সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সূচিপত্রঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- কানাডা যাওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম কি
- কিভাবে অফার লেটারের জন্য আবেদন করবেন
- কানাডাতে কাজের জন্য কেমন দক্ষতার প্রয়োজন
- কানাডায় চাকরির জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া
- সরকারিভাবে কানাডায় গেলে বেতন কত
- কেন কানাডিয়ান সরকার লোক নিতে চায়
- লেখক এর মন্তব্যঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় গুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল। যারা কানাডা যেতে চাই তাদের জন্য এটি খুব বড় সুখবর। কানাডিয়ান সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছেন যার নাম হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম। এর সব থেকে বড় ভালো দিক হচ্ছে এর জন্য আপনার কোনো বড় এমাউন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখানো লাগবে না। এবং আপনি দালাল ছাড়াই খুব সহজে মাত্র ৮০ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মধ্যে চলে যেতে পারবেন।দালাল ছাড়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে পরে আপনার কোন এলএমআইএ বা লিমার প্রয়োজন নেই। এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস হলেই হবে।
LMIA হচ্ছে A Labour Market Impact Assessment. লিমা হচ্ছে মূলত সরকারি ভাবে কাজ করার জন্য উকিলের মাধ্যমে আবেদন করার একটি প্রক্রিয়া। এবং আবেদন করার পরবর্তীতে কানাডিয়ান সরকার যদি আপনাকে Labour Market Impact Assessment পেপার এপ্রুভাল লেটার দিলেই আপনি আপনি চাকরি পাবেন। কিন্তু কর্মী সংকটের কারণে কানাডিয়ান সরকার এ পদ্ধতিকে শিথিল করে দ্রুত গতিতে এই পদ্ধতি চালু করেছে । এর ফলে আপনার আর উকিল খোঁজার ঝামেলা রইলো না। এর ফলে কোম্পানি সব ঝামেলা নিয়ে নিয়েছে এবং আপনি নির্ভেজাল ভাবে খুব সহজে সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন। সরকার তাদের এল এম আই এ এর অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে সরকারের অধীনে নিয়ে এসেছে। এর ফলে কোনো দালাল ভাই বা এজেন্সির প্রয়োজন হবে না।।
এর ফলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ
করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনি যোগ্য হলে অফার লেটারও পেয়ে যাবেন কোনো
দালাল ছাড়াই। বর্তমান সময়ে জানা গেছে যে, কানাডাতে কর্মী সংকট অনেক বেশি দেখা
দিয়েছে এবং তাদের চার লক্ষ ৮৫ হাজার কর্মের প্রয়োজন। সুতরাং আপনি যদি কানাডাতে
চাকরির খোঁজ করে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
কানাডা যাওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম কি
ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম কি ? সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম হচ্ছে এমন একটি নিয়ম যেখানে সরকার কানাডায় অবস্থিত বিভিন্ন কোম্পানিকে অনুমতি দিয়ে থাকে যে বাংলাদেশসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা কর্মী নেয়া হবে কোনরকম লিমা ছাড়াই। এবং আপনি যখন লিমার অন্তর্ভুক্ত থাকা কোম্পানিগুলোতে আবেদন করবেন তখন সে কোম্পানির মালিক সরকারকে আবেদন পত্র গুলো পাঠিয়ে দিবে। এবং সকল কিছু সরকারিভাবে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি যোগ্য হলে অফার লেটারটি হাতে পেয়ে যাবেন। এর ফলে আপনার কোন ঝামেলা থাকছে না সকল ঝামেলা কোম্পানির নিয়ে থাকবে।এরপরে আপনাকে শুধু এম্বাসিতে গিয়ে বিচার জন্য আবেদন করা লাগবে।
আরও পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া
আর আপনার হাতে যেহেতু একটি লেটার পত্র থাকবে তাই ভিসা আপনার জন্য হওয়া ১০০ ভাগ নিশ্চিত। এবং কানাডাতে যাওয়ার পরে কোম্পানির লোকেরাই আপনাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একেবারেই বিনা খরচে আপনাকে প্রদান করবে। যদি এমনটা না করে তাহলে সেখানকার সরকারি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। এর ফলে আপনার কোনো ঝামেলাই থাকছে না। আরে এমনটি না হলে কোম্পানির মালিক কে সেখানকার সরকারকে জরিমানা দেয়া লাগবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক তিনি জানেনা সরকারিভাবে এই বৈধ নিয়মকানুন টি। তাই আপনার আশেপাশের কেউ যদি কানাডা যেতে চাই এবং তারা যদি এই নিয়মগুলো যদি না জেনে থাকে তবে তাদেরকে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
কিভাবে অফার লেটারের জন্য আবেদন করবেন
কিভাবে অফার লেটারের জন্য আবেদন করবেন? কানাডা যেতে চাইলে খুব সহজেই সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় হিসেবে ঘরে বসেই আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার থেকেই আবেদন করতে পারেন। সেই জন্য আপনাকে সবার আগে লিমার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সার্টিফাইড কোম্পানিগুলো আপনাকে জানতে হবে। এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সেই সকল কোম্পানিতে আপনাকে অফার লেটারের জন্য আবেদন করতে হবে। কানাডিয়ান গর্ভমেন্ট অথরাইজ অফিসিয়াল জব ব্যাংক কানাডা এই লিংকে ক্লিক করে প্রবেশ করব। এখানে আপনি বিভিন্ন লিমার অন্তর্ভুক্ত ভেরিফাইড এবং সার্টিফাইড বিভিন্ন কোম্পানিগুলোকে রিসার্চ করতে পারবেন। এবং পছন্দ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।
এখানে আপনি ১৪৪৫০ টি কাজের ভেকেন্সি দেখতে পাবেন। কিছু উদাহরণস্বরূপ কাজগুলি
হচ্ছে, ডেইরি ফার্ম ওয়ার্কার, কার্পেন্টার লিড হ্যান্ড, শপ কিপার, ফার্ম
সুপারভাইজার, মিট কাটার ইত্যাদি। এখানে সকল কোম্পানিগুলোতে আবেদন করার
প্রক্রিয়াগুলো একদমই ফ্রি। কিন্তু এর মধ্যে কিছু কথা আছে। ধরুন আপনি কার্পেন্টার
জবের জন্য ওই কোম্পানিতে এপ্লাই করতে চাচ্ছেন। কার্পেন্টার জব ক্লিক করলে সেখানে
সরাসরি আপনাকে তাদের প্রধান পেইজে নিয়ে যাবে। কিন্তু অনেক কোম্পানিতে লিখে
দিয়ে থাকে যে শুধুমাত্র কানাডিয়ান প্রবাসীরা এই জবের জন্য আবেদন করতে পারবে। সে
ক্ষেত্রে আপনি ওই ধরনের জবগুলোকে স্কিপ করতে পারেন।
এবং সেখানে একটি রেড মার্ক দেয়া থাকে। যে সকল কাজে এ ধরনের কোন শর্ত থাকবে না যে সকল কাজেই আপনি শুধুমাত্র এপ্লাই করতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা চাই। আপনার যে কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটি আপনি উল্লেখ করে দিবেন। কিছু নাই যেখানে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন না সেখানে তাদের নিয়ম গুলো লেখাই থাকবে আপনি পড়লেই বুঝতে পারবেন। শুধু সার্চ করে জেনে নেয়া লাগবে। এবং এটি খুবই সহজ কাজ। আরেকটু সহজ করে বলে দিলে যে সকল কাজে ক্লিক করার পরে বিশ্লেষণের জায়গা গুলোতে আপনি গ্লোবাল আর্থ দেখতে পাবেন সে সকল কাজে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন। আর তাছাড়া আপনি তো পড়লেই জানতে পারবেন যে কোন কাজে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন।
কানাডাতে কাজের জন্য কেমন দক্ষতার প্রয়োজন
কানাডাতে কাজের জন্য কেমন দক্ষতার প্রয়োজন? সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইলে আপনার কিছু ন্যূনতম দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনাকে এসএসসি পাস হতে হবে। মোটামুটি ভাবে অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। তা না হলে সেখানে কার মানুষ জনের সাথে আপনি কমিউনিকেট করতে পারবেন না। আপনি পেইজে যাবার পরে ওভারভিউতে গেলে এই সকল নিয়ম কানুন গুলো জানতে পারবেন। বিভিন্ন কাজের জন্য আপনার কাছে বিভিন্ন রকম কাজের অভিজ্ঞতা চাইবে।
কোথাও পাঁচ বছর কোথাও এক বছর অথবা কোথাও তিন বছরের অভিজ্ঞতা চাইবে। আপনার যেই কাজে যেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই অভিজ্ঞতার উপরে আপনি জব এপ্লাই করবেন।যারা সৌদি আরব অথবা বিভিন্ন বিদেশে থাকছেন তাদের জন্য পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চাকরির গুলো অনেক বড় সুযোগ। তারা যদি এক দেশ থেকে কানাডা আসতে চায় তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। কারণ সবকিছুই এখন সরকারিভাবে সহজ পদ্ধতিতে কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রসেসিং করা হচ্ছে। এবং সময়ও খুব লাগে দালালের ঝামেলা ছাড়াই।
কানাডায় চাকরির জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া
আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন। আপনি যখন বিভিন্ন কোম্পানির কাজ সম্পর্কে জানার জন্য ওদের পেইজে যাবেন তখন নিজের দিকে হাউ টু এপ্লাই লেখাটা দেখতে পাবেন। ওইখানে নিচে একটি ইমেইল এড্রেস দেয়া থাকবে। এবং সেই ইমেইলের মাধ্যমেই আপনাকে আপনার জব এপ্লাই এর জন্য একটি সিভি পাঠাতে হবে। এবং এটি যেয়েতু ইন্টারন্যাশনাল জব এপ্লাই সুতরাং সেভাবে আপনাকে রিজিউমটি হাইলি ভাবে বানাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত বিস্তারিত জানুন
তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে সিভি তৈরি করতে হবে যেন তারা পছন্দ করে এবং
ভুল ধরতে না পারে। কোম্পানির দেয়া ইমেইল এড্রেসটি কপি করে আপনি সোজা আপনার
ইমেইলে যাবেন। এরপর যেভাবে ইমেইল করতে হয় সেভাবে ইমেইল করবেন। এবং আগে থেকে
নিয়ম অনুযায়ী ইংরেজিতে আপনি আপনার সিভি তৈরি করে রাখবেন। এবং তাদের দেয়া
ঠিকানায় আপনি সেটি মেইল করে দিবেন।
সরকারিভাবে কানাডায় গেলে বেতন কত
সরকারিভাবে কানাডায় গেলে বেতন কত? অবশ্যই কানাডা যাওয়ার আগে আপনাকে আপনার কাজ অনুযায়ী বেতন সম্পর্কে অবগত হতে হবে। এটি আপনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এবং যেহেতু এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ সরকারিভাবে সম্পাদিত হয়ে থাকে। তাই এখানে ধোকা খাবার কোন সুযোগ নেই। শুধুমাত্র আপনাকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বাছাই করে নিতে হবে এবং বেতন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হবে।
নানা রকম কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন স্যালারি এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি শপ কিপার চাকরির জন্য যান তাহলে আপনাকে সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪২ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এবং প্রতি ঘন্টার জন্য আপনাকে কানাডিয়ান ৩০ ডলার করে দেয়া হবে। যা মাসে বাংলাদেশী টাকায় আনুমানিক চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা হয়ে যায়। যা আপনার জন্য অনেক বেশি যথেষ্ট। তবে সব কাজের জন্য বেতন একই রকম নয়।
কেন কানাডিয়ান সরকার লোক নিতে চায়
কেন কানাডিয়ান সরকার লোক নিতে চায়? কানাডার দেয়া একটি ভিডিও বারটাই বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের মতোই পঁচিশ এবং ২৬ সালেও তাদের লোক লাগবে। অর্থাৎ কানাডা কর্মী সংকটে ভুগছে। যার ফলে তারা ১৪ লাখ কর্মী সংকটে ভুগছে। এবং বলা হয়েছে যে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নিতে চায়। যা বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ এটিকে কাজে লাগানোর জন্য।
তাই দেরি না করে আজ এই সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য এপ্লাই করুন। এবং আপনাদের
জন্য আরও এবং সুযোগ হচ্ছে যে এখানে কোন ইংলিশ টেস্ট আপনাকে দিতে হবে না এবং আপনার
এসএসসি পাস সার্টিফিকেট থাকলেই হবে। এবং আপনার বয়স 60 এর নিচে থাকা লাগবে। এবং
তারা সরকারিভাবে সকল রকম কার্য সম্পাদন করবে। আপনাকে কোন ঝামেলা পোহাতে হবে
না।
লেখক এর মন্তব্যঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
আপনি সরকারি ভাবে কানাডা নানা কারণে যেতে পারেন। কানাডিয়ান ভিসা মূলত দুই
প্রকার হয়ে থাকে। একটি হল স্থায়ী ভিসা যার মাধ্যমে আপনি ফ্যামিলি নিয়ে ব্যবসার
জন্য, ব্যবসার জন্য অভিবাসী অথবা এক্সপ্রেস এন্ট্রির জন্য ভিসার আবেদন করতে
পারেন। অন্যটি হলো অস্থায়ী ভিসা যার মাধ্যমে আপনি ঘুরতে যেতে অথবা পড়ার জন্য
যেতে পারেন। তবে মূলত বেশিরভাগ মানুষই সেখানে কাজের জন্য গিয়ে থাকে। কানাডা হলো
অনেক একটি দেশ।
কানাডা যেতে চাইলে অনেক সময় বিশেষ শর্তাবলির প্রয়োজন হয়। আজকের আর্টিকেলটি
মূলত আপনি কাজে চলে কিভাবে সরকারি ভাবে যেতে পারেন সেটা নিয়েই বলা হয়েছে। এর
বাইরে ও সরকারিভাবে আরো নানা কারণে কানাডা আপনি যেতে পারবেন। সেগুলোর জন্য আপনাকে
অবশ্যই আইইএলটিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ছয় পয়েন্ট পেয়ে যাওয়া লাগবে । সেগুলো অন্য
আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে
পড়ুন।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url