চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর জাদুকরী গুন

চুলের যত্নে কালোকাশীর ব্যবহার এর জাদুকরী গুন সম্পর্কে জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা সবার বেশি। এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে সবাই চায়। যারা এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান তাদের জন্য কালোকেশী জাদুর মত কাজ করবে। এটির কার্যকারিতা সত্যিই অনেক বেশি।
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার
কালোকেশী সম্পর্কে শহরের মানুষের ধারণা কম।। এই জাদুকরী গাছটি গ্রামাঞ্চলের থেকে বেশি পাওয়া যায়। এবং এর ব্যবহারবিধির গ্রামের মানুষ সব থেকে ভালো জানে। কালো কে সে ব্যবহারে রয়েছে চুলের নানাবিধ উপকার। এবং এর আরো গুণাগুণ জানতে বিস্তারিত পড়ুন। এটিকে মূলত একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন গাছ বলা হয়ে থাকে।

সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী সে ব্যবহার অনেক বেশি। এতে রয়েছে নানাবিধ ঔষধি গুন। কালোকেশী ব্যবহারে আপনার চুলে নানা ধরনের পরিবর্তন আপনি দেখতে পাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল চুল পড়া বন্ধ, অতিরিক্ত খুশকি রোধ করা, পাকা চুলকে কালো করে, এবং লালচে ধরনের চুলকে কালো করে। এই ঔষধি গাছের এতইগুন এটি আপনার চুলের গোড়াকে মজবুত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্নে এখন আপনি হাজার হাজার টাকা অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এতে রয়েছেন নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যা আপনার চুলের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই ধরনের প্রোডাক্টগুলো সাধারণত ইনস্ট্যান্ট কাজে আসলেও, স্থায়ীভাবে কোন কাজ দেয় না। তাই দীর্ঘস্থায়ী ঝলমলে কালো চুল পেতে কালোকেশীর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন।

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর উপকারিতা

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর উপকারিতা অনেক। সুন্দর চলে আর প্রতি আকর্ষণ আমাদের সবার। এবং সুন্দর চুল মানুষের বিশেষ করে একজন নারীর সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। প্রত্যেক নারী তার চুল অনেক বেশি ভালোবাসে। তাই প্রত্যেক নারীই চায় তার ভালবাসার চুলকে সারা জীবন সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে রাখতে। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। সুন্দর রাখার কৌশল জানতে হবে। এবং সেই গোপন কৌশল হচ্ছে এই ঔষধি গাছ কালো বেশি। এই গাছের গোপন রহস্যই হচ্ছে আপনার চুলকে স্থায়ীভাবে সুন্দর করে তোলা। আপনার মাথায় যদি উকুন থাকে তাহলে এই গাছের রস আপনার মাথা থেকে উকুন বিদায় করে দিবে। এটি উকুন নাশকহিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই গাছের রসে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার চুলের ফলিকলকে খাদ্য দিয়ে থাকে। এছাড়াও এর তেল আপনার চুলের আগা ফাটা রোধ করবে। এবং চুলকে তাড়াতাড়ি লম্বা করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ হেলেঞ্চা শাকের  পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

তাই কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনি যদি আপনার চুলকে সারা জীবন সুন্দর এবং মজবুত রাখতে চান তাহলে এটির ব্যবহার সম্পর্কে জানুন। এটির শুধু গাছ নয় জড় থেকে শুরু করে ডাল, ফুল, পাতা সবই কাছে আসে। এর ব্যবহার আপনার চুলকে অনেক বেশি লম্বা করে তুলবে। চুল হয়ে উঠবে ঘন,কালো এবং মজবুত। অনেকে অকালপক্ক তাই ভুগে থাকে। চুল পেকে যাওয়াথেকে সমাধান পেতে চাইলে কালোকেশীর কোনো বিকল্প নেই। আপনার চলে যদি অতিরিক্ত খুশকি থেকে থাকে তাহলে কালোকেশী আপনার চুল থেকে খুশকি দূর করবে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই ও ডি যা চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বককে প্রশমিত করে। আপনার মাথায় যদি খুশকি, এবং এর কারণে সৃষ্টির বিভিন্ন ধরনের চুলকানি বা জ্বালা থাকে এই গাছ সেটি থেকেও সমাধান দিবে।

চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার

কালোকেশী পাতার গুণ কি কি

কালোকেশী পাতার গুণ কি কি? চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করতে চাইলে এর গুনাগুন জানুন ।কালোকেশী উদ্ভিদের ফুল, কান্ড ও মূলের মতো এর পাতার রসের রয়েছে নানাবিধ উপকারী দিক। এই এই গাছে রয়েছে লিউটেওলিন,অ্যালকোরয়েড স্টেরল,গ্লাইকোসাইড,ফাইটেস্টেরল,ট্রিটারপেন ইত্যাদি। তাই আপনি চুলের যত্নেই পাতার রস নানাভাবে ব্যবহার করেন। এবং এখান থেকে আপনি কয়েক রকম হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন।

  • আপনার চুল যদি অনেক বেশি পাতলা হয়ে থাকে তাহলে এই পাতার রস আপনার চুলের ভিতরে গিয়ে হেয়ার ফলিক গুলোকে সক্রিয় করে। আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলে। যা নতুন চুল গজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • এর পাতায় থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পের ভেতরের ফ্রি র‍্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর পাতায় থাকা ভিটামিন ই, ডি এবং আয়রন চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • আপনার মাথার ক্যাল্পের সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এই পাতার ভূমিকা রয়েছে। কারণ এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।যা সুস্বাস্থ্য চুলের জন্য অনেক বেশি দরকার।
  • এই পাতার রসে বিদ্যমান ভিটামিন ও মিনারেল আপনার চুল পড়া রোধে অবদান রাখবে। এছাড়াও আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তায় ভাবে থাকেন তাহলে এই পাতার তেলের গুরুত্ব অনেক বেশি আপনার স্ট্রেস কমাতে।
  • এছাড়াও এই পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে তেলের সাথে অথবা আমলকির সাথে পেস্ট বানিয়ে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • এই পাতার রস সরাসরি আপনার চুলে লাগালে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। এবং আপনি যদি পেস্ট তৈরি করে তুলে দিতে চান তাহলে সেটি চুলে ২০ মিনিট রাখতে হবে। অনেকেই এক ঘন্টা বা তারও বেশি রাখতে বলেন কিন্তু এর ফলে চুলের গোড়া আরো ঢিলা হয়ে যায়। কারণ বেশিক্ষণ ভেজা অবস্থায় থাকলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়।

কালোকেশী গাছ থেকে তেল তৈরি কিভাবে করবেন

কালোকেশী গাছ থেকে তেল তৈরি কিভাবে করবেন? কালোকেশীর তেল তৈরি অনেক সহজ। তবে আপনি যদি শহরে বসবাস করে থাকেন তাহলে এই গাছ পাওয়া আপনার জন্য কঠিন। কারণ এটি মূলত গ্রামের দিকেই পাওয়া যায়। এবং সবার আগে অবশ্যই আপনাকে এ গাছ চিনতে হবে। এবং তেল তৈরির জন্য শুধুমাত্র এই গাছের পাতা নয়, আপনি জড় সহ ফুল সবই তেলের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃডুমুর ফল এর গুরুত্ব ও কার্যকারিতা

এই তেল তৈরির জন্য আপনার আরো কিছু জিনিস লাগবে। সেগুলো হলো মেথি, কালোজিরা, জবা ফুল, আমলকি, ত্রিফলা গুড়া, অ্যালোভেরা, কাঠবাদাম। এগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিয়ে নারিকেল তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এবং অবশ্যই বিশুদ্ধ নারিকেল তেল হতে হবে। কোন সুগন্ধি তেল দিলে হবে না। সব একসাথে তেলের মধ্যে দিয়ে অল্প আঁচে ধীরে ধীরে সেগুলো কালো রং না হওয়া পর্যন্ত জাল দিতে থাকুন। দুই তিন ঘন্টা পরে কালো হয়ে গেলে ভালোভাবে তেলটি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে চুলে ম্যাসাজ করুন সপ্তাহে তিন দিন।

কালোকেশী গাছ কিভাবে চিনবেন

কালোকেশী গাছ কিভাবে চিনবেন? গ্রামাঞ্চলে এই গাছ রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। তাই আপনার পরিচিত কাউকে দিয়ে আনিয়ে নিন। এটি চেনার উপায় হলো এই গাছের পাতা চিকন এবং লম্বা, গাছের ফুলগুলি ছোট ছোট সাদা রঙের। গাছগুলি অনেক বেশি লম্বা হয় না। এর ডাল পাতলা। এই গাছ সাধারণত রাস্তা ঘাটে, পুকুরের পাশে, জলাশয়ে হয়ে থাকে। এর রং সবুজ। এই গাছ লম্বায় ৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে এবং এর শাখা প্রশাখা গুলো লম্বায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়। গাছটি ছোট হলেও এর শাখা প্রশাখা গুলো বেশ ভারী এবং নিজের দিকে হালকা হেলে থাকে।

এটা সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও চীনে বেশি পাওয়া যায়। এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় সব দেশের মানুষই জানে। এটা শুধু চুলের যত্নে নয় এর রয়েছে আরো নানাবিধ কার্যকারিতা। এই গাছের পাতা লম্বা, গাছের পাতার দুই ধার রুক্ষ। এই গাছের মূল আঁশযুক্ত হয়ে থাকে, এবং মূল মাটির বেশি গভীরে থাকে না। খুব সহজে টান দিলেই উঠে চলে আসে। এবং মূল খুব বেশি বড় নয়। এই গাছের পাতার কোনা ঘেঁসেই একদম প্রশাখা বের হয়। এই গাছের পাতার কিনারায় হালকা খাঁজ কাটার মত হয়ে থাকে।

চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার করার নিয়ম

চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার করার নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। যে কোন জিনিস নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে এর ফলাফল আপনি অনেক বেশি ভালো পাবেন। চুলকে কালো এবং ঘন করার জন্য এর ব্যবহার সব থেকে বেশি। এটি শুধু চুলের গোড়াকে শক্ত নয়,চুল পড়া রোধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই জানুনকিভাবে ব্যবহার করলে আপনি ১০০ ভাগ ফলাফল পাবেন।

এর তেল বানিয়ে চুলে দিতে পারেন। অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে আমরা অনেকেই লজ্জিত হই। তাই এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে কালোকেশীর ব্যবহার অতুলনীয়। এর পাতা আপনি পিষে নিয়ে এর রস চুলের গোড়ায় দিলে চুল পাকা রোধ করে। অথবা এর পাতা পানির সাথে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে চুলে দিন। অথবা এর রস বা মূলসহ পুরা গাছ বেটে নিয়ে আমলার গুড়ার সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে দিতে পারেন।

চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার

কালোকাশীর ঔষধী গুনগুলো কি কি

কালোকাশীর ঔষধী গুনগুলো কি কি? চুলের যত্নে কালোকেশীর যেমন অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, ঠিক তেমনি এর বাইরেও এই গাছের আরো গুনাগুন রয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে এই গাছের রসকে ছত্রাকরোধী অ্যান্টিফাঙ্গাল বলা হয়ে থাকে। মেয়েদের মাসিক সমস্যার অনিয়ম থাকলে কালোকেশীর রস পান করলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও এই গাছের পাতা পেতে খেলে কাশির সমস্যা দূর হয়। অথবা কাটা জায়গায় দিলে ঘা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ডায়েটে প্রোটিনের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা এবং পরিমাপ সম্পর্কে

আপনি যদি কৃমির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই পাতা শুকিয়ে গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে সমাধান পাবেন। যদিও বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর এইসব গাছের ঔষধি গুণ সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেকটা পাল্টে গেছে। যদিও আমি মনে করি সব কিছু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত। তবে চুলের যত্নে যেমন এটি অনেক বেশি উপকারী তেমনি উল্লেখিত এসব গুণেও এই গাছ অনেক বেশি বিখ্যাত। তাই ছোটখাটো রোগ নিরাময়ের জন্য আপনি এই গাছকে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না।

লেখকের মন্তব্যঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

আপনি যদি উপরের বর্ণনাগুলি পড়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে কালকেশী গাছ এবং তেল দুটোই কতটা চুলের জন্য উপকারী এবং কার্যকারী। এবং আপনি যদি উপরের নিয়ম মেনে এই গাছের প্রয়োগ করতে পারেন অর্থাৎ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি এর ভালো ফলাফল পাবেন খুব অল্প সময়ে। অনেকের ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। আসলে সকলের জন্য সকল কিছু একই রকম ফলাফল বয়ে আনে না। তবে আপনার যদি অ্যালার্জিজনিত অথবা স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত খুশকি জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

কালকেশী উদ্ভিদ থেকে শুরু করে এর হেয়ার টনিক, পেস্ট সকল কিছুই চুলের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। তাই দেরি না করে উপরে বর্ণিত ব্যবহার বিধি মেনে ব্যবহার করা শুরু করুন। এবং এই গাছ শুধু চুলের যত্নে নয় এর আরো নানা উপকারিতা রয়েছে চিকিৎসা শাস্ত্রে। যদিও এই আর্টিকেলে কালোকেশীর শুধুমাত্র চুলের যত্নে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এবং সকল নারী পুরুষ চাই সুন্দর চুলের মাধ্যমে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি বজায় থাকুক। এর অপর নাম কেশরাজ। এবং বিভিন্ন দেশে এই গাছ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বকের সমস্যা, যকৃতের সমস্যা এবং পেটের পিড়ার সমস্যা থেকে এই গাছ আরাম দেয়।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url