্রিড রিসার্চ করা জানতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কোন সেক্টরটি ভালো

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কোন সেক্টরটি ভালো? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে শুরু করার জন্য কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে অন্যতম। শুরুটা আপনি এটা দিয়েই করতে পারবেন। এবং এটি আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে। এবং আরেকটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ। কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার লেখালেখির বিষয়ে দক্ষতা থাকা লাগবে। বিভিন্ন বিষয়বস্তু আপনাকে নির্বাচন করতে হবে অর্থাৎ কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনি বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট, ওয়েব কনটেন্ট এবং আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন instagram,twitter,facebook ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন গ্রুপে অথবা অনলাইনে আপনার লেখা কন্টেন্টের প্রচারণার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন। সে জন্য আপনাকে কাজ এই গুলো জানতে হবে। এছাড়াও আপনি কনটেন্ট তৈরি, সেগুলোকে সিডিউল করা এবং বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের সাহায্য করার জন্য ক্যাম্পেইন ম্যানেজ করতে পারেন। এখানে আপনার অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। শুধু আপনার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এবং যোগাযোগ ক্ষমতাকে ব্যবহার করে এটি করতে পারেন।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক কোন সেক্টর

ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক কোন সেক্টর? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা উপরে উল্লেখিত বেশ কয়েকটি রয়েছে। সবগুলাই ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক। তার মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইটের কাজ, গ্রাফিক্সের কাজ, ভিডিও এডিটিং এবং এআই অন্যতম। বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই আই দিয়ে বর্তমানে ডেটা এনালাইসিস থেকে শুরু করে, বিভিন্ন অটো মেশানের কাজ এবং মেশিন লার্নিং এর কাজ হচ্ছে।

তাই বর্তমানে এইআই বিশেষজ্ঞদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এবং প্রেডিক্টিটিভ এনালিটিক্স এর জন্য এআই দিনে দিনে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এবং বিভিন্ন ইমেজ ভিডিও তৈরি করার জন্য এআই অনেক বেশি কার্যকর। এছাড়া এআই  দিয়ে ভবিষ্যতে আর্টিকেল লেখা বৈধ হয়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন কোম্পানিতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে ই-কমার্স দিনে দিনে অনেক বেশি উন্নত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে এক চাহিদা অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলবে।

লেখকের মন্তব্যঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সপ্তম স্থানে আছে। এবং এর সবথেকে ভালো সেক্টর কোনটিতে উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। আমি মনে করি উপরে উল্লেখিত সবগুলোই মোটামুটি অনেক ভালো এবং ডিমান্ডেবল। তাই আপনি উপরের যেকোনো একটিতে দক্ষ হয়ে উঠে নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। সংক্ষেপে বললে সব থেকে ভালো হচ্ছে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ।

আপনি কাজ শেখার পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা ফাইবার, আপ ওর্য়াকে কাজ করতে পারেন। এবং সবচেয়ে বেতন বেশি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজে। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত লক্ষ মত সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা বর্তমান মার্কেটপ্লেসে অনেক সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। চাইলে আপনিও তাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠতে পারেন। কাজ শেখার পরে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে দ্রুত পেমেন্ট নিতে পারেন। এবং এর জন্য সবথেকে ভাল মাধ্যম হচ্ছে পেওনিয়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url