কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
- কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
- পেটের চর্বি কমানোর উপায়
- মানসিক কষ্ট চিন্তা থেকে দূরে থাকুন
- অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস পরিহার করুন
- সাদা চাল ও আটার খাবার পরিহার করুন
- অলস না হয়ে একটিভ থাকার চেষ্টা করুন
- প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
- শেষ কথাঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়? একটা বয়সের পড়ে গিয়ে পেটের চর্বি দিন দিন বাড়তে থাকে। সাধারণত বেশি ক্যালরি রয়েছে এমন খাবার প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকলে পেটের চর্বি বেড়ে যায়। চর্বি কমানোর জন্য প্রথম শর্ত হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা। এখন প্রশ্ন হল স্বাস্থ্যকর খাবার কি? অনেকেই না বুঝে ফলমূল ও শাকসবজি স্বাস্থ্যকর মনে করে অতিরিক্ত তেল ও লবণ দিয়ে রান্নার পর বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলে।
কিন্তু তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। যা আপনার ওজন বাড়াতে অদম্য ভূমিকা পালন করে। এবং অতিরিক্ত লবণ ওজন বাড়ায়। যেসব খাবারের অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে সেগুলো হল চিনি, সয়াবিন তেল, প্রতিদিন রেড মিট খাওয়া, বাইরের ভাজাপোড়া, স্যাচুরেটেড চর্বি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। যা পেটের চর্বি বাড়ানোর জন্য দায়ী। ভাজাপোড়া তেল বারবার ব্যবহার করা এবং সেই তেল আবার রান্নায় ব্যবহার করা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। এগুলো পরিহার করুন।
পেটের চর্বি কমানোর উপায়
পেটের চর্বি কমানোর উপায় রয়েছে। যেগুলো মেনে চললে খুব সহজেই আপনি ভাল ফলাফল
পাবেন। কিন্তু এর জন্য সবার আগে আপনাকে আপনার জিব্বা তে তালা মারতে হবে। কিভাবে
পেটের চর্বি কমানো যায় এই প্রশ্নের উত্তরে এটি হলো প্রথম শর্ত।অর্থাৎ ধৈর্য্য
ধরে আপনাকে মুখরোচক খাবার গুলো এড়িয়ে যেতে হবে। চেষ্টা করুন খাবারের তালিকায়
চিনি একদম বাদ দিয়ে দেয়া। এবং রান্নায় তেল যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো।
তেলের কারণে কম ক্যালরিযুক্ত লাউয়ের তরকারিও অনেক ক্যালোরি হয়ে যায়। তাহলে
বুঝতে পারছেন কিভাবে আমরা না বুঝে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করে থাকি।
- আপনার খাবারের তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো যোগ করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো হল লাল আটা ও লাল চালের ভাত। এবং আঁশযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল।
- অনেকেই চিনি দিয়ে দুধ চা অনেক পছন্দ করে। এটি ভুড়ি বাড়ানোর জন্য অন্যতম কারণ। তা এর পরিবর্তে আপনি স্বাস্থ্যকর গ্রীন টি দিয়ে খেতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেদ কমাতে সাহায্য করে।
- অনেকের ধারণা অতিরিক্ত থাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। শুকনা মরিচ অথবা গুড়ার ঝাল খেলে ক্ষতিকর। কিন্তু আপনি যদি বেশি করে আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি এবং কাঁচা মরিচের ঝাল খান তাহলে এটি খুবই স্বাস্থ্যকর। এবং পেটের চর্বি কমায়। শুধু চর্বি কমায় তা না এর রয়েছে আরো নানাবিধ উপকারিতা।
- পেটের মেদ কমাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের ভূমিকা অনেক বেশি। তাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করুন। সামুদ্রিক মাছ, আখরোট, কাঠবাদামে আপনি এই পুষ্টিগুণ পাবেন।
- সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুনের কোয়া ভালোভাবে চুষে খান। এটি শুধু আপনার পেটের মেয়েদের নয় আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কারণ এতে রয়েছে হজম শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা। যা আপনার শরীরের সহজে মেদ জমতে দিবেনা।
- যেসব মানুষ বেশি চিন্তা এবং হতাশায় ভুগে থাকেন তাদের মেদ বেড়ে যায়। বিশেষ করে পেট এবং কোমরের চারপাশের মেদ বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি চিন্তামুক্ত থাকার।
- প্রতিদিন খাবার গ্রহণের পরে 30 মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কারণ খাবারের জন্য আপনাকে হাঁটতে হবে। যা আপনাকে পেটের মেতে জমতে দেয়া থেকে বাধা দিবে।
- যারা বিভিন্ন অফিস আদালতে বা বাড়ির মধ্যে শুয়ে বসে চেয়ার টেবিলে কাজ করে দিন পার করে দেন তাদের খুব সহজেই পেটের মেদ বেড়ে যায়। তাই প্রতি ৪০ মিনিট কাজ করার পরে চেষ্টা করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটাহাটি করার।
- একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না। এটি দ্রুত পেটের মেদকে বাড়িয়ে তোলে। অল্প পরিমানে খাবার গ্রহণ করুন। এবং যেসব খাবারে আপনার গ্যাস বেড়ে যায় সেসব খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
- আপনার প্রতিদিনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ একদম কমিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন অনেক বেশি ভাত এবং রুটি খাওয়া যাবে না। চেষ্টা করুন দিনে একবার খুব অল্প পরিমাণে ভাত খাবার। এবং কম তেল ও লবণ দিয়ে রান্না করা সবজি খাবার। সবজি মানে এই নয় যে সেটা আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন। সবজিও আপনাকে আপনার ওজন,উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী মেপে খেতে হবে। সেজন্য আপনাকে একজন দক্ষ ডায়ডিশিয়ানের সাহায্য নিতে হবে।
- ফলমূলের রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। তাই প্রতিদিন আপনি বেশি পরিমাণে ফল খেতে পারবেন না। দিনের একটা অংশ অল্প পরিমাণে ফল গ্রহণ করুন। চেষ্টা করুন প্রতিদিন একটি ছোট কলা, অর্ধেক আপেল, কয়েকটা খেজুর, ও ডালিম খাবার। এসব খাবার আপনার শরীরে পুষ্টি শক্তি যোগাবে কিন্তু মেদ বাড়াবে না।
- অনেকেই আছেন সকালের খাবার না খেয়ে থাকেন। এটি একদমই করা যাবে না। কারণ সকালের খাবারই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন সকালের সবথেকে বেশি পুষ্টিকর এবং ভালো খাবার গ্রহণের। যেমন সেদ্ধ ডিম, কলা, ডাল ও সবজি দিয়ে ছোট একটি রুটি অথবা ওটস গ্রহণের।
- বড় প্লেটে না খেয়ে ছোট প্লেটে খাবার গ্রহণ করুন। আপনি আপনার থালায় খাবার কে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে খান। এর ফলে আপনি তৃপ্তি পাবেন এবং মনে হবে আপনি অনেক খাবার খেয়েছেন পেট ভরে। এবং প্রতিদিন সালাদ খাবার চেষ্টা করুন।
- কোথাও বেড়াতে গেলে কাউকে খুশি করার জন্য বেশি পরিমাণে খাবেন না। খাবার গ্রহণের সময় মনোযোগ দিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। এর ফলে বেশি খাবার গ্রহণ করা হবে না এবং পেটের মেদ বাড়বে না।
- তেল জাতীয় এবং বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন ভাজাপোড়া, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার পরিহার করুন। পেটের মেদ কমে যাওয়ার পরে নিয়ম করে সপ্তাহে বা মাসে দুইদিন খাবার চেষ্টা করুন।
- দ্রুত পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিনের খাবার থেকে ভাত এবং রুটি একদম বাদ দিয়ে দিলে সব থেকে ভালো। এবং প্রতিদিন পেটের মেদ কমানোর কিছু এক্সারসাইজ করুন। দেখবেন এক মাসে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে। তারপরে আপনি চাইলে নিয়ম করে অল্প পরিমাণে কিছু পরিমাণে ভাত খেতে পারেন।
মানসিক কষ্ট চিন্তা থেকে দূরে থাকুন
মানসিক কষ্ট চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেস নেই তখন শরীরে মেদ জানতে শুরু করে। কারণ মানসিক চাপে ভোগার কারণে শরীরে এক ধরনের হরমোন বের হয়। যার নাম কর্টিসল। এর ফলে আমাদের মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণের ইচ্ছা অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে বেশিরভাগ মানুষ চিনি যুক্ত খাবার খেয়ে পেটের মেদ বাড়িয়ে ফেলে। এই হরমোন ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে পেটে দ্রুত চর্বি জমে যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয়ে থাকে সেন্ট্রাল অ্যাটিপসিটি।কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এই আর্টিকেলে এটি হলো অন্যতম সমাধান।
আরও পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
যার ফলে এক ধরনের হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষিদা অনুভব হয় এবং খাবার পরিমাণ বেড়ে যায়। এবং আরেক ধরনের হরমোন রয়েছে তার নাম লেপটিন। এমনি স্মরণ কমে যায়। এমনি ধরনের ফলে আমাদের মনে হবে যে পেট ভরে আছে। কিন্তু কমে গেলে আমরা বেশি পরিমাণে ক্ষুধার্ত থাকবো। তাই পেটের মেদ থেকে শুরু করে শরীরের ওজন কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। সেই জন্য আপনার প্রিয় কাজগুলো করুন, মেডিটেশন করুন, এবং কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন হলে সেটিও করুন।
অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস পরিহার করুন
অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস পরিহার করুন। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে যেমন ওজন বেড়ে যায়। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমালে ওজন বেড়ে যায়। আপনি যখন না ঘুমিয়ে বেশি রাত জাগবেন তখন ক্ষিধার পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং আপনি উল্টাপাল্টা খাওয়া শুরু করবেন। এভাবে আপনি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন অতিরিক্ত ক্যালরি আপনার শরীরের ওজন ও পেটের মেদ বাড়িয়ে দিবে।রাত জাগার ফলে বেশি পরিমাণে তিনি যুক্ত খাবার এবং ফাস্টফুড বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ অ্যাভোকাডো কী ও এর গুনাগুন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া
অথবা অস্বাস্থ্যকর এমন কিছু যা সহজে তৈরি করা যায় এমন খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এভাবে আপনার অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন আপনাকে অসুস্থ ও মেদ যুক্ত করে তুলবে। এবং নিদ্রাহীনতা আপনাকে মানসিক চাপে ভোগাবে। যার ফলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। এবং আপনি যখন বেশি খেয়ে অতিরিক্ত ঘুমাবেন কোন ধরনের শারীরিক ক্রিয়া ছাড়াই সেটি আপনার ওজনকে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে পেটের মেদকে।
সাদা চাল ও আটার খাবার পরিহার করুন
সাদা চাল ও আটার খাবার পরিহার করুন। সাদা চাল এবং আটাই ফাইবার নেই। ফাইবার আমাদের শরীরের খাবার কে ধীরে ধীরে হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই সাদা চাল এবং আটা তৈরি করার সময় এতে থাকা ফাইবার ফেলে দেয়া হয়। যার ফলে এটি অস্বাস্থ্যকর। খাবারকে দ্রুত হজম করে ফেলে এবং শরীরে রক্তের মধ্যে নীল মাত্রা কে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে ডায়াবেটিস রোগের সৃষ্টি হয়।
সাধারণত প্রক্রিয়াজাত শস্য দানা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে মেদ বেড়ে যায়। কিন্তু
আপনি যদি লাল চাল বা ঢেঁকিতে ছাটা চাল ও আটার খাবার গ্রহণ করেন তাহলে আপনি পুষ্টি
এবং ফাইবার দুটোই পাবেন। আপনার খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে এবং পেটের
মধ্যে মেদ জমতে বাধা দিবে। এই খাবার অনেকেরই পছন্দ হবে না। কারণ এই খাবারের
স্বাদ তুলনামূলক কম। কিছুদিন খাবার পরে অভ্যাস হয়ে গেলে আর কিছু মনে হবে না।
অলস না হয়ে একটিভ থাকার চেষ্টা করুন
অলস না হয়ে একটিভ থাকার চেষ্টা করুন। আপনি যদি সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকেন অথবা কোন ধরনের কাজ না করেন তাহলে খুব সহজেই পেটের মধ্যে মেদ জমে যায়। আপনি যদি আপনার পেটকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই সবার আগে ভাত খাওয়া ছেড়ে দিন অর্থাৎ কার্বোহাইডেট ত্যাগ করতে হবে। এবং পেটের কিছু এক্সারসাইজ রয়েছে যেগুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুনঃ ছেলেরা তেঁতুল খেলে কি হয় বিস্তারিত পড়ুন
কোন কিছুই শুরু করলেন আর সাথে সাথে ফলাফল পাবেন এমনটা ভাববেন না। যে কোন কাজে সবার আগে প্রয়োজন ধৈর্য্য। তাই নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উপযুক্ত নিয়মগুলো মেনে চলুন। অর্থাৎ এতক্ষন যা পড়লেন সেগুলো মেনে চলুন। জিমে না গিয়েও আপনি চাইলে ইউটিউব দেখে কিছু এক্সারসাইজ করে এবং খুব সহজেই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এবং সয়াবিন তেল খাওয়া একদম পরিহার করে দিলে খুব কম সময়ের মধ্যেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। চেষ্টা করুন অতিরিক্ত ক্যালরি ছাড়াই এমন খাবার খেতে যেগুলো খেলে আপনার পেট ভরে যাবে। তাই চেষ্টা করুন চর্বি মুক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করা। এবং যেসব খাবারে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে সেই ধরনের খাবারগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহন করা। পেট কমানোর প্রথম শর্ত হলো ক্যালোরি কমিয়ে দিয়ে পেটের চর্বিকে পুড়িয়ে ফেলা।ফাইবার বা আঁশ পাবার জন্য শাকসবজি ও ফলমূল খান। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পাবেন।
আরও পড়ুনঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও এর সুবিধা অসুবিধা
স্বাস্থ্যকর চর্বির জন্য আপনি পাঙ্গাস মাছ, সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং ভেজিটেবল অয়েল অথবা অয়েল গ্রহণ করুন। এবং এই ধরনের অভ্যাস প্রতিদিন মেনে চলুন। আপনি চাইলে সপ্তাহে একদিন মন মত যে কোন খাবার খেতে পারেন। কিন্তু আপনি টার্গেট করুন এত দিনের মধ্যে আপনি পেট কমাবেন। এই টার্গেট চলাকালীন সময়ে একদিনও আপনি আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন করবেন না। এর ফলে আপনি পিছিয়ে যাবেন। দ্রুত পেটের চর্বি কমবে না।
শেষ কথাঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
পেটের চর্বি কমানোর জন্য সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি একজন ভালো ডায়েটিশিয়ানের
পরামর্শ নেন। এটি আপনাকে একটি সূক্ষ্ম ও সুন্দর ধারণা দিবে এবং আপনার কাজকে সহজ
করে দিবে। এবং আপনি এক ধরনের আত্মবিশ্বাস পাবেন। চেষ্টা করার সময় আপনার কাছে মনে
হবে যে আপনি সঠিক পথেই আছেন। একেকজনের একেক কথা শুনে একেক রকম কাজ না করে,
ডাইটেশিয়ানের পরামর্শের মাধ্যমে আপনার বয়স, ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী খাবার
গ্রহণ করুন।
এবং আপনার যদি বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে নেন। এবং চেষ্টা করুন প্রতিদিন কিছু এক্সারসাইজ করার যেগুলো করলে পেটের মেদ কমব। ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনাকে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ এটিও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য। তোকে গুরুত্ব দিন। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি গ্রহণ করুন।
রওশন ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url