সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। সকালে কলা খেলে শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান হয়। কলায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণের শক্তি প্রদান করে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
সকালে-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা
সকালে কলা খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি থাকবে সুস্থ এবং ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে আপনি সকালে কলা যোগ করতে পারেন। ত্বকের যত্নে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করতে অবশ্যই আপনাকে কলা খেতে হবে। এবং কলার দাম বাংলাদেশে হওয়ায় অনেক সহজেই আপনি এদের বিদ্যমান অনেক ধরনের কষ্ট উপাদান পাচ্ছেন।

সূচিপত্রঃসকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি? সকালে কলা খাওয়ার ফলে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। অল্প খাদ্য উপাদান দিয়ে এবং অনেক কম ক্যালরিতে আপনি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি এবং শক্তি ও তৃপ্তি সবগুলোই পাচ্ছেন। কম ক্যালরি গ্রহণ করে আপনার পেটও ভরবে। অনেকেই নানান সময়ে কলা খেয়ে থাকেন কিন্তু ওদের মতে সকালবেলায় কলা খাওয়া সব থেকে উত্তম। আপনার শরীরে যদি রক্তস্বল্পতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার সকালের নাস্তায় কলা খেতে হবে।

কারণ সকালে আপনি যখন খালি পেটে কলা খাবেন তখন আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এতে থাকা পুষ্টি গুণ আপনার শরীর খুব সহজে শুষে নিতে পারবে। অনেকের মধ্যে সকালে খালি পেটে কলা না খেলেই ভালো। কিন্তু সকালের নাস্তায় কলা রাখতে বলেন। আপনি যদি শরীরচর্চা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কলা খেতে হবে। এটি খুব সহজেই কম ক্যালরিতে পেটকে ভরিয়ে রাখে। এবং শরীরচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি আপনার শরীরকে যোগান দিয়ে থাকে।

সকালে কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি পরিবর্তন ঘটবে

সকালে কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটবে? শরীরচর্চা যারা করেন এবং যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে এবং যারা ওজন কমিয়ে অল্প ক্যালোরি গ্রহণ করে পেট ভরাতে চান তাদের জন্য সকালের নাস্তায় কলা একটি উত্তম খাবার। সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি এই জিনিসগুলো বুঝতে পারবেন। এবং কোন খাবারের সাথে কি পরিমানে কলা খেতে হবে সেটিও আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। নিচে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

  • ওজন কমাতেঃ আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই সকালে কলা খেতে পারেন। অনেকের ধারণা কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। আপনি যদি বেশি পরিমাণে খান তাহলে যে কোন খাবারে আপনার ওজন বাড়ার জন্য দায়ী হবে। কলা অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি চেহারা কেউ সুন্দর রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করেঃ আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নানা ধরনের সমস্যায় ভুগবেন। তাই পেট পরিষ্কার রাখতে চাইলে সকালের খাবারের অবশ্যই কলা রাখুন। এটাই আপনার পেটকে পরিষ্কার রাখবেন এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে সমাধান দেবে।
  • পানির অভাব পূরণ করেঃ কলাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। অনেক সময় বেশি তেল মশলা দেওয়ার খাবার খেলে না না ধরানোটা দেখা দেয়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ পাখা কলা খেলে তেল মশলা খাবার গ্রহণের পরের সমস্যা গুলি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আপনি যদি গলা মধু দিয়ে একটি স্মোদি তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার স্নায়ুর উত্তেজনা কমবে। এই জন্য ডাক্তাররা সুস্থ অবস্থাতেই কলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পুষ্টিকর ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
  • হাড় শক্ত রাখেঃ এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে এটি অন্যতম।
  • রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ এটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। পটাশিয়াম পেশির কার্যকারিতা এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই ফল ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • ত্বককে সুন্দর রাখেঃ এতে থাকা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কলা খেলে আপনার ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে।
  • হার্ট কে ভালো রাখেঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হার্টের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন কলা খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। এমনকি আপনার ব্রেন স্ট্রোক হবার সম্ভাবনাও কমে যায়।
  • আলসার ভালো রাখেঃ আপনার যদি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন একটি করে কলা খান। কারণ এই ফলে থাকা মিউসিলেজ পাকস্থলীর ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত মিউকাস পর্দা কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফল গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে।
  • ভিটামিনের অভাব পূরণ করেঃ এই ফলে এ থেকে জেড পর্যন্ত ভিটামিন রয়েছে। যা শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনাকে আলাদা করে কোন ভিটামিনের ঔষধ গ্রহণ করতে হবে না।
  • চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখেঃ এই ফলে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান ত্বকের কোষগুলিকে ভেঙে যাওয়া থেকে বিরত রাখে। ফলের বয়সের তুলনায় আপনাকে দেখতে কম মনে হবে। এবং আপনি অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ এই বলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আপনার মগজের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে।
  • ওজন বাড়াতে সাহায্য করেঃ কলা শুধু ওজন কমায় না এর সঠিক ব্যবহারের ফলে আপনার ওজনও বৃদ্ধি পাবে। ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে তিন-চারটেপাকা কলা এবং আড়াইশো গ্রাম দুধের সাথে খেলে এবং বেশি পরিমাণে কয়েক ধরনের বাদাম যোগ করে খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে।

সকালে-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা

কলা কোন সময় খাবেন

কলা কোন সময় খাবেন? অনেকের মধ্যে কলা কোন সময় খাওয়া ভালো সেটি নিয়ে অনেক ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কলা সকালবেলা খাওয়াই সবথেকে উত্তম। তারা এটিও বলে থাকেন যে একদম খালি পেটে কলা খাওয়া ঠিক নয়। সকালের নাস্তায় অন্য কোন খাবারের সাথে কলা খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধুমাত্র সকাল বেলায় খাওয়া বাধ্যতামূলক এমনটা নয়। আপনি চাইলে দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন। তবে দিনের শুরুতে খেলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি শুরুতেই পাবে।

আরও পড়ুনঃ ABC জুস আপেল-বিটরুট-গাজর


যেকোনো পুষ্টিকর খাবার সকাল বেলার খাওয়া উচিত এতে আপনার শরীর সকল পুষ্টিগুণ শোষণ করে নিতে পারবে তাড়াতাড়ি। রাতে ফল খাওয়া নিয়ে অনেকের অনেক রকমের ধারণা রয়েছে। তবে রাতে কল না খাওয়াই উত্তম। কারণ অনেক সময় রাতে কলা খাওয়ার ফলে ঠান্ডা লেগে যায়। এবং এটি যেহেতু পেট ভরে তাই রাতে খেলে শরীর ভারী মনে হতে পারে। চেষ্টা করতে হবে রাতের বেলায় পেটকে ফাঁকা রাখার। যা শরীরের জন্য অধিক উত্তম। যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা নেই তারা যদি মনে করেন রাতে খাবেন তবে খেতে পারেন।

খালি পেটে কলা খেলে কি হয়

খালি পেটে কলা খেলে কি হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে অল্প পাকা অবস্থাতে কলাতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে। বাংলা এটিকে বলা হয় প্রতিরোধী শ্বেতসার। কলা বেশি পেকে গেলে আঁশের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সরকারের মাত্রা বেড়ে যায়। খালি পেটে কলা খেলে আপনার শরীরে হঠাৎ করে সরকারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে আপনার শরীর ক্লান্ত মনে হবে। আপনি যদি শরীরচর্চা করেন এবং সকালে খালি পেটে শরীর চর্চা করার আগে কলা খান তাহলে আপনারা অনেকটা ক্লান্ত লাগবে।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে খালি পেটে কলা খাওয়া যাবেনা। কারণ শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কলা খেলে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ইনসুলিন বেড়ে যায়। তার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভয়াবহ। তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে সকালবেলায় কার্বোহাইড্রেট এবং কম আঁশ রয়েছে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কলা খাবার সঠিক উপায়

কলা খাবার সঠিক উপায় রয়েছে। কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে হবে না। কলা খাবার সঠিক উপায় গুলো আপনাকে জানতে হবে। তবেই আপনি কলা খাবার উপকারিতা গুলো জানতে পারলে লাভবান হবেন। অবশ্যই আপনাকে ফল অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিল রেখে সঠিক সময় খেতে হবে। সবথেকে উত্তম হলো আশ, প্রোটিন এবং চর্বির সাথে কলা খাওয়া উত্তম। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রার বৃদ্ধি পাবে না।

আরও পড়ুঃ শিশুদের প্রথম খাবার কেমন হবে


আপনি কলা এবং দুধ দিয়ে একটি স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। অথবা কলা মধু এবং ওটস মিল্ক খেতে পারেন। কলা পাউরুটি খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে একটি সেদ্ধ ডিম, ব্রাউন ব্রেড, শুকনো ফল ইত্যাদির সাথে কলা খেতে পারেন। অথবা খেজুর, মধু ,কলা ওটস একসাথে খেতে পারেন। এগুলো আপনার কম ক্যালরিতে পেট ভরাবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির যোগান দিবে।

সকালে-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা

প্রতিদিন কয়টি কলা খাবেন

প্রতিদিন কয়টি কলা খাবেন? কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি এখন তিন-চারটা কলা খেতে পারেন না। অবশ্যই আপনাকে আপনার বয়স, ওজন এবং শারীরিক নানাবিধ কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে প্রতিদিন আপনি কয়টি কলা খেতে পারেন। এবং আপনার যদি বিশেষ কোনো সমস্যা থাকে অথবা ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে কলা খেতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে আপনার ডায়াবেটিসহ না না ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও এর সুবিধা অসুবিধা


মোটামুটি সাইজের কলা আপনি প্রতিদিন দুইটি করে খেতে পারবেন। যদি আপনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে। আর শিশুদের জন্য দিনে একটি করে কলা খাওয়াই উত্তম। একটি মাঝারি সাইজের কলায় পটাশিয়াম থাকে ১৮ মিলিগ্রাম। তবে কলা খেলে অন্যান্য খাবার কতটুকু পরিমাণে খেতে হবে সেটিও আপনাকে জানতে হবে। কারণ অন্য খাবারগুলো যদি আপনি কারো হিসাব না করে বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অবশ্যই সকল খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

কলা খাবার অপকারিতা

কলা খাবার অপকারিতা রয়েছে। সকালে কলা খাওয়ার যেমন নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। এবং উপকারিতার পাশাপাশি আপনাকে অপকারিতা গুলো সম্পর্কেও জানতে হবে। যে কোন জিনিস গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই জেনে নিতে হবে। এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার শারীরিক অবস্থান সম্পর্কে আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানতে পারবে না। তাই কোন খাবারটি আপনার কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে সেটি সব থেকে ভালো আপনি বলতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কলা খাবার উপকারিতা গুলো কেমন হয়ে থাকে।

  • আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে খালি পেটে কলা খেলে আপনার এই সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
  • বেশি পরিমাণে প্রতিদিন আপনি যদি কলা খেতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার হার্টের সমস্যা হতে পারে।
  • আপনার শরীরে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি পরিমাণে থেকে থাকে তাহলে কলার অপকারিতা আপনাকে ভালো করে জানতে হবে। আপনার পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি এবং কলা খেয়ে আপনার পটাশিয়ামের মাত্রা যদি আরো বেড়ে যায় তাহলে আপনার হাইপার ক্যালিমিয়া রোগ হতে পারে।
  • আপনার যদি শ্বাস-তন্ত্রের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই কলা খেয়ে এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার যদি ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক হাই হয় তাহলে কলা খাওয়া যাবেনা। ফলে আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাবে।
  • আপনার যদি বেশি মাথা ব্যথা অর্থাৎ মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তাহলে কলা খেতে পারবেন না। কারণ কলা আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলবে।

শেষ কথাঃ সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি

কলা খাওয়ার যেমন অনেকগুলি গুনাগুন রয়েছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কলা খেলে কি হয় এবং কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেগুলিও উপরের আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। বেশি কলা খাওয়া নয় যেকোনো কিছু বেশি খাওয়ার ফলেই আপনার নানা ধরনের শারীরিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই যে কোন জিনিসের উপকারিতা জানার পাশাপাশি এর অপকারিতা গুলিও আপনাকে জানতে হবে।

অতিরিক্ত পরিমাণে কলা গ্রহণের ফলে আপনার কষ্ট কাঠিন্য হতে পারে। এই ফল গ্রহণের ফলে আপনার শর্করার পরিমাণ যেন বেড়ে না যায় সে দিকটি খেয়াল রাখুন। এবং ডায়াবেটিসের রোগী হলে অবশ্যই ডাক্তারকে নিয়ে কি পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত সেটা নিশ্চিত করুন। এই ফল শুধু বড়দিনের জন্য নয় ছোটদের জন্য অনেক পুষ্টিকর। ছোটদের ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে এই ফল তাদেরকে দুপুরে খাওয়ানো উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url