সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাবেন না
- মোটা হওয়ার জন্য খাবারগুলোর পরিমাণ জানুন
- ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয়
- সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয়
- ওজন কমার কারণ জানুন ও মোটা হবার ওষুধ সেবনে বিরত থাকুন
- শেষকথাঃ সকালে খালি পেটে কে খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়? স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মোটা হওয়া
যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ঠিক তেমনি প্রয়োজনের থেকে বেশি পাতলা
হলেও সমস্যা রয়েছে। এবং দেখতেও খারাপ লাগে। এমনকি আপনার আত্মবিশ্বাসকে ঘুমিয়ে
ফেলে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যহীনতা। পুষ্টিহীনতা ও দুর্বলতার কারণে অনেক সময় নানা
ধরনের রোগ দেখা যায়। তাই আপনার শরীর যেন সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে
মোটা হতে পারে সেই দেখতে খেয়াল রাখতে হবে।
এই জন্য প্রয়োজন সকালের নাস্তায় যোগ করা কিছু উল্লেখযোগ্য খাবার। এগুলোর মধ্যে
থেকে খেজুর, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, মধু, দু্ধ, কলা, ডিম ইত্যাদি
উল্লেখযোগ্য। এসব খাবারে থাকা উন্নত মানের পুষ্টি উপাদান ও ফাইবার আপনার শরীরে
পুষ্টি যোগান দিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই আপনাকে জানতে হবে এগুলো খাবার
আপনি কখন কিভাবে এবং কতটুকু পরিমাণে খেতে পারবেন। নিয়ম মেনে খেলে আপনার
স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক উন্নতি ঘটবে।
সকালে খালি পেটে নাস্তায় কি খাবেন
সকালে খালি পেটে নাস্তায় কি খাবেন? মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সকালে খালি পেটে উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো খেতে হবে। এখন আপনাকে জানতে হবে এই খাবারগুলো কেন খাবেন এবং এতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি? এগুলো জানলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে যে কেন টাকা খরচ করে আপনার এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত। এবং এগুলো খেলে আপনি আসলে কতটুকু লাভবান হতে পারবেন। নিচে সকালের খালি পেটে রাস্তায় কি খাওয়া উচিত উল্লেখ করা হলো।
- খেজুরঃ বিভিন্ন পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানরা সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে বলেন। এবং যারা শরীর চর্চা করে থাকেন তাদের জন্য সকালের এই খাবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এবং এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। খেজুরে থাকা আয়রন এবং ফলিক এসিড রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। আপনার হজমের জন্য ভূমিকা পালন করে এতে থাকা ফাইবার। এবং আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই খেজুর খাওয়া উচিত। এবং হার্টের ঝুঁকি কমাতে খেজুরের ভূমিকা অতুলনীয়। এছাড়াও যেসব নারীদের গর্ভধারণ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরও খেজুর খাওয়া উচিত। কারণ খেজুর এসব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন খেজুরের কত পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- ডিমঃ ডিম হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ উন্নত মানের একটি খাবার। ছোট থেকে বড় অবশ্যই সকলেরই প্রতিদিন নূন্যতম একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। একে বলা হয় প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন। ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের উন্নতি করে এবং মিনারেল রয়েছে। এছাড়াও এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি২ আপনার ত্বকের সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ডিম খেলে আপনার প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। যা আপনাকে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখবে। বিশেষ করে আপনার হার্টের সমস্যার সমাধান করবে। এছাড়াও এতে থাকা জিংক মিনারেল প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনি অবশ্যই সিদ্ধ ডিম সকালের নাস্তায় যোগ করুন।
- দুধঃ শরীরের সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়ার জন্য সবথেকে সহজলভ্য খাবারটি হল দুধ। এটি আপনার হাড়ের জন্য অনেক উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন বি১২ এবং ত্বকের উন্নতি করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত কে শক্ত রাখে। তাই সকালে অথবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করুন। এটি আপনার ওজন বাড়াতে অনবদ্যভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। দুধ রক্ত তৈরিতে এবং রক্তশূন্যতা পূরণে সাহায্য করে।
- কলাঃ সকালের নাস্তায় প্রতিদিন খালি পেটে দুধের সাথে আপনি একটি কলা যোগ করতে পারেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি স্বাস্থ্যের অন্যদের সাথে সাথে আপনারা সৌন্দর্যের উন্নতি ঘটায়। এসব খাবার আপনার অভ্যন্তরীণ উন্নতির সাথে সাথে বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রসার ঘটাবে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬। যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এবং হজমে সাহায্যের জন্য এতে থাকা ফাইবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও হার্টের সমস্যার সমাধান করে। এবং এটুকুও সহজলভ্য এবং বাজারে খুব কম দামে আপনি হাতের কাছে পেয়ে যাবেন। যা আপনার শরীরে পুষ্টির যোগান দিবে।
- টক দইঃ সকালে খালি পেটে টক দই খাবার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় না সৌন্দর্যের ব্যাপক পরিমাণে প্রসার ঘটায়। এতে থাকা অনেক উপকারী জীবাণু পেটের ভিতরে গিয়ে নানা রোগের সমাধান করে দেয়। এবং টক ধরে আপনি দুধের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ পাবেন। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে এক বাটি টক দই খাবার। বা আপনি রুটির সাথে খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না এর ফলে আপনার শরীরে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাবে। তাই উপকারী জিনিসগুলো আপনাকে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
- বাদামঃ আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য খেজুরের পাশাপাশি বাদাম খেতে পারেন। অথবা দুধ,কলা খেজুর এবং বাদাম দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে সকালের রাস্তায় শুধুমাত্র এই খাবারটি যোগ করতে পারেন। এটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। এবং পেটে ভরে যাবে। এর ফলে আপনারা স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমবে না। এবং বিভিন্ন রকমের বাদামে থাকা ভিটামিন এ ,ই যা আপনার ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। এবং অবশ্যই এগুলো কোন ধরনের লবন এবং চিনি ছাড়াই খেতে হবে।
- কিসমিসঃ সকালে খালি পেটে খাবারের জন্য আপনি রাতে ভেজানো ছয় সাতটি কিসমিস খেতে পারেন। আঙ্গুর ফলকে শুকানোর পরে কিসমিস বানানো হয়। যার ফলে আপনি এখান থেকে আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ পাবেন। এতে রয়েছে মিনারেল। এবং খুবই অল্প পরিমাণে খেলে আপনার চাহিদা মিটে যাবে। এটি আপনি টক দই অথবা দুধের মিশ্রণের সাথে খেতে পারেন। কিসমিস আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে এবং রক্তশূন্যতার অভাব পূরণ করবে।
- বিভিন্ন প্রজাতির বীজঃ সকালের খাবার আপনি যদি দুই তিন ধরনের বীজ তিন চারটা করে খেয়ে থাকেন তাহলে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এবং এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আপনার চুল এবং দাঁতের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই আপনি একটির মধ্যে অনেকগুলো সমাধান পাচ্ছেন। এই ধরনের খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং শারীরিক সৌন্দর্য অনেক বয়স পর্যন্ত ধরে রাখবে। বিশেষ করে মিষ্টি কুমড়া, সূর্যমুখী, তিসি, ইত্যাদির বীজ আপনার খাবারের রান্নায় অল্প পরিমাণে যোগ করে খেতে পারেন। অথবা টক দই বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। বা বিভিন্ন সালাদে যোগ করতে পারেন।
সকালে ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাবেন না
সকালে ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাবেন না সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। কারণ
অনেকেই আপনাকে অনেক ধরনের পরামর্শ না বুঝিয়ে দিয়ে থাকবে। তাই সবার পরামর্শ
নেয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক হোন। তা না হলে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
এবং অনেক সময় না বুঝে অন্যের কথা শুনে উল্টাপাল্টা খেলে হিতে বিপরীত হয়। এবং না
জানার কারণে এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলোতে প্রোটিনে ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি
থাকে। যার ফলে এগুলো খাবার পরিমাণের থেকে বেশি খাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সাগুদানা, কাস্টার্ড পুডিং অর্থাৎ বিভিন্ন চিনি জাতীয় খাবার, কাঁচা লবণ খাওয়া
এগুলো পরিহার করুন। এগুলো শুধু সকালেই নয় চেষ্টা করুন ভরা পেটেও না খাবার।
সাবুদানা তে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে এতে প্রোটিনা ফ্যাটের পরিমাণ নেই
বললেই চলে। যা মোটা হবার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় উপাদান। শুধু মোটা হওয়া নয়
শরীরকে সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাবুদানায় যেহেতু এসব নেই
তাই আমরা এটি এড়িয়ে যাব। এবং চিনি জাতীয় খাবার চর্বির পরিমাণ বাড়ায়,
ডায়াবেটিস বাড়ায়, এবং বিভিন্ন রোগ ডেকে আনে। তাই সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা
হওয়া যায় এর উত্তরে আপনি এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাবেন।
মোটা হওয়ার জন্য খাবারগুলোর পরিমাণ জানুন
মোটা হওয়ার জন্য খাবারগুলোর পরিমাণ জানুন। সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় এটি জানার পাশাপাশি আপনাকে কতটুকু পরিমান খেতে হবে সেটিও জানতে হবে। তাহলে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে। এগুলো খেলে মোটা হওয়া যায় মানে এই নয় যে আপনি ইচ্ছে মতো খেতেই থাকবেন। চেষ্টা করুন সকালে কিছু শক্তির সাথে মেয়ে হলে দুইটি করে খেজুর এবং ছেলে হলে পাঁচটি করে খেজুর খাওয়া, একটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া, একটি কলা ছোট সাইজের, তিনটি করে তিন ধরনের বাদাম, এক গ্লাস দুধ, অথবা টক দইয়ের সাথে বাদাম খেজুর ও বিভিন্ন ধরনের বীজ সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে রুটি দিয়ে অথবা এমনি খেতে পারেন।
উপরে বেশ কয়েকটি খাবারের কথা বলা হয়েছে। সবগুলোই যে একসাথে খেতে হবে এমন নয়।
এবং যে খাবারটি আপনার পছন্দ নয় সেটি আপনি চাইলে বাদ দিতেও পারেন। তবে ডিম এবং টক
দই ও খেজুর প্রতিদিন রাখার চেষ্টা করুন। এতে শুধু আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি নয়
সৌন্দর্যের উন্নয়ন ঘটাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এবং অনেক ক্ষেত্রে
আপনার আর্থিক সমস্যার কারণে সবটা খেতে নাও পারেন। কোন সমস্যা নেই আপনি আপনার
সাধ্যমত উপরের বর্ণিত খাবার গুলো কিছুটা যোগ করার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে চিনি
ছাড়া টক দই অথবা ঘন দুধ দিয়ে কলা খেজুর বাদাম ও বীজ মিশিয়ে চিনি ও লবণ ছাড়া
কাস্টার্ড বানিয়ে খেতে পারেন। অবশ্যই দেড়শ গ্রামের বেশি টক দই খাওয়া যাবে
না।
ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয়
ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারেন। কিন্তু এতে আপনার মাসলসের পরিবর্তে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়বে। যা আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাবে। তাই চেষ্টা করে উল্লেখিত পুষ্টিকর খাবার গুলো অল্প পরিমানে খেয়ে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানোর। এটি আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম পন্থা।এর ফলে আপনি সুস্থ থাকবেন। এবং সুস্থতায় আমাদের সারা জীবনের কাম্য। এবং চেষ্টা করুন প্রতিদিন ১ ঘন্টা ব্যায়াম করার।
খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা আপনার দেহকে সুস্থ ও সুঠাম রাখবে। এবং দেখতেও আকর্ষণীয় লাগবে। শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্যই নয় ওজন বৃদ্ধির জন্যেও ব্যায়াম করা লাগে। চর্চা আপনার শরীরের মাংসপেশিকে প্রশস্ত করে। যার ফলে আপনাকে দেখতে মোটা লাগবে। তাই শুধু খাবারের দিকেই নজর নয় কিছু কায়িক শ্রমের দিকেও নজর দিন। সেই কায়িক শ্রম যেটি আপনার শরীরের মাংসপেশিকে বাড়িয়ে আকর্ষণীয় করে তুলবে।
সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয়
সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আপনার যদি বিশেষ কোনো সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জিজনিত সমস্যা, পাইলসের সমস্যা ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তা না হলে এগুলো আপনার শরীরে ভালো তো করবেই না আপনাকে আরো অসুস্থ করে তুলবে। এবং মৃত্যুর দিকেও নিয়ে যেতে পারে। তাই আপনার শরীরে কি সমস্যা রয়েছে তা আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবার খেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অ্যাভোকাডো কী ও এর গুনাগুন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া
আর যদি সমস্যা না থাকে তাহলে তো খুব ভালো। আপনি আরেকটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য কোন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে উপরে বর্ণিত খাবার গুলো সকালের নাস্তায় যোগ করতে পারেন। এ ধরনের খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়। এবং আপনার ওজন কতটুকু বাড়ানো উচিত বলে আপনি মনে করেন সেটি আগে নিশ্চিত করুন। তারপরে সেই হিসাব করে খাবার গ্রহণ করুন। এবং অবশ্যই আপনাকে খাবারে থাকা ক্যালরী হিসাব করে খেতে হবে। ক্যালরি হিসাব করতে না জানলে জেনে নিন। অথবা আরো সহজ ভাবে ডাইটেশিয়ানের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
ওজন কমার কারণ জানুন ও মোটা হবার ওষুধ সেবনে বিরত থাকুন
ওজন কমার কারণ জানুন ও মোটা হবার ওষুধ সেবনে বিরত থাকুন।আপনার কোন শারীরিক
অসুস্থতার জন্য ওজন কমে যাচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত করুন। অর্থাৎ থাইরয়েড ও
ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ওজন কমে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। অনেক সময় মানসিক চাপ ও সমস্যার কারণেও ওজন কমে
যায়। এগুলোর জন্য আগে ডাক্তারের কাছে যান। এসব সমস্যার সমাধান করলেই আপনার ওজন
প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে যাবে। এছাড়াও আপনার যদি আরও কোন শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে
যার কারণে আপনার ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে সেটি নিশ্চিত করুন। এবং ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। এক কথায় আপনার অসুস্থতা আগে সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে
এবং আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে কোন খাবারে তাহলে সেটি সকালের নাস্তায় বাতিল করতে হবে। তাই বিভিন্ন ফলমূল ও ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের সাথে সাথে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এবং পানি পান আপনাকে খাবার হজমে সহায়তা করবে। যা আপনাকে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। এবং অবশ্যই ওজন বাড়ানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এটাই আপনার শরীরের নানা ধরনের সমস্যা ডেকে নিয়ে আসবে। অথবা আর একজনের ওষুধ খেয়ে ওজন বেড়েছে তাই আপনিও খাবেন এমনটা কখনোই করবেন না।
শেষকথাঃ সকালে খালি পেটে কে খেলে মোটা হওয়া যায়
ওপরে উল্লেখিত খাবার গুলো ছাড়াও আপনি আপনার সকালের নাস্তায় পিনাট বাটার, মিক্সড
সালাদ অবশ্যই লবণ ছাড়া, বিভিন্ন ধরনের ফল ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। এবং অবশ্যই
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান, চিন্তা মুক্ত থাকুন ও শারীরিক সমস্যা থাকলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সমাধান করুন। এবং যে কারোর মুখ থেকে শোনা খাবার ও
টোটকা গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এবং যে খাবারগুলো খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা
হবে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
পুষ্টির অভাবে আপনার ওজন কমছে নাকি শারীরিক সমস্যার জন্য ওজন কমে যাচ্ছে তা নিশ্চিত করুন। আপনার শরীরে নিরাপত্তার জন্য জেনে বুঝে নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপ আপনাকে নিরাপত্তার সাথে সুস্থতা দিবে। এবং উপরে বর্ণিত খাবার গুলো আমি নিজেও প্রতিদিন সকালে পরিমাণ মতো খাবার চেষ্টা করি। কারণ এগুলো শুধু ওজন বাড়ায় না, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে। তাই চেষ্টা করুন ক্যালরি হিসাব করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url