চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন
সূচিপত্রঃ চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন
- চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন
- চুল কেন পড়ে ও লক্ষণ গুলো কি কি
- চুল পড়ার কারণ হিসেবে রোগ নির্ণয় করুন
- চুল পড়া রোধে প্রাথমিক চিকিৎসা
- চুল পড়া কমাতে প্রাকৃতিক উপায়
- চুল পড়া চিকিৎসার জন্য কখন ডাক্তার দেখানো উচিত
- কোন ধরনের ফল ও শাকসবজি খাবেন
- শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত চাহিদা নিশ্চিত করুন
- সমাধানে কি ঔষধ খাবেন
- শেষ কথাঃ চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন
চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন
চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কী ঔষধ খাবেন? আপনার মাথা থেকে যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে যায় তাহলে এটি একটি সমস্যা বা রোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ডাক্তাররা এই সমস্যাকে অ্যালোপসিয়া বলে থাকে। আপনার মাথার স্কিনের অ্যালার্জির কারণে হতে পারে, অতিরিক্ত খুশকি জনিত সমস্যার জন্য হতে পারে। আবার আপনার শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটলে চুল পড়ে যেতে পারে। আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকলে চুল ঝরে পড়ে যায়।
ভিটামিন ই, আয়রনের ঘাটতি থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণে ঝরে পড়ে। নারী এবং পুরুষ
উভয়েরই বর্তমানে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। তাই ডাক্তাররা চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। তারা ঔষধ এবং আপনার প্রতিদিন কোন ফলমূল খাওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ
করে বলে দেবেন। আপনার যদি হরমোন জনিত সমস্যার কারণে চুল পড়ে থাকে তাহলে আলাদা
ওষুধ, আপনার যদি স্ক্রিন অ্যালার্জির জন্য কারণে চুল পড়ে থাকে তাহলে তার জন্য
আলাদা ওষুধ ডাক্তার দিয়ে থাকেন।
চুল কেন পড়ে ও লক্ষণ গুলো কি কি
- অনেক সময় জেনেটিক্স কারণে চুল ঝরে পড়ে যায়। বংশগতভাবে অনেকেরই চুল ঝরে পড়ার সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ে যাওয়া। মেয়েদের অনেক সময় মাঝখানে টাক পড়ে যায়। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা বংশগত কারণে হয়ে থাকে। এর কোন বিশেষ ঔষধ নেই। তবে আপনি যদি অনেক টাকার অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে হেয়ার ইমপ্লান্ট করাতে পারেন।
- আপনার যদি হরমোন জনিত সমস্যা থাইরয়েড রোগ হয়ে থাকে, অটো ইমিউন রোগ, সংক্রমণ জনিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে চুল পড়ে যাবে। এছাড়াও আপনার যদি বাতের সমস্যা থাকে, অধিক পরিমাণে বিষন্নতা কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, বিভিন্ন ধরনের থেরাপি নিয়ে থাকেন, এবং কড়া রোজার ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে চুল ঝরে পড়ে যাবে।
- চুল কেন পড়ে ও সমাধানে কেউ ঔষধ খাবেন এই আর্টিকেলে চুল পড়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকা। বিশেষ করে আপনার যদি প্রোটিনের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ না হয়ে থাকে তাহলে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে যায়।
- আপনি যদি মানসিক রোগী অথবা মানসিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে এবং মাথার চুল যদি বেশি জোরে জোরে টানতে থাকেন তাহলে চুল ঝরে পড়ে যাবে। এবং অতিরিক্ত টাইপ করে চুল বেঁধে রাখলে, পানিটেল করলে অথবা চুলে অযথা চাপ পড়লে চুলের গোড়া ঢিলা হয়ে গিয়ে ঝরে পড়ে যায়।
- আপনি যদি বেশি কালার করেন, চুলে কেমিক্যাল বা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ করতে থাকেন যা আপনার চুলের শুট করে না, বা চুল পার্মিং বা সোজা করেন তাহলে চল পড়ে যায়।
- এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে যাচ্ছে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে ৫০ বা ১০০ টাকা বেশি আপনার মাথার চুল উঠে যাচ্ছে তাহলে এটি আপনার জন্য সমস্যা। এখন চুলকে তো আর গণনা করা যায় না। যদি দেখেন যে আপনার গোসলের সময়ে, বালিশ, ব্রাশ অথবা ওয়াশরুমের মেঝেতে অন্তর্ভুক্ত পরিমাণে চুল ধরে থাকছে।
- ধীরে ধীরে এ্যালোপেশিয়ায় আক্রান্ত হবার কারনে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া। চুলের চামড়া স্পষ্ট হয়ে ওঠা। অর্থাৎ দেখলে মনে হবে যেন টাক পড়ে গেছে অথবা ছেলেদের মাথায় টাক পড়ে যাওয়া। এগুলোই হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়ে যাবার লক্ষণ।
- আপনার মাথা যদি বেশি পরিমাণে চুলকায় এবং চুলকানির ফলে চুলের ফলিক গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং চুল পড়ে যায়।
- চুল পড়ে যাবার কারণে অনেক সময় কেউ যদি বেশি পরিমাণে আরো মানসিক যন্ত্রণায় বা হতাশায় ভুগে থাকে তাহলে আরো বেশি করে চুল পড়ে যায়। বিষন্নতা চুল ধরে পড়ার অন্যতম কারণ ও লক্ষণ।
চুল পড়ার কারণ হিসেবে রোগ নির্ণয় করুন
চুল পড়া রোধে প্রাথমিক চিকিৎসা
- আপনি আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য ধরেন দিন একটি রুটিন অবলম্বন করুন।
- চুলে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। তাপ এবং রাসায়নিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
- হরমোনের ভারসাম্যতা থাকলে অথবা পুষ্টির ঘাটতি থাকলে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের পরিবর্তন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন। সেজন্য ডাক্তার আপনাকে মিনোক্সিডিল ও ফিনাস্টেরাইডের মতো ওষুধ দিতে পারে।
- চুলের ফলিক কে উন্নত করার জন্য প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা থেরাপি এবং লেদার চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিতে পারে।
- এবং প্রতিদিনের খাবারে ফলমূল ও শাকসবজি যোগ করুন।
চুল পড়া কমাতে প্রাকৃতিক উপায়
- আয়রন জিংক এবং বায়োটিনের উপর নির্ভর করে ভিটামিন এবং গণিত সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য প্রতিদিন আহার করুন। কারণ এই উপাদান গুলো চুলের জন্য অত্যাধিক পরিমাণে প্রয়োজনীয়।
- নারিকেল তেলের সাথে সামান্য পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল যোগ করুন। এর সাথে আপনি রোজমেরী পাতা যোগ করুন। যা চুলের যত্নে অনেক উপকারী। এই তেল আপনি আপনার চুলের স্ক্যাল্পে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন সপ্তাহে দিন দিন।
- চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে স্টাইল করা, কালার লাগানো, হাবিজাবি অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
- এবং চেষ্টা করুন মানসিক বিষন্নতা এড়িয়ে চলার, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো। এ ধরনের পরিবর্তন আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
চুল পড়া চিকিৎসার জন্য কখন ডাক্তার দেখানো উচিত
কোন ধরনের ফল ও শাকসবজি খাবেন
শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত চাহিদা নিশ্চিত করুন
সমাধানে কি ঔষধ খাবেন
- এতে রয়েছে বায়োটিন ইউএসপি। যা চুলের জন্য অনেক উপকারী। এই ভিটামিন এইচ নামেও পরিচিত।
- এই ওষুধ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শরীর বৃত্তীয় কাজ যেমন ফ্যাটি অ্যাসিড সংশ্লেষণ, অ্যামিনো এসিড ক্যাটাবলিজম ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট।
- এতে বিদ্যমান বায়োটিন, এপিডারমাল কোষের বৃদ্ধি প্রভাবিত করে এবং এই কারণে চুল নতুন ভাবে তৈরি ও গঠন করে। এটি নখ এবং ত্বকের জন্য উপকারী।
- এই ওষুধ চুলের গোড়ায় থাকা মাইটো কনড্রিয়াল কার্বক্সিলেসের কো- এনজাইম হিসেবে কাজ করে। ক্যারোটিনের গঠন বৃদ্ধি করে।
- তোর পড়া সমাধানের দৈনন্দিন ১০ মিগ্রা পর্যন্ত বায়োটিন গ্রহণ করা উচিত।
- এটি ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলারা এলোপেশিয়া রোধে ব্যবহার করতে পারবে।
- চুল পরিষ্কার এবং শুকনা থাকা অবস্থায় বারো ঘন্টার ব্যবধানে নিয়মিত দুইবার এক মিলি লিটার করে সরাসরি মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
- এক মিলিটার পরিমাপ বোঝার জন্য এটি মোট সাতবার স্প্রে করতে হবে। এবং প্রথমে যেখানে চুল কম আছে সেখানে লাগাতে হবে। এরপর সারা মাথায় অল্প অল্প করে লাগিয়ে দিন। রাতে ঘুমাতে যাবার চার ঘণ্টা আগে এটি চুলে লাগিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আর একবার লাগিয়ে গোসলের সময় চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- এবং চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যবহার করার পর চুলে মাসাজ করা যাবে না। এবং এটি কোন তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন না।
- এবং ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে মাথার বাইরে এটি যেন শরীরের অন্য কোন অংশে ভুল করে লেগে না যায়। কোন কারনে লেগে গেলে সেটা তাড়াতাড়ি পানি ও সাবানা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না খেয়াল করবেন একবারে এক মিলেটারের বেশি দারুন লাগানো না হয়। এবং কোন বেলায় দিতে ভুলে গেলে পরবর্তীতে বেশি দেয়া যাবে না। আঙ্গুল দিয়ে ব্যবহারের ফলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। কাঙ্খিত ফল পাওয়ার জন্য তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। এবং চুল পড়া বন্ধের জন্য ৪৫ দিন এটি ব্যবহার করা লাগবেই। এটির দাম ৬০ মিলি এরা ৬০০ টাকা।
- এটি ব্যবহারের ফলে হঠাৎ কিছুদিন অল্প পরিমাণে চুলকানি দেখা দিতে পারে। চুল পড়া কিছুদিন বেড়ে যেতে পারে। তবে চুলকানির মাত্রা যদি বেশি হয় এবং জ্বালাপোড়া হয় তবে এটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।
- এবং বয়স 18 বছরের কম হলে ব্যবহার করা যাবে না। আপনার যদি হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকে তাহলে এটি এড়িয়ে চলুন। এবং আপনি যদি মাথায় আগে থেকে অন্য কোন ওষুধ লাগিয়ে থাকেন তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url